somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অতীতটা যেন সুখের ছিল,বর্তমানতা কোন জানি কষ্টের মনে হয়।

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইদানিং নানা অদ্ভুত চিন্তা মাথায় ভর করে। এই যেমন, কয়েকদিন ধরে কেবলই মনে হচ্ছে - 'ভালো আছি' কথাটা চিরকালের জন্যে পাস্ট টেন্সের অধিকারে চলে গেছে; প্রতিটি মধুর ঘটনাই যেমন যায়! নিশ্চয়ই ভাবছেন - শুধু মধুর ঘটনাই কেন অতীত হতে যাবে? অতীত তো হয়ে যায় সব ঘটনাই - আজকের বর্তমান, আগামীকাল হয়ে যাবে অতীত, এমনকি এই মুহূর্তের বর্তমান একটু পরই চলে যাবে অতীত কালের দখলে! হ্যাঁ, আপনাদের মতো আমিও সেটা জানি - এই ধরনের চিন্তার প্যাটার্নের সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কিন্তু কিছু সত্য যেন কখনো-কখনো সবার চোখের আড়ালে থাকে, যেগুলো নিয়ে সম্ভবত খুব বেশি ভাবি না আমরা। অন্তত আমার সেরকমই মনে হচ্ছে আজকাল! মনে হচ্ছে - সব ঘটনাই অতীত-কালের সম্পত্তি হয়ে যায় না, কিছু ঘটনা চিরকাল ধরে ঘটমান থাকে। সে-সব ঘটনার ক্ষেত্রে কোনো অতীত থাকে না, ভবিষ্যতও থাকে না - 'কাল' হয়ে ওঠে মাত্র একটি, সেটি বর্তমান কাল - তা-ও 'ঘটমান বর্তমান।' মানে ঘটেই চলেছে, বিরামহীনভাবে। এই যেমন, আমাদের জীবনের নানাবিধ দুর্ভোগ। একটা কাটিয়ে উঠতে-না-উঠতে আরেকটা। ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক জীবনে, পেশাগত জীবনে, সামাজিক জীবনে, জাতীয় জীবনে কেবলই দুর্ভোগ আর দুর্ভোগ। একটার পর একটা। স্বস্তি নেই এতটুকু, কোথাও। এগুলোর যেন কোনো অতীত-ভবিষ্যৎ নেই, আছে শুধু বর্তমান। একবারে সুনির্দিষ্ট উদাহরণ চান? না, আমার পক্ষ থেকে উদাহরণ না দিলেও চলবে। একটু চোখ ও মন খুলে আপনার চারপাশে একটু তাকান, দেখবেন - কিছু মানুষ সারাজীবন ধরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মার খেয়ে যাচ্ছে। তাদের জীবনকে বলা যায় - মার খাওয়া জীবন! গ্লানি-দুঃখ-বেদনা-অপমান ইত্যাদিই হচ্ছে তাদের একমাত্র-অনিবার্য প্রাপ্য - তাদের যেন আর কোনো প্রাপ্তি নেই! তাদের জীবনে এই মার খাওয়ার ব্যাপারটা কখনো অতীত হয়ে যায় না! আরো উদাহরণ? তাহলে বলি - দেখবেন, কিছু মানুষ কেবলই ভোগান্তির শিকার হয়ে চলেছে। কোনো কাজই তারা সহজ-সুন্দরভাবে শেষ করতে পারছে না। হাজার-হাজার বাধা আসছে, সেই পাহাড়সম বাধা পেরোতেও পারছে না তারা। ফলে সব কাজে অনিবার্য ব্যর্থতাই তাদের নিয়তি। এই ধরনের মানুষদের জন্য ব্যর্থতা ব্যাপারটা চিরকাল ঘটমান-বর্তমান, কখনোই অতীত নয়! আর এই সবকিছু দেখে আজকাল আমার এই ধারণা হতে শুরু করেছে - অতীত কালটা খুব চুজি, বর্তমানের সব ঘটনাকে সে নিজের অঞ্চলে প্রবেশাধিকার দেয় না; দেয় শুধু মধুর-সুন্দর-কাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে। আর অতীত-অঞ্চলে প্রবেশের ফলে এই মধুর ঘটনাগুলো তখন হয়ে ওঠে স্মৃতির অংশ, হয়ে ওঠে আরো মধুর, আরো কাঙ্ক্ষিত। এবং বেদনারও - যেহেতু এগুলোকে আর ফিরে পাওয়া যাবে না, সেই অর্থে! ( যেমন, এই 'ভালো আছি' শব্দবন্ধটি। যেন স্মৃতির অংশই ওটা। আর তাই, যথার্থ কারণেই ,মধুর ও কাঙ্ক্ষিত। একই সঙ্গে বেদনারও - ফিরে পাওয়া যাচ্ছে না বলে!) বর্তমানের যে ঘটনাগুলোকে নিজের দখলে নিতে অস্বীকার করে অতীত, বা প্রত্যাখান করে প্রবেশাধিকার, সেগুলো বর্তমানেই থেকে যায়! অতীতে যেতে পারে না বলে সেগুলো চির-বর্তমান। ঘটমান-বর্তমান। যেমন... যেমন. কতোগুলো বলবো? বলে তো শেষ করা যাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×