somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুম

২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের পুরো জীবনটাই একটা রহস্য।এই জীবনগুলো আসলে কি? কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নাকি অন্যকিছু?মানুষের জীবন কত বৈচিত্রময়!মানুষের জীবন কত রহস্যময়!চিন্তার সাগরে যদি কেউ ডুব দেয়,তাহলে সে আর কোনোদিনও চিন্তার সাগর থেকে বের হতে পারবেনা।
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে কত নেয়ামত দিয়েছেন! কত নেয়ামতের মধ্যে রেখেছেন,এই বিষয়ে যদি কেউ চিন্তার সাগরে ডুব দেয় তাহলে সেও চিস্তার সাগর থেকে চিরকালের জন্য হারিয়ে যাবে আর সেখান থেকে বের হতে পারবেনা।
যেমন একটি মানুষকে নিয়ে যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে চিন্তার অনেক খোরাক পাবো একটি মানবদেহের মধ্যে।
নাক
নাক কোন উদ্যশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে,শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য,অক্সিজেন ভিতরে যায়,ভিতরে জানিনা কি প্রকৃয়া ঘটে,বায়োলজিস্টরা জানেন,কার্বন ডাই-অক্সাইড বের হয়ে যায়।পুরো ব্যাপারটা দ্রুতই ঘটে।নাকের কাজ কখোনো কান অথবা চোখ করতে পারেনা,কে এইভাবে সিস্টেরম করে দিলো।তারপরও কি সৃষ্টিকর্তাকে অস্বীকার করে অথবা অবিশ্বাস করে থাকা যায়।

কান
কান নিয়েও চিন্তার অনেক বিষয় আছে।কান তো নাও হতে পারতো!কেন হলো।যদি কোনো সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি না করতেন,তাহলে হয়ত কান ছাড়াই মানুষ হয়ে যেত!কেমন দেখা যেত তখন!খুব ভালো তাইনা!
প্রিয় পাঠক!কানের কাজ চোখ দিয়ে হয়না।মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় অন্তরের সাথে কানেক্টেড।ইন্দ্রিয়ের সাথে অন্তরে খোলামেলা রাস্তা বা পথ আছে।নবী রসূলরা সরাসরি অন্তরে জ্ঞান লাভ করেন।যেমন কুরআন আমাদের প্রিয় নবী হযরত সা. এর অন্তরে অবতীর্ণ হয়েছে।সেখান থেকে পুরো দুনিয়াতে ছড়িয়ে গিয়েছে,সুতরাং কুরআনের সাথে যদি কেউ বেয়াদবি করে তাহলে সে নবীজি সা.এর সাথে বেয়াদবি করল।কুরআনকে কেউ কষ্ট দিলে সে যেন নবীজিকে কষ্ট দিল।

চোখ

মাহনুষ যখন ঘুমায় তখন চোখ কিছু দেখতে পারেনা। তখন মানুষের ভিতর থেকে উর্ধজাগতীয় রুহ নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রশ্ন:রুহ নিয়ে যাওয়া হলে মানুষ বেঁচে থাকে কিভাবে?
উত্তর:রুহের সাথে মানুষের বাঁচা মরার কোনো সম্পর্ক নেই।রুহ সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রমি একটি জিনিস।রুহ কোনো পদার্থ নয়।রুহ ধরা যায়না,ছোয়া যায়না এবং দেখা যায়না,সবাই অনুভবও করতে পারেনা।মানুষের যখন মৃত্যু হয় তখন রুহ চলে যাওয়ার কারনে মৃত্যু হয়না।যদি রুহ চলে যাওয়ার কারনে মৃত্যু হোতো,তাহলেতো ঘুমের মধ্যেও মৃত্যু হওয়ার কথা।অথচ ঘুমের মধ্যে মানুষের জড়জগতের সাথে সম্পর্কিত এই শরীর জিন্দাই থাকে।হাদিসে ঘুমকে অর্ধেক মৃত বলা হয়েছে।
সম্ভবত অর্ধেক মৃত বলার কারন হলো,ঘুমের মধ্যে মানুষের হুশ জ্ঞান ঠিক থাকেনা।একপ্রকার মরার মতই পড়ে থাকে।কাজকর্ম করতে পারেনা,নিজের প্রতি কোনো নিয়ন্ত্রন থাকেনা।

তাহলে মৃত্যু কিভাবে হয়?
মৃত্যু আসলে ফেরেশতাদের ঘটানোর মাধ্যমে হয়।ফেরেশতারা যদি মৃত্যু না ঘটাইতো তাহলে কোনোদিনও মৃত্যু হোতোনা।এজন্যই জাহান্নামের মধ্যে কোনো মৃত্যু হবেনা,কারন সেখানে মৃত্যু ঘটানোই হবেনা। আল্লাহ তায়ালার আদেশে ফেরশতারা মৃত্যু ঘটিয়ে থাকে।এই হিসাবে মৃত্যু একটি বিরাট বড় নেয়ামত।কারন মৃত্যু ঘটানো না হলে মানুষের যন্ত্রনা তীব্র হতো।মৃত্যু ঘটিয়ে সেই যন্ত্রনা লাঘব করা হয়।এজন্যই জাহান্নামিরা বলবে,হায়! যদি আমরা মরে,,যেতাম,মাটি হয়ে যেতাম!অথবা নাই হয়ে যেতাম,ইত্যাদি কথা বলতে থাকবে।

কারন জাহান্নামে মৃত্যু হবেনা বলে যন্ত্রনা খুবই তীব্র হবে।আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন।আমিন

স্বপ্ন কি?এবং কত প্রকার?
স্বপ্নের সংজ্ঞা :স্বপ্ন এমন এক দৃশ্য,যা চোখের পাতায় নয়,অন্য কোনো লতিফায় দেখানো হয়।এবং স্বপ্ন মানুষের নিয়ন্ত্রন বহির্ভূত একটি অত্যশ্চর্য ব্যাপার অথবা ঘটনা।

স্বপ্নের প্রকারভেদ
মানুষের মর্যার তারতম্যের কারনে স্বপ্নেরও তারতম্য হয়।এজন্য সবাই সমান বা একই স্বপ্ন দেখেনা।আল্লাহর অলী বা বিশেষ মানুষের স্বপ্নও বিষেশ হয়ে থাকে।আমরা সাধারন মানুষ যেই স্বপ্ন দেখি,সেগুলোর মধ্যেও কিছু কিছু সপ্নের ব্যখা এবং তাৎপর্য থাকে।আর কিছু কিছু স্বপ্নের কোনো ব্যাখা থাকেনা।
বিভিন্ন মর্যাদার মানুষের স্বপ্নও বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে।
উদাহরনসরুপ,
১।নবীদের স্বপ্ন
২।অলী,এবং সিদ্দিকিনদের স্বপ্ন
৩।সাধারন মানুষের স্বপ্ন।

নবীদের সপ্ন:নবীদের স্বপ্ন অহী হয়ে থাকে,এবং তা স্বপ্ন নয় এক প্রকার বাস্তবই হয়ে থাকে।
অলীদের স্বপ্ন:অলীদের সপ্ন নবীদের স্বপ্নের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ।এবং তা অহী নয় বরং এলহাম হয়ে থাকে।
সাধারন মানুষের স্বপ্ন:সাধারন মানুষের অধিকাংশ স্বপ্নেরই কোনো অর্থ থাকেনা।সাধারন মানুষ নিরর্থক কাজকর্মে লিপ্ত থাকে, এজন্য তাদের স্বপ্নও নিরর্থক ই হয়ে থাকে।তবে দুই একটি স্বপ্নের অর্থ এবং তাৎপর্য থাকতে পারে,যদিও তা বিরল।আর প্রতিটি মুমিন মুসলমান তার মর্যাদা অনুযায়ী স্বপ্ন দেখে থাকে।
স্বপ্নের ব্যাখা কিভাবে করা হয়:
প্রিয় পাঠক!স্বপ্ন সাধারনত রুপক বা মেছাল জগতের জিনিস।যদি আপনি স্বপ্নের ব্যাখায় পারদর্শি হতে চান,তাহলে,রুপক বা মেছাল জগত সম্পর্কে জানতে হবে,ধারনা থাকতে হবে,অথবা শিখতে হবে।
স্বপ্নের ব্যাখায় পারদর্শী হতে অন্তর্দৃষ্টির পাশাপাশি যেসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে—
১।কুরআনের তাফসিরের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
২।হাদিস শরীফ থেকে মোটামুটি জ্ঞান এবং ধারনা অর্জন করতে হবে।
৩।আলমে মেছাল জগতের জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

কুরআন,হাদিসের জ্ঞান বুজতে পারলাম,কিন্তু মেছাল জগত কি?

দারুন প্রশ্ন!আখিরাতের বিষয় দুনিয়াতে বুঝাতে হলে মেছালের মাধ্যমে বুঝানো হয়।
উদাহরন সরুপ,ইলমের মেছাল দুধের সাথে দেওয়া হয়।ইশক বা ভালোবাসার মেছাল পায়েশ বা ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয়।
যদি কেউ স্বপ্নে দেখে,সে দুধ পান করছে।তাহলে এর ব্যাখা হবে,সে শরিয়তের অন্তর্দৃষ্টি লাভ করবে,যদি কেউ দেখে সে ক্ষীর খাচ্ছে,তাহলে সে ইনশাআল্লাহ, আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করবে।যদি কেউ দেখে সে মধু পান করছে।তাহলে এর ব্যাখা হবে সে আল্লাহর মারেফতের জ্ঞান অর্জন করবে।যদি কেউ স্বপ্নে দেখে সে মদ খাচ্ছে,তাহলে এর ব্যখা হবে সে আল্লাহর ইশক ভালবাসার অর্জন করবে,এবং সুধু অর্জন না বরং গভীর ভালোবাসা অর্জন করবে,যেটাকে ইশক বা উনস বলা হয়।

এরকমভাবে মেছাল জগতে বুঝানো হয়,মেছাল।একেক বস্তুর একেক মেছাল হতে পারে।
যদি কেউ স্বপ্নে দেখে, সে পানির মধ্যে দারিয়ে আছে এবং পানির গভীরে নামছে ধীরে ধীরে,তাহলে এর ব্যাখা হবে সে মারেফের জ্ঞান, অর্জন করবে।এবং গভীর জ্ঞান অর্জন করবে ইনশাআল্লাহ।মারেফতের রুপক মধু হতে পারে আবার পানিও হতে পারে আবার দুটোই হতে পাবে।স্বপ্নের ব্যাখা সম্পর্কে আমি পারদর্শী নই,যতটুকু বললাম অভিজ্ঞতা এবং বুযুর্গদের কিতাবাদি থেকে বলেছি।সঠিক তথ্য আল্লাহই ভালো জানেন।




ঘুমের মধ্যে অনেক মানুষকে বোবে ধরে।এটা কি?
আমি যতটুকু শুনেছি এটা একপ্রকার জিন।এই জিনে অনেক সময় ঘুমের মধ্যে মানুষ কে ধরে।মানুষের বাকশক্তি কেরে নেয়,ঐ অবস্তায় মানুষ নরাচরা বা কথা বলতে পারেনা।এই অবস্তা সাধারনত কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়।জাগ্রত মানুষকে উক্ত জিনে ধরেনা,সুধু ঘুমন্ত মানুষকেই ধরে।মানুষটা যখন জাগ্রত হয় তখন জিন দ্রত বুঝে উঠতে পারেনা,যখন বুজতে পারে জাগ্রত হয়েছে তখন উক্ত জিন দ্রুত চলে যায়।সুতরাং বোবে ধরলে নরাচরা অথবা ভীত হওয়া ঠিক নয়।এবং কাউকে ডাকাডাকিও করার দরকার নেই।নিরব থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×