একটি সন্ধার দিনলিপি
১৩ ডিসেম্বর ২০২৫(শনিবার)
।আমি উত্তরার আশেপাশেই থাকি।বিকালের দিকে যেদিন ডিউটি থাকেনা সেদিন ডিয়াবাড়ি লেকপাড়ের দিকে ঘুরতে যাই।আমি সাধারনত একা একাই ভ্রমন করি,এবং হেটে হেটে ভ্রমন করতে ভালোবাসি।
আজকে আর ডিয়াবাড়ি যাবনা।আজকে একটু নতুন অভিজ্ঞতা নেই।আজকে টঙ্গি যাবো,কুনাকুনি অচেনা রাস্তা দিয়ে কামারপাড়া দিয়ে টঙ্গি ইজতেমা ময়দান।
আমি হারিয়ে যেতে ভালোবাসি অচেনা কোনো জগতে। হায়!কবে যে হারিয়ে যাবো সবকিছু ছেড়ে,তবেই অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করতে পারবো,পরম আনন্দ অনুভব করতে পারবো।
আমি নতুন নতুন অভিজ্ঞতা র সম্মুখীন হতে ভালোবাসি,এবং নতুন কিছু শিখতে ভালোবাসি।আমি এলমে মারেফত অর্জন করতে আগ্রহী।এর জন্য প্রয়োজনীয় সাধনা করতেও আগ্রহী।সুধু আমি নই, সব মানুষেরই এই আগ্রহ থাকে।কিন্তু বৈষয়িক টানাপোড়েন, আরো বিভিন্ন বাঁধা বিপত্তি পারিবারিক চাপের কারনে তা পারেনা।
আমি কোথাও ভ্রমনে গেলে,আমার উদ্যেশ্য থাকেনা সুধু চিত্তবিনোদন নয়,বরং বিভিন্ন রকমারি সব উপাদান থেকে শিক্ষা গ্রহনও আমার ভ্রমনের অন্যতম উদ্যেশ্য।
শীতকালীন সময়টা ইবাদতের বসন্তকাল,এসময়ে রাতে তাহাজ্জুদের জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়,আর দিনের বেলায় রোজা রাখাও সহজ হয়।এজন্য শীতকালে দিনে রোজা রাখা উচিত।আমি প্রতিদিন না রাখলেও মাঝেমধ্য দু একটা নফল রোজা রাখার চেষ্টা করি।আজকেও রোজা ছিলাম।
হাটতে হাটতে এক চায়ের দোকানের সামনে যেতেই মাগরীবের আজান দিলো,আমি উক্ত চায়ের দোকান থেকেই পানি দিয়ে ইফতার করলাম।দোকানী ছিলো একজন মহিলা।সাথে ১৫ টাকার একটি কেক এবং ১০ টাকার একটি মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খেয়েছিলাম।
পাশেই মসজিদ ছিলো।মাগরীবের নামাজ আদায় করলাম।আলহামদুলিল্লাহ,ঢাকায় মসজিদের অভাব নেই।যেখানে যাই সেখানেই মসজিদ রয়েছে।সুতরাং নামাজের জন্য চিন্তা করতে হয়না।
ইমাম সাহেবের কেরাত সুমধুর ছিলোএবং সহি ছিলো।সুতরাং আমাকে দ্বিতীয় বার নামাজ পড়তে হয়নি।গ্রামাঞ্চলে অনেক মসজিদের ইমামের কেরাত সহি নয়।সেখানে দ্বিতীয় বার একা একা নামাজ পরে নিতে হয়।অনেকেই বলে দায়ভার ইমাম নিবে, দ্বিতীয় বার কেন পড়তে হবে, তাদের এই কথা আমি মানিনা।কারন ইমামের নামাজ না হওয়ার কারনে যখন পুলসিরাত থেকে পরে যাবে, তখন তুমিওতো তার সাথে সাথে পরে যাবে এবং এক হোকবা নয়, আরো অনেক কাল জাহান্নামেে থাকার আশংকা রয়েছে।কারন এক হোকবা তো তখন যখন উক্ত নামাজ পরে ক্বাজা পড়ে নেওয়া হয়।কিন্তু একেবারেই না পড়লে এক হোকবার থেকে বেশি জাহান্নামে জ্বরতে হবে।⚠
মসজিদ থেকে বের হয়ে নতুন এক জগত যেন আবিষ্কার করলাম। এখন আর আগের আকাশ দেখিনা,আগের সেই জমিনও দেখিনা।নতুন আকাশ এবং নতুন পৃথিবী দেখতে পাই।সব নামাজিদেরই এমনটা হয়,যেহেতু গোপনে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে নিজের নূরের দিকে টানতে থাকেন,যদিও নামাজি তা বুজতে না পারে।
রাস্তার পাশে এক রিকশা চালককে জিগ্যেস করলাম ভাই এই রাস্তা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। রিকশাওয়ালা বলল,১০ নাম্বারের সাথে গিয়ে মিলেছে।আমি ১০ নাম্বারের দিকে যেতে যেতে আব্দুল্লাহপুর টু সাভার হাইওয়ে সামনে পেলাম।সেই রাস্তা দিয়ে সোজা আব্দুল্লাপুর চলে গেলাম।
নাহ!আজ আর টঙ্গি ইজতেমা ময়দানে যাওয়া হবেনা,কারন রাত হয়ে গিয়েছে।সুতরাং আব্দুল্লাহপুর থেকে জসিমুদ্দিন আমার বাসার দিকে হাটা শুরু করলাম।রাস্তা পাশ দিয়ে রকমারি সব তৈজসপত্রের দোকানপাট বসেছে।েবং মেয়েদের প্রচূর ভীর।ছেলেদের থেকে মেয়েরাই আজকাল বেশি,কেনাকাটা করে।
যদি কেউ মেয়েদের সাথে ধাক্কা খেতে পছন্দ করে ভালোবাসে,সে এই রাস্তা দিয়ে সন্ধার পর চলতে পারে,শ খানেক মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগবে সংঘর্ষ হতে পারে।
একটি মেয়ে তার পিতার সাথে ঘুরতে এসেছে,৯-১০বছর বয়স হবে,নাদুস নুদুস সুস্বাস্থ্যের অধিকারী মেয়েটা।সে তার পিতাকে বলছে,খালি ঘুরবা!কিছু কিনবা ও না, আর আমারে কিছু খাওয়াবা ও না!!
মেয়েটার চমৎকার কথাটা আমার কানে ভেসে এলো,এবং খুবই ভালো লেগেছিলো কথাটা।মেয়েরা সাধারনত খেতে বেশি পছন্দ করে।
আমারও অনেক ক্ষুধা লেগেছিলো।বাইরে খাবার খেতে আমার লজ্জা লাগে,বিশেষকরে মানুষের সামনে আমি ক্ষেতে পারিনা।সুতরাং বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করলাম
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



