somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সুলাইমান হোসেন
টআমি জানিনা আমি কে?আমি আপনার দিকে দৌড়াতেই থাকবো,যতক্ষন না আপনার রহস্য এবং হাকিকত জানতে পারি,আর আপনি তা না জানালে আমাদের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয়,আয় আল্লাহ আমাদেরকে জান্নাত দিয়েন,আর আপনার পবিত্র সুন্দর চেহরা দর্শনের তৌফিক দিয়েন,তারও বহু বৎসর পর আপনার রহস্য এ

একটি দিনলিপি :শীতের এক সন্ধার স্মৃতি

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি সন্ধার দিনলিপি
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫(শনিবার)
।আমি উত্তরার আশেপাশেই থাকি।বিকালের দিকে যেদিন ডিউটি থাকেনা সেদিন ডিয়াবাড়ি লেকপাড়ের দিকে ঘুরতে যাই।আমি সাধারনত একা একাই ভ্রমন করি,এবং হেটে হেটে ভ্রমন করতে ভালোবাসি।

আজকে আর ডিয়াবাড়ি যাবনা।আজকে একটু নতুন অভিজ্ঞতা নেই।আজকে টঙ্গি যাবো,কুনাকুনি অচেনা রাস্তা দিয়ে কামারপাড়া দিয়ে টঙ্গি ইজতেমা ময়দান।
আমি হারিয়ে যেতে ভালোবাসি অচেনা কোনো জগতে। হায়!কবে যে হারিয়ে যাবো সবকিছু ছেড়ে,তবেই অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করতে পারবো,পরম আনন্দ অনুভব করতে পারবো।
আমি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা র সম্মুখীন হতে ভালোবাসি,এবং নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসি।আমি এলমে মারেফত অর্জন করতে আগ্রহী।এর জন্য প্রয়োজনীয় সাধনা করতেও আগ্রহী।সুধু আমি নই, সব মানুষেরই এই আগ্রহ থাকে।কিন্তু বৈষয়িক টানাপোড়েন, আরো বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি পারিবারিক চাপের কারনে তা পারেনা।

আমি কোথাও ভ্রমনে গেলে,আমার উদ্যেশ্য থাকেনা সুধু চিত্তবিনোদন নয়,বরং বিভিন্ন রকমারি সব উপাদান থেকে শিক্ষা গ্রহনও আমার ভ্রমনের অন্যতম উদ্যেশ্য।

শীতকালীন সময়টা ইবাদতের বসন্তকাল,এসময়ে রাতে তাহাজ্জুদের জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়,আর দিনের বেলায় রোজা রাখাও সহজ হয়।এজন্য শীতকালে দিনে রোজা রাখা উচিত।আমি প্রতিদিন না রাখলেও মাঝেমধ্য দু একটা নফল রোজা রাখার চেষ্টা করি।আজকেও রোজা ছিলাম।
হাটতে হাটতে এক চায়ের দোকানের সামনে যেতেই মাগরীবের আজান দিলো,আমি উক্ত চায়ের দোকান থেকেই পানি দিয়ে ইফতার করলাম।দোকানী ছিলো একজন মহিলা।সাথে ১৫ টাকার একটি কেক এবং ১০ টাকার একটি মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খেয়েছিলাম।
পাশেই মসজিদ ছিলো।মাগরীবের নামাজ আদায় করলাম।আলহামদুলিল্লাহ,ঢাকায় মসজিদের অভাব নেই।যেখানে যাই সেখানেই মসজিদ রয়েছে।সুতরাং নামাজের জন্য চিন্তা করতে হয়না।

ইমাম সাহেবের কেরাত সুমধুর ছিলোএবং সহি ছিলো।সুতরাং আমাকে দ্বিতীয় বার নামাজ পড়তে হয়নি।গ্রামাঞ্চলে অনেক মসজিদের ইমামের কেরাত সহি নয়।সেখানে দ্বিতীয় বার একা একা নামাজ পরে নিতে হয়।অনেকেই বলে দায়ভার ইমাম নিবে, দ্বিতীয় বার কেন পড়তে হবে, তাদের এই কথা আমি মানিনা।কারন ইমামের নামাজ না হওয়ার কারনে যখন পুলসিরাত থেকে পরে যাবে, তখন তুমিওতো তার সাথে সাথে পরে যাবে এবং এক হোকবা নয়, আরো অনেক কাল জাহান্নামেে থাকার আশংকা রয়েছে।কারন এক হোকবা তো তখন যখন উক্ত নামাজ পরে ক্বাজা পড়ে নেওয়া হয়।কিন্তু একেবারেই না পড়লে এক হোকবার থেকে বেশি জাহান্নামে জ্বরতে হবে।⚠

মসজিদ থেকে বের হয়ে নতুন এক জগত যেন আবিষ্কার করলাম। এখন আর আগের আকাশ দেখিনা,আগের সেই জমিনও দেখিনা।নতুন আকাশ এবং নতুন পৃথিবী দেখতে পাই।সব নামাজিদেরই এমনটা হয়,যেহেতু গোপনে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে নিজের নূরের দিকে টানতে থাকেন,যদিও নামাজি তা বুজতে না পারে।
রাস্তার পাশে এক রিকশা চালককে জিগ্যেস করলাম ভাই এই রাস্তা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। রিকশাওয়ালা বলল,১০ নাম্বারের সাথে গিয়ে মিলেছে।আমি ১০ নাম্বারের দিকে যেতে যেতে আব্দুল্লাহপুর টু সাভার হাইওয়ে সামনে পেলাম।সেই রাস্তা দিয়ে সোজা আব্দুল্লাপুর চলে গেলাম।
নাহ!আজ আর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে যাওয়া হবেনা,কারন রাত হয়ে গিয়েছে।সুতরাং আব্দুল্লাহপুর থেকে জসিমুদ্দিন আমার বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম।রাস্তা পাশ দিয়ে রকমারি সব তৈজসপত্রের দোকানপাট বসেছে।েবং মেয়েদের প্রচূর ভীর।ছেলেদের থেকে মেয়েরাই আজকাল বেশি,কেনাকাটা করে।
যদি কেউ মেয়েদের সাথে ধাক্কা খেতে পছন্দ করে ভালোবাসে,সে এই রাস্তা দিয়ে সন্ধার পর চলতে পারে,শ খানেক মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগবে সংঘর্ষ হতে পারে।
একটি মেয়ে তার পিতার সাথে ঘুরতে এসেছে,৯-১০বছর বয়স হবে,নাদুস নুদুস সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মেয়েটা।সে তার পিতাকে বলছে,খালি ঘুরবা!কিছু কিনবা ও না, আর আমারে কিছু খাওয়াবা ও না!!


মেয়েটার চমৎকার কথাটা আমার কানে ভেসে এলো,এবং খুবই ভালো লেগেছিলো কথাটা।মেয়েরা সাধারনত খেতে বেশি পছন্দ করে।

আমারও অনেক ক্ষুধা লেগেছিলো।বাইরে খাবার খেতে আমার লজ্জা লাগে,বিশেষকরে মানুষের সামনে আমি ক্ষেতে পারিনা।সুতরাং বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করলাম
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×