somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি অপরাধ ছিল ইকবালের বাবার?কেন তাকে লাথির আঘাতে পুত্রের চোখের সামনে মরতে হল?

০৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মনে করুন আপনার চোখের সামনে আপনারই দেবতা তুল্য পিতাকে কেউ লাত্থি মারছে, বুট দিয়ে নির্মম ভাবে আঘাত করছে,চড় মারছে,রাইফেলের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করছে। এবং অবশেষে তার মৃতু্য নিশ্চিত হলে আপনারই চোখের সামনে বাবার লাশ নদীতে ভাসিয়ে ফেলা হয়েছে। কেমন লাগবে তখন?কি রকম অনুভূতি হবে?

হ্যা এসবের প্রতিটা ব্যাপারই ঘটেছে ৮-৯ বছরের ছোট্ট ছেলে ইকবালের চোখের সামনে। তার চোখের সামনে তার বাবাকে ধরে নিয়ে যায় টংগী থানা পুলিশ। আর এভাবেই নির্যাতন করা হয় শিশু পুত্র ইকবালের সামনে।
তারপর ইকবালের বাবার লাশ টংগীর তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এভাবেই বর্ণনা করছিল ছোট্ট ছেলে ইকবাল।

কি ভয়াবহ ব্যাপার। এভাবে নিরীহ,নিরপরাধ ব্যক্তিকে কোন সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করবে, এতো দেখি ৭১ এ পাকিস্তান আর্মিদের মত অবস্থা। তবে কি এসবের জন্যেই দেশ স্বাধীন হয়েছিল?
সাম্প্রতিক কালে পুলিশের হাতে আরও কয়েকটি হত্যাকান্ড আমাকে বেশ ভাবিয়ে তোলে।


রাজধানীর গুলশানে গত বুধবার মিজান নামে এক ব্যবসায়ীকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে। পুলিশ তাকে একজন সন্ত্রাসী বলে দাবী করে, যদিও ঐ এলাকায় মিজানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কেউই করে নি। মিজানকে এলাকায় ভদ্রলোক ও নিরীহ বলেই জানে এলাকাবাসী।পুলিশ এখন গাড়ী ছিনতাইয়ের ঘটনায় মিজানের নাম ঢুকাতে চাচ্ছে।


কিছুদিন আগে পেপারে দেখলাম বাবুল নামে এক সিএনজি চালককে পুলিশ আটক করে। তার কাছে একজন এস আই ১০০০০০ টাকা ঘুষ দাবী করে। কিন্তু সে ৭০০০০ টাকা দিতে পেরেছিল। এ অপরাধে তাকে বেধড়ক পিটানো হয় এবং পুলিশ হেফাজতে বাবুলের মৃত্য হয়। বাবুলই ছিল তার পরিবারের এক মাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি।
এভাবে একের পর এক হত্যকান্ড আসলে সবার মনেই আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। যে কেউ যাকে হত্যা করে নামের আগে কালা শব্দটি জুড়ে দিয়ে সন্ত্রাসী বানিয়ে দিবে। চিন্তা করে দেখুন কি ভয়ংকর ব্যাপারই না!!

আর বর্তমানে পুলিশের কর্মকান্ড দেখে মনে হয় তারা আসলে দেশের মানুষের জন্যে না কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠীর পোষা কুকুরের মত কাজ করছে।

শেষে ইকবালের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে চাই। ইকবাল বাবা তোমাকে কি বলে সান্ত্বনা দিব সেই ভাষা আমার নাই। তোমার বাবাকে যেই শুয়োরের বাচ্চাগুলা বুট দিয়ে লাথি মেরে হত্যা করেছে যদি তাদেরকে আমরা সেভাবেই লাথি মেরে হত্যা করতে পারি তাহলেই তোমার মাথায় একটু সান্ত্বনার হাত বুলাতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৮:৫০
১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×