somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জিন:পর্ব—০২ (জীনের সাথে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার কিছু কাহীনি)

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জিন:পর্ব —০২ (জীনের সাথে আমার কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা)

জানি অনেকে এগুলো বিশ্বাস করবেনা।তাদের জন্য মূলত আমি জিন বিষয়ক সিরিজ লিখিনা।যারা জিন জাতীকে বিশ্বাস করে আার এই লেখা সুধুমাত্র তাদের জন্য।

(সতর্কতা: এগুলো সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা,অন্যের সাথে এগুলো মিলে যাওয়া জুরুরি নয়।)
জ্বীন তারানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী,এবং আমার বহুবার পরিক্ষিত আমল হলো আয়াতুল কুরছি, এবং আমানার রসূল থেকে শেষ পর্যন্ত তেলাওয়াত করে দুই হস্তে ফুক দিয়ে সমস্ত শরীর মুছে নেওয়া।)

এখান থেকে মূল লেখা শুরু—

আমিআমার দাদা-দাদির কাছে থাকতাম,আর আমার পিতা-মাতা এবং ছোটভাই ঢাকার নবাবগঞ্জের একটি বাহ্রা নামক একটি গ্রামে থাকতেন।
তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি,২০১১ সাল।বাসায় টিভি ছিলো, টিভিতে সনি আটের সানডে হরর,আহট অনুষ্ঠান খুব দেখতাম।ভালোই লাগতো।একসময় শুরু হলো 'হঠাৎ সাইত্রিশ বছর পর'নামক একটি অনুষ্ঠান।এই অনুষ্ঠান টাও ভালো লাগত।আমাদের বাসায় আমার দাদির এক মুরুব্বী আত্মীয় ও থাকতো।খুবই ভালো ছিলো লোকটা।বিয়ে করে নাই,অথচ বুড়ো বয়সে পৌঁছে গিয়েছে।লোকটার সাথে অনেক ফকির টাইপের লোকদের খাতির ছিলো।আমি তার কাছে ঘুমাইতাম গল্প শুনার জন্য।তিনি তার সাথে ঘটে যাওয়া জীন ভুতের বাস্তবধর্মী গল্প শুনাতেন।এমনভাবে বলতেন বিশ্বাস া করে উপায় নেই,যেকেউ তার সাথে কয়েকদিন থাকলে তার ভক্ত হয়ে যাবে!

তিনি অনেক সাহসী ছিলেন।একদিন তিনি বললেন,"আমি এমন জায়গা দিয়ে রাত্রে বিচরন করি চলাফেরা করি যাওয়া আসা করি,দিনের বেলায়ও মানুষ সেখান দিয়ে যাওয়ার সাহস পাবেনা।একদিন এমন একটি ভয়ংকর জায়গা দিয়ে যাচ্ছি,হঠাৎ আমার সামনে এক লোক এসে পথ আটকে দাড়ালো,অবস্য নতুন না,নিয়মিত এই লোক আমার সামনে পথ রোধ করে দাড়ায়।আমার সাথে খোশ গল্প করে।লোকটা যে মানুষ না জীন!তা আমি প্রথম তার পায়ের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারি।তার পা মাটি থেকে এক বিঘত উপরে থাকত।

এভাবেই উক্ত লোকটা যাকে আমি দাদা ডাকতাম,তার সাথে ঘটে যাওয়া বিস্ময়কর কাহীনি শুনাতেন,আমি হতভম্ভ হতাম।এও কি সম্ভব।একদিন রাত্রে আমি আমার পেটে অদ্ভুত ব্যাথা অনুভব করলাম,এমন ব্যাথা ইতিপূর্বে কখোনো অনুভব করিনি।আমি ঠিক থাকতে পারছিলামনা,শুয়ে পড়লাম।কিছুক্ষন পর ঘুমিয়ে গেলাম।

সকালবেলা উক্ত দাদা বললেন,সালা!রাত্রে কি হয়েছিলো?! আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম কেন?কি হয়েছিলো?দাদা বললেন,তোমার বুঝির কাছে জিগ্যেস করো(দাদিকে আমরা বুঝি বলি)।বুঝি বললেন,রাত্রে ভুতে ধরেছিলো!আমিতো হতভম্ভ,অথচ আমি একটুও টের পাইনি!আমার সাথে রাত্রে কি হয়েছে,শুধু পেটে ব্যাথার পরে ঘুমিয়ে পরেছিলাম,এতটুকুই মনে আছে।উক্ত দাদা জিন ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাত্রে।

তারপর বহুদিন পর্যন্ত জীনদের কোনো আছর বা প্রভাব নিজের মধ্যে অনুভব করিনি।২০১৩ সালে আমার দাদা ইন্তেকাল করেন। তারপর আমি ঢাকার নবাবগঞ্জে আব্বা আম্মার কাছে চলে আসি।সেখানে ক্লাস এইটে ভর্তি হই।

ক্লাস এইট নাইন দুই বছর খুবই ভবঘুরে টাইপের ছিলাম।

কিছু পাখী এবং ঝিঁঝি পোকা আমার মতে জীন।জালালউদ্দিন সুয়ুতি রহ.এর জীন বিষয়ক একটি কিতাবেও পাওয়া যায়,কিছু কীটপতঙ্গ জীন।

আমি ছোটবেলা থেকেই প্রচূর গাছে উঠতে পারতাম।আমার সাথে গাছে উঠার প্রতিযোগী খুব কমই ছিলো।নারকেল গাছ সুপারী গাছেও উঠতাম।ভালো কোনো ছায়াদায়ক গাছ পেলে উঠে বসে থাকতাম।

একদিন একটি বিশাল নাম না জানা গাছ আমার চোখে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছিলো,সবুজ শ্যামল পাতা ডালপালা।সবমিলিয়ে খুবই চমৎকার।তখন ঠিক দুপুর।আমারও খেয়ে দেয়ে কোনো কাম কাজ ছিলোনা।কি করবো!গাছে উঠে বসে থাকি।গাছে উঠে গেলাম।উক্ত গাছে কদবেলের মতো সুন্দর ফল হল।সম্ভব সেটাকে বইন্ন্য গাছ বলে এলাকায়।

গাছটির মাথায় একটি পাখির বাসা দেখতে পেলাম।আমার একটি বদ অভ্যাস ছিলো।পাখীর কোনো বাসা পেলে গিয়ে দেখতাম ডিম পারছে কিনা,অথবা বাচ্চা ফুটেছে কিনা।

গাছের মাথায় চলে গেলাম।বাসার মধ্যে দেখলাম সুন্দর ফুটফুটে তিনটা পাখীর ছাও।মানে পাখীর বাচ্চা।বাচ্চা তিনটা এত সুন্দর ছিলো আমার ধরতে ইচ্ছা করল।আমি একটি বাচ্চাকে ধরে ফেললাম।তখনই ওর মা আমার নিকটে চলে এলো,এবং চেঁচামেচি শুরু করলো।এই পাখীটাই জীন ছিলো।পাখীর চেচামেচি তে আমি ভীত হয়ে গাছ থেকে নেমে এলাম।
তারপরেই আসল কাহীনি শুরু হলে।ইনশাআল্লাহ আগামি পর্বে সেটা বলব।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×