somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যেভাবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় উঠলাম X(X(X(

২৯ শে মে, ২০১২ রাত ১০:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক অনেক বছর আগে আমি একটানা ১৩ টা ছেঁকা খেয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলাম। আগুনে পুড়ে মরলে বেহেস্ত, এই চিন্তা করে আগুন জ্বালালাম মাঠে। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখি প্রচণ্ড তাপ। দূর থেকেই আমার আঙ্গুল পুড়ে গেলো। তাই ভয়ে আর মরতে পারলাম না ।


কিন্তু সময় যেন কাটে না। তাই আমার কয়েক বন্ধু আমাকে পরামর্শ দিল এখনই সময় এভারেস্ট জয় করার। যেই চিন্তা সেই কাজ। আমরা সবাই হেঁটে রওনা হলাম।(আমি, মই্‌ন সাগর, সুনন, মুনিম)



পথিমধ্যে আরেক বন্ধু প্লাবনের সাথে দেখা হল ! সে নাকি এক শেরপা বিয়ে করে এখন শেরপা হয়ে গেছে(প্লাকু শেরপা)। আমরা প্লাবনকে আমাদের গাইড বানালাম। সে এই খুশিতে মইনকে কোলে তোলার চেষ্টা করলো। যদিও সাগরের সয়াহতা ছাড়া এটা সে পারত না।


আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম। ২৩২৩২ ফুট উপরে একটি নদী আছে।তার উপর কাঠের এক ব্রিজ।অপর প্রান্তে একটা টয়লেট।ব্রিজটি একজনের ভার সহ্য করতে পারে কিনা সন্দেহ ! কিন্তু সুননের হঠাৎ বাথরুম চাপায় ২ জন করে আমরা পাড় হলাম। ছবিতে দেখুন কাপড়ের দড়ির তৈরি রেলিং ধরে ধরে কি কষ্ট করে আমরা পাড় হচ্ছি।




অপর প্রান্তে গিয়ে সবাই ক্লান্ত হয়ে গেলুম। মইন আর সামনে এগুতে অস্বীকার করলো এবং শুয়ে পড়লো।



সবাই জোর করে তাকে উঠিয়ে আবার হাটা শুরু করলাম। একটু হাঁটার পরই পড়লো এক মনোরম গৃহ।




সেখানে আমাদের স্বাগত জানাল ৩ সুন্দরী যুবতী !!!!



তাদের দেখে আমাদের ২ বন্ধুর (মুনিম, মইন) এভারেস্ট জয়ের সংকল্প টলে গেলো !!!



তারা সুন্দরী বিয়ে করে পাহাড়ে থাকার বায়না ধরল। কিন্তু সেখানে জীবনধারণ অনেক কঠিন। একমাত্র সি এন জি চালানো বাদে কিছু করার নেই। প্রেমে অন্ধ বেকুবদ্বয় তাই করার সিদ্ধান্ত নিল। (তাদের খোঁজ আর পাওয়া যায়নি। ওই শেষ।)







আমরা রাগান্বিত হয় বাকি ৪ জন চুড়ার উদ্দেশে রওনা দিলুম। পথিমধ্যে ২ টা পাহাড়ি কুত্তা পড়লো। প্লাবন (প্লাকু শেরপা) ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো। আমরা তাকে সেখানেই রেখে উপরের দিকে আগালাম। (নোটঃ প্লাকু= প্লাবন কুত্তা)





শেষ পর্যন্ত একদম চুড়ার কাছাকাছি পৌছালাম। এমন সময় সুননের ফোন আসলো।তার জি এফ কঠোরভাবে নিষেধ করলো চুড়ায় উঠতে। কারন সেখানে ফোনের নেটওয়ার্ক নেই বলেই সে জানে। আর যদি সুনন উঠে তাহলে ব্রেকাপ। ভয়ে সুনন নিচে থাকার প্লান করলো।নার্ভাস সুননকে দেখাশোনার জন্য সাগর রয়ে গেলো। আমি একাই উঠা শুরু করলাম। চারদিকে বাতাস আর প্রচণ্ড তুষারপাত!! (ছবিতে তুষার দেখা যাচ্ছেনা। আমার ক্যামেরা দিয়ে তুষার দেখা যায় না)।




অবশেষে আমি এভারেস্ট চুড়ায় উঠতে সমর্থ হলাম। আরেহ !! ক্যামেরা কোথায় !!! সেটাতো সাগরের কাছে নিচে !!! আবার নিচে নেমে ক্যামেরা নিয়ে আসবো ??? কিন্তু না !!! Fortune সহায়তা করে the brave. সেই সময়ই এভারেস্ট এর উপর দিয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশের স্পাই স্যাটেলাইট “কুদ্দুস ০৭”
তারা আমার ছবি তুলছে বুঝতে পেরে আমি একটা গাছ থেকে ডালা (যদিও দেখতে বাঁশের মতো) ভেঙ্গে লাঠি বানিয়ে পার্ট মেরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম।



কিভাবে আমি সেখান থেকে বাড়ি ফিরে আসি আমার ঠিক মনে নেই। তবে কথা দিচ্ছি ৪৮ ঘণ্টার মাঝে এর সমাধান করা হবে।

(এটা একটা স্বপ্নযোগে পাওয়া ভয়াবহ সিরিয়াস পোস্ট! কিন্তু কারো সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই।)
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১২ রাত ১১:০৪
২১টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×