বর্তমান যুগ হলো ধোঁকা এবং মিথ্য, এবং মুনাফেকির যুগ।বর্তমানে সবকিছুর মধ্যেই ভেজাল ঢুকে গেছে।তবে নির্ভেজাল প্রডাক্ট যে নেই তা নয়,কম হলেও আছে।আল্লাহ তায়ালার করুনা এবং দয়া যে, তিনি এখোনো নির্ভেজাল জিনিস রেখে দিয়েছেন।
সবকিছুর মধ্যে যেমন ভেজাল আছে অনুরুপ পীর মুরিদির মধ্যেও বর্তামানে ভেজাল আছে।পীর মুরিদির মধ্যে আরো ভেজাল বেশি।কারন এই জিনিস তো বাহির থেকে দেখা যায়না,অন্তরে র চোখ লাগে।আর অন্তরের চোখ তো সবার নাই,এজন্য সবাই তা দেখতেও পারেনা।অন্ধ ব্যাক্তি যেমন গর্তের মধ্যে পড়ে যায়, ঠিক তেমন কাণ্ডজ্ঞান হীন মানুষও ভুল পীরের কাছে বায়াত হয়ে জীবন নষ্ট করে।
তাহলে এই অবস্থায় আমাদের এখন করনীয় কি?
এখন আমাদের করনীয় হলো আমাদের চক্ষু জাগ্রত করতে হবে।চক্ষু খুলতে হবে।যেন আমি নিজেই খাঁটি পীর ভন্ড পীর চিনতে পারি এই যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
*খাঁটি পীর চেনার দুটি পথ আছে—
১।ভালো কোনো আলেম উলাম থেকে চিনে নেওয়া।
২।নিজেই যোগ্যতা অর্জন করা।
ভালো কোনো আলেম থেকে জেনে নেওয়ার থেকে নিজেই যোগ্যতা অর্জন করা আমার নিকট বেশি উত্তম মনে হয়,কারন একজন নির্ভরযোগ্য আলেমও আপনার নিকট অনির্ভরযোগ্য হতে পারে,যেহেতু আপনি আলেমও চিনেন না,সেখানে আপনি হয়ত ভুল আলেমের নিকট থেকে ফতোয়া নিবেন।যেকারণে সঠিকপথ পাবেননা।
সুতরাং নিজেই যোগ্যতা অর্জন করা সবচেয়ে বেটার, অন্যের কাছ থেকে জেনে নেওয়ার চাইতে।কিন্তু নিজে যোগ্যতা অর্জন করতে হলেও অন্যের কাছ থেকে মৌলিক কিছু জিনিস জানতেই হবে।তা না হলে নিজেও কোনো যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেননা।
অন্যের নিকট থেকে কতটুকু জানবো?
শরিয়তের আচার আচরন, বাহ্যিক নিয়মকানুন অন্যের নিকট থেকে জানতে হবে।
যেহেতু পীর অথবা অলী চেনার জন্য অন্তরে নূর হাসিল করতে হয়,আর নূর অর্জন করতে হলে,ধারাবাহিকভাবে শরিয়তের আচার আচরনগুলো পালনকরে যেতে হয়।যখন অন্তরে কিছুটা নূর হাসিল হবে,তখন নিজেই আপনি আল্লাহর অলিদেরকে চিনতে পারবেন,অন্যের বলে দিতে হবেনা।
কেন আল্লাহর অলিদের নিকট যেতে হবে,বায়াত হওয়া কি জুরুরি?
খুবই ভালো প্রশ্ন!
বায়াত হওয়া কখোনৌ জুরুরি নয়,কিন্তু আত্মশুদ্ধি করা জুরুরি।
আত্মশুদ্ধি অর্জন করা ফরজ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




