নদীতীরে বালুচরে ভাবি বসে নিরালায়
কোথা থেকে এলাম আবার,যাব কোন ঠিকানায়?
হৃদয়ের গভীর থেকে উত্তর এল ভেসে,
কোথা থেকে এলাম আবার যাব কোন দেশে?
এই উত্তর পেতে হলে,জানতে হবে আগে।
দেহ সহ আত্মাওযে আছে তোমার সাথে।
উত্তর জানতে আত্মার খোজে বের হলাম শেষে।।

আত্মাকে খুঁজে পেতে মগ্ন হলাম ধ্যানে,
ঠিক তখনই নফস এসে দাঁড়ালো সামনে।
নফসকে বললাম কে তুমি ভাই,
কি তোমার পরিচয়---
নফস বলল,আমি একটি অজগর--
থাকি রুহ রত্নের পাহারায়।।
আমি বললাম দূর হও আমার সামনে থেকে--
কারন আমি রুহকে খুঁজে হয়রান হয়েছি।।
নফস বলল,রুহ অতি স্পর্শকাতর এবং অতি দামি
সহজেই পাবে তাকে,যদি তোমায় ছাড়ি আমি।
কিন্তু এত দামি জিনিস আমি তোমায় দিবনা,
চলে যাও এখান থেকে,না হয় যুদ্ধ ঘোষনা।।
সুলাইমান।আমার সাথে যুদ্ধে তুমি পারবেনা।
কারন আমি শয়তানের থেকেও বড় অজগর।।
ইতিপূর্বে শয়তানের সাথে লড়ে তুমি আধামরা,
এখন আমার সাথে লরে,পুরোপুরি খাবে ধরা।
সুতরাং পেছনে চলে যাও,রুহ পাওয়ায় আশা ছাড়ো।
আমি বললাম,হে দুষ্টমতি দুরাচার নফস,
তুমি যতই আমাকে ফুসলাও।কাজ হবে নহে--
রুহ রত্ন যে আমাকে পেতেই হবে।
যদি যুদ্ধ করতে হয়, তো রাজি আছি।।
তোমার মত অজগরকে আমি নাহি ডরি।।
ইতিপূর্বে শয়তানকে করেছি পদদলিত,
তোমাকেও তেমনি আমি করব আহত।
আমার পথ ছেড়ে দাও যদি বাঁচতে চাও।।
আমার মহৎ কাজে কাটা নাহি তুমি হও।
তোমার সাথে করলাম আমি যুদ্ধ ঘোষনা।
যদিও আমি নিঃস ফকির,শান্ত এক সেনা।

উভয় সৈন্য মুখোমুখি, অন্তর নামক ময়দানে
নফসের সাথে যুক্ত হল কালপিট ইবলিশ শয়তানে।
আমি ব্যাস্ত হলাম আমার বাহিনীকে সাজাতে।
নামাজকে রাখলাম সেনাপ্রধান,জ্ঞান -বুদ্ধি আলো,
যিকির হল যুলফিকার,যা ছিল খুব ধারাল।
হজ্জ হল তেজি ঘোরা, গতি খুব তীব্র
যাকাত,সদকা বোমারু বিমান,আঘাতে খুবই ক্ষিপ্ত।
পরোপকার কামানের গোলা,টার্গেট করেনা মিছ,
মৃত্যুর স্মরণ হৃদয়ের আলো,নফসকে বানায় চিজ।
বিবেক হল হৃদয়ের আলো, রোজা হল ঢাল,
এদুটোই হবে জানি নফস শয়তানের কাল।।

নফসেরও অনেক সৈনিক আছে,
শুনো ভাই তার বর্ননা।
কামপ্রবৃত্তি সেনা প্রধান,
লোভ হল তার ললনা।।
হিংসা হল বিষাক্ত তীর,ছুটে তীব্র গতিতে,
যার লাগে তার দিল ভেঙে যায় ,ভুল করেনা ক্ষতিতে,
দুনিয়ার মায়া এক ললনা,নফসের খুবই প্রিয়,
ছলনায় ফেলে ধ্বংস করে,ভাব দেখায় সর্গীয়।








[