somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাগুরুত্বপূর্ণ পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ নামক বিশেষ দিনটি সম্পর্কে খুব কম সংখ্যক লোকই অবহিত

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকা: আরবী মাসের দ্বিতীয় মাস ‘ছফর’। ফযীলত, বুযূর্গী, তাৎপর্য ও মাহাত্ম্যের দিক থেকে এ মাসটি এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। আর এ মাসের মধ্যে মহাগুরুত্বপূর্ণ পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ নামক বিশেষ দিনটি অন্তর্ভুক্ত আছে।
আখিরী চাহার শোম্বাহর শরীফ উনার অর্থ: ‘আখিরী চাহার শোম্বাহ’ শব্দগুলো ফার্সী ভাষায় ব্যবহৃত হয়। তবে আরবী ও ফার্সী ভাষায় আখির শব্দের অর্থ শেষ। আর ফার্সীতে বুধবারকে বলা হয় চাহার শোম্বাহ। অতএব, আখিরী চাহার শোম্বাহ অর্থ শেষ বুধবার- শাব্দিক অর্থ। পারিভাষিক অর্থে ছফর মাসের শেষ বুধবারকে আখিরী চাহার শোম্বাহ বলা হয়। উল্লেখ্য, প্রত্যেক মাসের শেষ বুধবার আছে। কিন্তু তাকে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ বলা হয় না। বরং পবিত্র ছফর মাসের শেষ বুধবারের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যের কারণে একে আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ বলা হয়।
মূলকথা: আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ১১ হিজরী সনের পবিত্র মুহররমুল হারাম মাসের তৃতীয় সপ্তাহে অসুস্থতাকে গ্রহন করেন। এরপরে সুস্থতাকে গ্রহন করেন। অতঃপর পবিত্র ছফর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আবার অসুস্থতাকে গ্রহন করেন।
এ সম্পর্কে বলা হয়, অধিকাংশ ও প্রসিদ্ধ বর্ণনার দ্বারা প্রমাণিত, পবিত্র ছফর মাসের বুধবার বাদ আছর অসুস্থতাকে গ্রহন করেন এবং তা ১২ দিন পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়। (আদ-দীন ওয়া তারীখুল হারামাইনশি শারীফাঈন: পৃষ্ঠা ২৮১, ২৮৩)
অসুস্থতাকে গ্রহন করার কারণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন যে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি সত্যিই বিদায় নিয়ে যাবেন?
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থাকে গ্রহন করার পর পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ সকালে সুস্থতাকে গ্রহন করেন। অতঃপর গোসল করতঃ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, হযরত আহলে বাইত আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিয়ে নাস্তা করেন, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের খোঁজ-খবর নেন এবং খুশি প্রকাশ করেন। পরে মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে তাশরীফ রাখেন।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সুস্থতার সাথে পেয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা অত্যন্ত আনন্দিত হন। এমনকি উনাকে সুস্থ পেয়ে উনারা খুশির আতিশয্যে নামায ভঙ্গের উপক্রম করেছিলেন। (সীরাতে ইবনে হিশাম: দ্বিতীয় ভাগ, পৃষ্ঠা ৬৫৩, আদ দ্বীন ওয়াত তারীখুল হারামাইনিশ শারীফাঈন, পৃষ্ঠা ২৮১)
শুধু তাই নয়, উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন এবং এ উপলক্ষে উনাদের সাধ্যমতো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমতে হাদিয়া পেশ করেন আর গরিব-মিসকিনদেরকে দান সদকা করেন। সেক্ষেত্রে আফযালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম তিনি সাত হাজার দিনার, ফারুকে আ’যম হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি পাঁচ হাজার দিনার খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উসমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি দশ হাজার দিনার, আসাদুল্লাহিল গালিব হযরত আলী আলাইহিস সালাম তিনি তিন হাজার দিনার এবং মুবাশশারুল জান্নাহ হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একশত উট ও একশত ঘোড়া মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করতঃ মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত লাভ করেন। তবে উক্ত দিনের শেষ প্রান্তে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পুনরায় অসুস্থতাকে গ্রহন করেন এবং তা নিয়েই ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ রফীকে আ’লা উনার পরম দীদারে মিলিত হন। (আল বাইয়্যিনাত শরীফ: ৭১, ৮১তম সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৭০, ১২)
গুরুত্ব ও তাৎপর্য: মুসলিম উম্মাহর নিকট এ দিনটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এর সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বরকতময় জীবনের বিশেষ স্মৃতি জড়িত এবং তা মা’রিফত-মুহব্বত লাভের মহা উসীলা।
এজন্য পারস্য ও ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন। দিল্লির মুঘল (বাংলা পিডিয়া মতে) বাদশাহগণও যথেষ্ট মর্যাদার দিবসটি পালন করতেন। বাংলাদেশে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি থাকে। কিন্তু সাধারণ সরকারি ছুটি হিসেবে এ দিন পালন করা উচিত ছিল। এ দিন মুসলমানগণ নফল নামায, দুরূদ শরীফ পড়েন, দোয়া-কালাম, যিকির-ফিকির করেন, কেউ কেউ দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করেন। (বাংলা পিডিয়া, প্রথম খ-, পৃষ্ঠা ১২৩)
ইসলামী বিশ্বকোষে উল্লেখ আছে, এই দিনে লোকেরা (মুসলানরা) গোসল করে, নতুন বস্ত্র পরিধান করে এবং খুশবু লাগায়। (ইসলামী বিশ্বকোষ: প্রথম খ-: পৃষ্ঠা ১১৩)
সুতরাং পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার গুরুত্ব ও তাৎপর্য যে অপরিসীম তা অতি সহজেই অনুমেয়। অথচ খুব কম সংখ্যক লোকই সে সম্পর্কে অবহিত। (হায় আফসোস!)
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: বাতিলপন্থীরা পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করাকে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে। কারণ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেদিন পুনরায় অসুস্থতাকে গ্রহন করেন এবং সে অসুস্থতাসহই বিছাল শরীফ গ্রহন করেন। তাদের কেউ কেউ বলে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উদযাপনের কোনো নির্ভরযোগ্য ধর্মীয় ভিত্তি পাওয়া যায় না। নাঊযুবিল্লাহ! ইসলামী বিশ্বকোষের প্রথম খ- ১১৩ পৃষ্ঠাতেও বাতিলপন্থীদের এ বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য উল্লেখ আছে।
দীন ইসলামের সহীহ ফতওয়া ও বাতিলপন্থীদের বক্তব্যের জাওয়াব: পবিত্র দীন ইসলাম উনার সহীহ ফতওয়া হলো, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা, এতে খুশি প্রকাশ করা সুন্নত। প্রকৃতপক্ষে বাতিলপন্থীরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও তার সঠিক ইতিহাস না জানার কারণেই পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করাকে নাজায়িয, বিদয়াত ও ভিত্তিহীন বলে থাকে। কূপম-ক কারো পক্ষে পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার নির্ভরযোগ্য ধর্মীয় ভিত্তি খুঁজে না পাওয়ায় তা না থাকাকে প্রমাণ করে না। যেমন পেঁচার সূর্যকে না দেখা তার স্পষ্ট ও স্বতঃউদ্ভাসিত অস্তিত্ব না থাকাকে প্রমাণ করে না। আর যেখানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং মু’মিনগণ আখিরী চাহার শোম্বাহ পালন করেন এবং খুশি প্রকাশ করেন সেখানে আখিরী চাহার শোম্বাহ পালন করাকে নাজায়িয, বিদয়াত ও ভিত্তিহীন বলা গুমরাহী ব্যতীত কিছুই নয়। যেমন- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- ১. “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদেরকে যা দেন তা তোমরা গ্রহণ কর আর যা কিছু গ্রহণ করা হতে নিষেধ করেন, তা হতে বিরত থাকো এবং তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনাকে ভয় করো। নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি কঠোর শাস্তি প্রদানকারী।” (সূরা হাশর শরীফ: আয়াত শরীফ ৭)
২. “আর তোমরা উনার আনুগত্য করলেই হিদায়েত পাবে।” (সূরা নূর শরীফ: আয়াত শরীফ ৫৪)
৩. “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সারা বিশ্বের মানুষ ও জিনদেরকে বলে দিন, তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভালোবাসতে চাও তাহলে আমাকে অনুসরণ-অনুকরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ-খতাগুলো ক্ষমা করে দিবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু ও করুণাময়। আপনি আরো বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো, অনন্তর যদি তারা ফিরে যায়, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিশ্চয়ই কাফিরদেরকে ভালোবাসেন না।” (সূরা আল ইমরান শরীফ: আয়াত শরীফ ৩১, ৩২)
৪. মুহাজির এবং আনসার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে (ঈমান গ্রহণের ব্যাপারে) যারা পূর্ববর্তী ও অগ্রগামী এবং উনাদেরকে যাঁরা উত্তম বা যথাযথভাবে অনুসরণকারী, উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট এবং উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার উপর সন্তুষ্ট। আর তিনি উনাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নি¤œœদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে উনারা চিরস্থায়ী হবে। এটাই মহাসাফল্য। (সূরা তাওবা শরীফ : আয়াত শরীফ ১০০)
৫. “হিদায়েত প্রকাশিত হওয়ার পর যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করবে এবং মু’মিনদের প্রচলিত পথ রেখে অন্য পথের অনুসরণ করবে, আমি তাদেরকে সেদিকেই ফিরাবো যেদিকে তারা ফিরছে এবং জাহান্নামে তাদেরকে প্রবেশ করাবো, আর তা কত মন্দ আবাস।” (সূরা নিসা শরীফ : আয়াত শরীফ ১১৫)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ১. “অতি শীঘ্রই আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত সকল দল জাহান্নামে যাবে। জিজ্ঞাসা করা হলো- যে দলটি (নাজাত পাবে) সেটা কোন দল? ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, যে (মত-পথের) উপর আমি রয়েছি এবং আমার অনুসরণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা রয়েছেন, তার উপর যারা থাকবে, তারাই সেই নাজাতপ্রাপ্ত দল।” (মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা)
২. “আমার সুন্নত এবং হিদায়েতপ্রাপ্ত হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন (তথা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের) এবং সুন্নত পালন করা তোমাদের প্রতি ওয়াজিব। তোমরা তা মজবুতভাবে মাঢ়ির দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরো।” (মিশকাত শরীফ, ৩০ পৃষ্ঠা)
৩. “আমার ছাহাবীগণ উনারা আকাশের নক্ষত্রসম। তোমরা উনাদের যে কোনো একজনকে অনুসরণ করবে সুপথপ্রাপ্ত হবে।” সুবাহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৫৫৪)
৪. হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে ভালোবাসে সে যেন আমাকেই ভালোবাসে। আর যে আমাকে ভালোবাসে, সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে।” সুবহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৩০)
এ সকল দলীল-আদিল্লার আলোকে অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফসম্মত এবং তা পালন করা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং মু’মিনগণের পথ।
উপসংহার: এ বছর ১৪৩৪ হিজরীর ২৬ ছফর মোতাবেক ১২ ছামিন-১৩৮০ শামসী সন বা ৯ জানুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী সন আখিরী চাহার শোম্বাহ।
অতএব, যার যার সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী তা পালন করার মতো পালন করতে হবে। আর যেটা না বললেই নয়, এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ধারণা দিয়েছেন যামানার মহান ইমাম ও মুজতাহিদ, আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদে আ’যম ঢাকা রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। আর সে ধারণা বুকে পুরে আম জনতা আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ উনার আমলে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। তাই উনার কৃতজ্ঞতা বন্ধনে আমরা থাকতে চাই আজীবন। (আল্লাহুম্মা আমীন)
View this link
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×