মৃত্যুর চিন্তা ১
সমস্ত মানুষ মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি।,আগামি একশত বছরের মধ্যে তাহা কার্যকর হবে।
১।মৃত্যুর সময় শান্ত থাকা,আল্লাহর রহমতের আশা প্রবল রাখা উচিত।
২।মুমিন ব্যাক্তির সাথে ফেরেশতারা মৃত্যুর সময় উত্তম আচরন করেন,সহজেই মুমিন ব্যক্তির রুহ বের হয়।(হাদিস থেকে এবিষয়ে জানা যায়)
৩।ইমান আনার পর আর গুনাহের চিন্তা করাও মুমিন ব্যাক্তির উচিত না,গুনাহ করা তো বহুত পরের বিষয়।
৪।গুনাহ হয়ে গেলে কি করবো?
গুনাহের কারনে কবরে আজাব হয়।এজন্য দুনিয়াতেই গুনাহের ক্ষতিপূরন করার চিন্তা করা উচিত।যদি গুনাহ অনেক বড় হয়,তাহলে এর বিপরিতে নেকআমল ও অনেক বড় করতে হবে।যেন গুনাহের বিপরিতে ক্ষতিপূরন হয়ে যায়।
উদাহরণ সরুপ,কারো হক সম্পর্কিত গুনাহ হলে,এই হক থেকে মুক্ত হতে হবে।যেভাবেই হোক পাওনাদার থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে।যদি পাওনাদারকে পাওয়ার কোনো উপায় না থাকে,সেক্ষেত্রে পাওনাদারের পক্ষ থেকে ঐ পরিমান টাকা সদকা করে দিতে হবে।
যাদের সাথে চলাফেরা উঠাবসা হয়,তাদের নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
ইচ্ছা করে যদি কাউকে কষ্ট দাও,তাহলে তার নিকট থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে,আর অনিচ্ছাকৃত কোনো কষ্ট দিলে,সেটা মাফ হওয়ার আশা আছে,তবে যাদেরকে কষ্ট দিয়েছো,তাদের জন্য খুব করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর দোয়া করতে হবে।
এভাবে দোয়া করা যায়,"আয় আল্লাহ।আমি যাদেরকে কষ্ট দিয়েছি তাদেরেকে মাফ করে দেন।
এবং এই কষ্টের বিপরিতে তাদেরেক সস্থি এবং উত্তম বিনিময় পুরুষ্কার দান করেন।আমিন।
৫।যে ব্যাক্তি মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরন করবে সে বড় বড় দুটি পুরুষ্কার পাবে, এবং তা দুনিয়াতেই পাবে,
প্রথম পুরুষ্কার: দুনিয়ার মায়া মহব্বত দিল থেকে উধাও হয়ে যাবে।মানুষের দুনিয়াবি উন্নতি দেখে সে হিংসা করবে না,সুতরাং শান্তিতে থাকতে পারবে।কোনো কিছু হারিয়ে গেলে, না পেলে আফসোস হবেনা,আর কোনো কিছ পেলে আনন্দিত হবেনা।বলা বাহুল্য,এটা অতি বড় আধ্যাতিক গুন,সালিকরা বহু বৎসর সাধনা করে এটা অর্জন করেন।
দ্বিতীয় পুরুষ্কার:মৃত্যু তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




