আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পীর আল্লামা মাউলানা হাফেয ইমরান এইচ. সরকার শাহবাগী কর্তৃক ফতোয়া দেয়া পত্রিকা পড়ায় আমি চরম গুনাহগার হয়েছি।আমি আরেকটি গুনাহর কাজ করব।আমি দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদকীয় থেকে স্বাধীনতার দোসর শফিক রেহমানের একটি লেখা কপি পেস্ট করব।
দাবি আদায়ের সহজ উপায় …
শফিক রেহমান
তারিখ: ৫ মার্চ, ২০১৩
স্থান : ধানমন্ডিতে বিশিষ্ট ব্যারিস্টার ড. এম আহসানের চেম্বার। চারদিকের দেয়ালে বুকশেলফে চামড়ার বাধানো সব ল রিপোর্ট। ডেস্কে ফাইলের ছোট ছোট পাহাড়। ঘরের এক কোনায় একটা টেবিলে টেলিভিশন।
কাল : মার্চ ২০১৩-র প্রথম সপ্তাহ। সন্ধ্যাবেলা।
পাত্র : ব্যারিস্টার এম আহসান ও তার পাড়ার ভাইভাই স্টোর্সের মালিক কবির মিয়া। উভয়েই মধ্যবয়সী।
সতর্কীকরণ : সকল ঘটনা, চরিত্র ও সংলাপ সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
কবির মিয়া : (দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মুখে) খুব বিপদে পড়ে আপনার কাছে এসেছি স্যার। অনেক উকিল-ব্যারিস্টারের কাছে গিয়েছি স্যার। সবাই বললেন, আপনি মুশকিল আহসান ব্যারিস্টার নামে বিখ্যাত। আপনিই স্যার পারবেন আমার মুশকিল আহসান করতে।
ব্যারিস্টার এম আহসান (শান্ত মুখে) : আমি চেষ্টা করবো। কিন্তু সফল হবো কি না হবো, সেটা মহান আল্লাহতালার হাতে। বলুন, আপনার বিপদটা কি?
কবির : আমার উচ্চতা চার ফিট সাড়ে এগার ইঞ্চি। অর্থাৎ, পাচ ফিটের মাত্র আধা ইঞ্চি কম।
ব্যারিস্টার : তাতে কি? আপনি তো জীবনে নিজেকে ভালোই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আপনার দোকান থেকে আমার বিবিসাহেব চাল-ডাল, তেল-নুন, পেয়াজ-রশুন, চা-দুধ-সাবান-শ্যাম্পু, মোম-ব্যাটারি সবই কেনেন। আপনার দোকান তো ভালোই চলে। আপনি চার ফিট সাড়ে এগার ইঞ্চি হওয়ায় ব্যবসায়ে তো তার কোনো মন্দ প্রভাব পড়েনি। সমস্যা কোথায়?
কবির : সমস্যা স্যার আমার উচ্চতা পাচ ফিট নয়Ñ পাচ ফিটের আধা ইঞ্চি কম। আর এটা স্যার কোনো ব্যবসায়িক সমস্যা নয়Ñ এটা স্যার এখন আমার জীবন-মরণ সমস্যা।
ব্যারিস্টার (কৌতূহলী স্বরে) : তার মানে?
কবির (নিচু স্বরে) : কিছুক্ষণ আগে সংসদে আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চতা অপরাধী আইন পাস করেছে।
ব্যারিস্টার (বিস্মিত মুখে) : উচ্চতা অপরাধী আইন? (তিনি টিভির রিমোট কনট্রোলে টিপলেন।)
কবির : হ্যা। স্যার। এই আইনে বিধান করা হয়েছে বাংলাদেশে বসবাসকারী যেসব বাংলাদেশী পুরুষ নাগরিকের দৈহিক উচ্চতা পাচ ফিটের কম তাদের অপরাধী রূপে গণ্য করা হবে এবং তাদের প্রত্যেকের প্রাণদণ্ড হবে। এই প্রাণদণ্ড অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (হঠাৎ হাউমাউ করে কেদে উঠে) স্যার আমার উচ্চতা পাচ ফিটের কম। আমি বাংলাদেশী পুরুষ। আমাকে ফাসির দড়ি থেকে বাচান স্যার। আমাকে বাচান স্যার।
ব্যারিস্টার (টিভিতে স্ক্রল নিউজ দেখতে দেখতে) : অ্যাবসার্ড। অ্যাবসার্ড। অ্যাবসার্ড। (একটু চুপ থেকে) কিন্তু তারা এটা করতেই পারে। সংসদে তাদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মেজরিটি আছে।
কবির : মেজরিটি থাকলেই কি তারা আইন করে সূর্যকে চাদ অথবা চাদকে সূর্য বলতে পারবে? সবাইকে ডান হাত নয়Ñ বাম হাতে খেতে নির্দেশ দিতে পারবে? পুরুষদের শাড়ি-ব্লাউজ আর মেয়েদের শার্ট-প্যান্ট পরতে বলবে?
ব্যারিস্টার : আওয়ামী লীগ মনে করে তারা পারবে। ক্ষমতায় এসে তারা তো সময়ও বদলে দিয়েছিল।
কবির (উত্তেজিত হয়ে) : সংসদে মেজরিটি থাকলেই কি এমন আইন পাস করার অধিকার তাদের আছে? আমাদের মৌলিক অধিকার বিষয়ে সংবিধানে যা লেখা আছে, এই আইনটি কি তার বিরোধী নয়?
ব্যারিস্টার (বুকশেলফ থেকে বাংলাদেশের সংবিধান বের করে পড়া শুরু করলেন) : সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী …
কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। (বই থেকে চোখ তুলে) দেখুন, এখানে উচ্চতা বিষয়ে কিছু লেখা নেই। সেই সুযোগটা আওয়ামী লীগ নিয়েছে। তবে নারী-পুরুষে ভেদাভেদ করা হয়েছেÑ এই আইনে পুরুষদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত নারী ভোটারদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের এই আইনের আওতা থেকে বাদ দিয়েছেন। সে যাই হোক, আইন পাস হয়ে গিয়েছে। এখন আপনাকে কিভাবে বাচানো যায় সেই পথ বের করতে হবে। আপনি কি আপনার উচ্চতার মাপ বিষয়ে একশ ভাগ নিশ্চিত?
কবির : হ্যা। আমি নিজে কয়েকবার মেপেছি। বউকে দিয়েও মাপিয়েছি। বাইরে কাউকে বলিনি। তারা হয়তো আমাকে পাচ ফিট উচ্চতারই ভাবে। কিন্তু একবার যদি গোপালী পুলিশের কাছে কেউ রিপোর্ট করে দেয়, তাহলেই আমার জীবন শেষ।
ব্যারিস্টার : এ বিষয়ে আর কারো উপদেশ নিয়েছেন কি?
কবির : প্রথমে আমি আমাদের পারিবারিক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, রিং ধরে ঝুলে ব্যায়াম করলে এবং নিয়মিত বাইসাইকেল চালালে হয়তো আধা ইঞ্চি লম্বা আমি হতে পারবো। কিন্তু এতে সময় লাগবে। তারপর আমি গিয়েছিলাম একটি বইয়ের দোকানে। লম্বা হউন এই টাইটেলে বইয়ের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কোনো ওষুধ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিতে বাড়িতে থেকেই তিন ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হওয়া যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিতেও সময় সমস্যা আছে। লম্বা হতে সময় লাগবে। তাছাড়া, তাদের এই দাবির প্রতি আমি ভরসা করতে পারি না।
ব্যারিস্টার : আপনি এলিফ্যান্ট রোডে কোনো জুতার দোকানে গিয়ে সবচেয়ে উচু হিলের জুতা ট্রাই করতে পারেন।
কবির : সেটা ভেবেছিলাম। কিন্তু যে কোনো সময়ে ধরা পড়ে যেতে পারি। বিশেষত নামাজ পড়ার সময়ে। তখন তো জুতা খুলে নামাজ পড়তে হবে। আওয়ামী সরকার তো সব মসজিদের কনট্রোল নিয়ে ফেলেছে। সব মসজিদ গোয়েন্দা নজরে রাখছে।
ব্যারিস্টার : বিদেশে পালিয়ে যাবার কথা ভেবেছেন?
কবির : হ্যা। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। সব বর্ডারে বিএসএফ খুব কড়া পাহারা দিচ্ছে। স্যার একটা কথা বলতে পারেন? কেন এই আইনটা করা হলো?
ব্যারিস্টার : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে এক দিকে শেখ মুজিবের বিশাল ইমেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক কর্মসূচি নিয়েছে। অন্যদিকে জিয়ার ইমেজ ধ্বংস করার সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা দেখাতে চাইছে শেখ মুজিব ছিলেন উচ্চতায় বেশি। জিয়া কম। অর্থাৎ, জিয়া ছিলেন ছোট মাপের মানুষ। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে সব ছোট মাপের মানুষকে চিরবিদায় দিতে হবে। আমার ধারণা, এটাই এই আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য। তবে এই আইনপ্রণেতারা জানেন না, জিয়ার উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাচ ফিট ছিল। তাছাড়া তারা এটাও জানেন না যে বিশ্বের বহু সফল রাষ্ট্রনায়কের উচ্চতা ছিল কম। যেমন ইসরেলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন-এর উচ্চতা ছিল পাচ ফিট। ইনডিয়ার মোহনদাস করমচাদ গান্ধী এবং রাশিয়ার নিকিতা ক্রুশ্চেভ -এর উচ্চতা ছিল পাচ ফিট তিন ইঞ্চি।
কবির (উচু স্বরে) : দেখুন, দেখুন, টিভিতে কি দেখাচ্ছে।
টিভিতে ভিজুয়াল ও স্ক্রল : সোনারগাও হোটেলের সামনের গোল চত্বরে দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চ স্থায়ীভাবে বানানো রয়েছে। সমবেত ব্লগারদের সেøাগান উঠছে। একটা একটা বেটে ধর, সব বেটেকে জবাই কর। বেটেদের বিদায় চাই, বেটেদের ফাসি চাই। ফাসি চাই। ফাসি চাই।
টিভির ভিজুয়ালে একজন ব্লগার পিতার কোলে একটি বছর পাচেকের শিশু মেয়ের ইন্টারভিউ নিল টিভি রিপোর্টার।
রিপোর্টার : তুমি সব বেটেদের ফাসি চাও?
শিশু : হ্যা চাই।
রিপোর্টার : কেন ফাসি চাও?
শিশু : আব্বু বলেছে, বেটেরা পচা।
রিপোর্টার : ঠিক। ঠিক। (শিশুর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে দর্শকদের দিকে) এখন দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন জনপ্রিয় ব্লগার চাদরবাবা কামরান হোসেন পোদ্দার। তিনি তার বক্তব্য রাখছেন।
কামরান (চিৎকার করে কাপা কাপা গলায় নাটকীয় ভঙ্গিতে) : ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর দুই লক্ষ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলার মাটি আজ বেটেদের দ্বারা কলংকিত। এই কলংক আমাদের মুছে ফেলতেই হবে। সব বেটেদের ফাসি দিতে হবে।
ব্লগার জনতা (সমস্বরে) : ফাসি চাই। ফাসি চাই।
কামরান : সব বেটেদের জবাই করতে হবে।
ব্লগার জনতা : জবাই করো। জবাই করো।
কামরান : আমি এই গোল চত্বরের নাম দিলাম লম্বা স্কোয়ার। আপনারা সবাই এটা সমর্থন করেন? হাত তুলে জানান।
ব্লগার জনতা (হাত তুলে) : লম্বা স্কোয়ার। লম্বা স্কোয়ার।
এই সময়ে কিছু খাটো পুরুষ ব্লগারকে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়তে দেখা গেল। টিভি ক্যামেরা অন্যদিকে ফোকাস করলো।
কামরান (সিরাজউদদৌলা স্টাইলে) : আমি নির্দেশ দিচ্ছি ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর দুই লক্ষ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলার মাটির কলংক মোচনের দৃঢ় প্রত্যয়ে আপনারা সবাই এখন থেকে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা এখানেই থাকবেন। বাংলার মাটি সকল বেটেমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনারা এখানেই থাকবেন। আপনাদের জন্য বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ থেকে ফুল প্লেট বিরিয়ানি এবং মিনারাল ওয়াটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরো অনেক টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা বসছে। এই সার্ক ফোয়ারার নিচে মেশিনের যে বেইসমেন্ট আছে সেখানে পোর্টেবল টয়লেট বসানো হয়েছে। আপনারা এই স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন না ওঠে আমরা গাজা খাই, সিগারেটের শেষাংশ বাট আর ব্যবহৃত কনডম ফেলে যাই। জয় লম্বা বাংলা।
ব্লগার জনতা (সমস্বরে) : জয় লম্বা বাংলা।
ব্যারিস্টার (এক হাতে কপাল চেপে ধরে) : দেশ আজ এক পাগলির খপ্পরে। তারই চ্যালা চামুণ্ডারা দেশকে আজ লম্বা আর বেটেদের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। দেশকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিয়েছে। জানি না এই যুদ্ধের পরিণতি কি হবে। তবে নিজের প্রাণ বাচানোর জন্য আপনি একটা চেষ্টা করতে পারেন। (একটা কাগজে রূপসী বাংলা হোটেলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের নাম লিখলেন)। এই অফিসারটির সঙ্গে দেখা করুন।
কবির : তারপর?
ব্যারিস্টার : উত্তরটা পরে দিচ্ছি। আপনার স্ত্রীর নাম কি?
কবির : আকলিমা।
ব্যারিস্টার : ওই নামে চলবে না। ওর নাম পালটে ফেলতে হবে। আমি এখনই একটা ডিড পোল করে দিচ্ছি। আপনার স্ত্রীর নতুন স্টাইলিশ নাম হবে ইয়াসমিন কবির। আপনারা দুজনা একটা লিমিটেড কম্পানি করবেন যার নাম হবে টলমার্ক (Tallmark) কম্পানি লিমিটেড। এটাই হবে বাংলাদেশের প্রথম উচ্চতাভিত্তিক কম্পানির নাম। পরে ডেসটিনির মতো কোনো আওয়ামী সমর্থক সাবেক সেক্টর কমান্ডারকে কম্পানির চেয়ারম্যান করবেন। প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন এবং তার বর্তমান নির্দেশক চাদরবাবাও খুশি হবেন।
কবির (রুদ্ধশ্বাসে) : তারপর?
ব্যারিস্টার : টলমার্ক কম্পানির তরফ থেকে আপনারা দুজন দশ হাজার কোটি টাকা লোন নেবেন রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ওই শাখা থেকে। বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করার একটি ধাপ হিসেবে এই লোন মঞ্জুর করবে ওই ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। টাকাটা পেয়েই আপনি সাত হাজার কোটি দান করবেন আওয়ামী লীগের ইলেকশন ফান্ডে। দুই হাজার কোটি দান করবেন চাদরবাবার ফান্ডে বিরিয়ানি ও মিনারাল ওয়াটার সাপ্লাই যেন অব্যাহত থাকে সেই লক্ষ্যে। আর এক হাজার কোটি রাখবেন নিজের জন্য।
কবির (কিছুটা সন্দেহের স্বরে) : কিন্তু। কিন্তু আমার উচ্চতা তো পাচ ফিটের আধা ইঞ্চি কম থেকেই যাবে। তাহলে আমি বাচবো কি করে?
ব্যারিস্টার (স্মিত মুখে কনফিডেন্ট স্বরে) : আপনি বাচবেন এবং আরো লোন পাবেন। ভেবে দেখুন আপনার চাইতে অনেক বেশি টাকা শেয়ারবাজার থেকে লুট করেছে দরবেশ। তার কি কিছু হয়েছে? আওয়ামী আমলে বহু অর্থনৈতিক ঘাপলা হয়েছে। কারো কি কিছু হয়েছে? হয়নি।
কবির : হলমার্কের তানভীর আর তার স্ত্রী জেসমিন তো জেলে গিয়েছেন।
ব্যারিস্টার : তারা একটা ভুল করেছিলেন। তারা মাত্র চার হাজার কোটি টাকা মেরেছেন। অর্থমন্ত্রীর ভাষায় এটা তেমন কোনো বড় এমাউন্ট নয়। তারা আওয়ামী ফান্ডে বেশি টাকা দিতে পারেননি। আপনি শুরু করুন দশ হাজার কোটি টাকা দিয়ে। তারপর এগোতে থাকেন। ইতিমধ্যে একটি আওয়ামী কোট বানিয়ে ফেলুন এবং সর্বক্ষণ সেটা গায়ে ও চার ইঞ্চি উচ্চতার একটা শাদা কিস্তি টুপি মাথায় পরে থাকুন। আপনার দৃশ্যমান উচ্চতা হবে পাচ ফিট সাড়ে তিন ইঞ্চি।
কবির : আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ। ব্যারিস্টার সাহেব, আপনি আমাকে বাচিয়ে দিলেন। আপনাকে কতো ফিস দেব?
ব্যারিস্টার (মৃদু হেসে) : আগে লোনের টাকাটা আপনার একাউন্টে আসুক। তারপর বলবো আমার ফিস কতো।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




