somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম, ভালবাসা, বিয়ে এবং নর-নারী প্রসংগ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


----৫ম ভাগ---

সাধারনত মানুষের পূর্ব পূরুষ সংক্রান্ত এই আলোচনায় সেই জিনিসকেই প্রাধান্য দেয়া হবে বা আদর্শ মতবাদ হিসেবে ধরা হবে যা সঠিক হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী আর তাই বর্তমান বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন হতে এবং যৌক্তিকভাবেও ধর্মীয় মতবাদটিই বেশী গ্রহনযোগ্য তাছারা মানুষের উৎপত্তি খুঁজতে গিয়ে গত দশকে হিউম্যান জেনেটিসিষ্টরা বংশধরদের ডিএনএ এনালাইসিস করে পুর্ব পুরুষদের জেনম সম্পর্কে অনেক প্রমান খুজে পান যাকে the patrilineal most recent common ancestor বা ওয়াই ক্রোমোজোম এড্যাম ধরেছেন অর্থাৎ আদি পিতা আদম আঃ এর ওয়াই ক্রমোজমের কারনেই সকল পূরুষগন পুরুষালী গঠন লাভ করে। আবার ঠিক একইভাবে আদিমাতা হাওয়া আঃ এর কারনে যা বংশাক্রমানুমোকিকভাবে সবার শরীরেই এসেছে তাকে মাইটোকন্ড্রিয়াল ঈভ বা the most recent common matrilineal ancestor বলা হয়। সুতারাং আমাদের আদিপূরূষ দুজন হতেই আজ এতগুলো মানুষের উৎপত্তি কিন্তু প্রশ্ন হল তবে কি তখন ভাই বোনে বিয়ের প্রচল ছিল ? না ! তা নয় বরং তখন মা হাওয়ার জমজ শিশু জন্মাত একইসাথে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে, আর এরাই ছিল আপন ভাই বোন আর পরবর্তীতে যে জমজদের জন্ম হত তারাও একই দম্পতির হলেও DNA , চেহারা আলাদা হত এমনকি রক্তের গ্রুপও এমন হত যে আগের জমজদের সাথে পরের জমজদের বিয়ে হলেও সমস্যা হত না। এখন অবশ্য এমন জমজ(এক ছেলে এবং এক মেয়ে) খুবই দুর্লভ আর দু-একজনের জমজ হলেও তা হয় ক্লোন টাইপ জমজ অর্থাৎ দুজনই হয় ২ছেলে নয়ত ২মেয়ে আর দেখতেও হুবহু একই রকম হয় এমনকি রক্তের গ্রুপসহ DNA বিন্যাসও হয় প্রায় একই। তাছারা বর্তমানে কিন্তু একটি দম্পত্তির জমজ ছারাও ৫/৭ জন সন্তান হলে সবারই রক্তের গ্রুপসহ DNA বিন্যাসও কিন্তু প্রায় কাছাকাছিই হয় তাই আপন ভাইবোনই ধরা হয় এমনকি সৎ বোনের ক্ষেত্রে ভিন্ন মাতা এবং রক্তের ধরন কিছুটা আলাদা হলেও জিনগত সাদৃশ্য ভালই থাকে আর একারনেই আপন ভাই-বোন এবং সৎ ভাই-বোনের মাঝে বিয়ে হলে এমনি কনফ্লিক্ট হয় যে - সন্তান বিকালংগ ছারাও পরস্পর বিকর্ষণবোধসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে, সুতারাং এ ধরনের বিয়ে আদম-দম্পতি পরবর্তী হতে আর কোন ধর্মেই হালাল নয়।

আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল বর্তমানে মানুষের যতগুলো রক্তের গ্রুপ পাওয়া যায় ঠিক ততগুলোই জোড়া জোড়া করে আদি দম্পত্যি আদম হাওয়া আঃ এর জমজ শিশুর জন্ম হয়ে থাকতে পারে। আর সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হল- এই আধুনিক বিশ্বায়নের যুগেও পুরো পৃথিবীর মানুষকে জাতি হিসেবে বা দৈহিক আকৃতি ও চেহারা অনুসারে মোট কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন- ১) ককেশীয়(সাদা চামরার মানুষ) ইউরোপ, আমেরিকা এবং রাশিয়ায় এরা সংখ্যাগুরু ২) মঙ্গলিয়ান( গোল চেহারার এবং বেটে মানুষ) চীন,জাপান, কোরিয়ান বা এশিয়া প্রধান দেশের মানুষ ৩) নিগ্রো (কালো জাতি) আফ্রিকা হতে শুরু করে দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশ যেমন- ব্রাজিল। ৪) ইন্ডিয়ান এবং রেড ইন্ডিয়ান( মিশ্রজাতি) ভারত উপমহাদেশ এবং আমেরিকার কিছু মানুষ ৫) পারসিয়ান (লম্বা হলুদ বর্ণের মানুষ) ইরানসহ এর আশে পাশের দেশ সমূহ। ৬) এরাবিয়ান(লালচে হলুদ বর্নের মানুষ) সাধারনত পুরো আরব প্রদেশসহ বেশিরভাগ ইহুদী সম্প্রদায়ও এর অন্তর্ভুক্ত। সুতারাং এর মাধ্যমে বুদ্ধিমান যে কেউ ই বুঝতে সক্ষম হবে যে আদম ও হাওয়া আঃ এর যেসব জমজ সন্তান জন্মগ্রহন করেছিল তারাও উক্ত প্রধান কয়েক প্রকারেই হয়েছিল। যেমন- আদম দম্পতির অনেকগুলো সন্তানদের মাঝে ১ম জুগলই ছিল কাল সন্তান আর বর্তমানে তাদের বংশধররাই আজকের নিগ্রোজাতি, এদের মৌলিক চেহারা বর্তমান যুগে এসেও খুব বেশি পরিবর্তন হয় নাই কারন এরা অতীত হতেই শুধু নিজেদের মাঝেই বিয়ের মাধ্যমে আত্মীয়তার সম্পর্ক করত। মোটকথা নিগ্রোদের কালো হবার মুল কারন জেনেটিক যা কিনা আদম আঃ কাল হতেই চলে আসছে যদিও কিছু বিজ্ঞানীরা বলুক না কেন যে সূর্য্যের কারনে তারা এমন হয়েছে, আসলে বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র ধারনা বশ্বতই এসব বলে কেননা সূর্য্য ও আবহাওয়া,প্রকৃতি-পরিবেশের কারনেও মানুষের চেহারায় কিছু পরিবর্তন আসে কিন্তু তারও একটি মাত্রা রয়েছে। মানবচেহারা বেশিরভাগ নির্ভর করে বংশগতভাবে জেনেটিক্যালী নির্দেশনার উপর আর এজন্যই নিগ্রোদের অনেকেই ইউরোপ-আমেরিকা এবং আরবদেশে শত শত বছর স্থায়ীভাবে অবস্থান করার পরও তাদের চেহারায় তেমন একটা পরিবর্তন লক্ষিত হয় না। সুতারাং বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের চেহারা বিভিন্ন রকম হবার মূল কারন সূর্য্য ও আবহাওয়া,প্রকৃতি-পরিবেশ নয় বরং আদম দম্পতির একের পর এক বিভিন্ন চেহারার সন্তানজুগল জন্মানোর ফলেই আজ সারাবিশ্বে বিভিন্ন চেহারার জাতি দেখা যায়। বর্তমানে ভূতত্তবিদরা গবেষনা করে বের করেছে যে অনেক পূর্বে মানব জাতিরা পাশাপাশিই অবস্থান করত অর্থাৎ আমেরিকা কানাডাসহ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড এর মত দেশগুলোও আফ্রিকা আর ইন্ডিয়ার সাথে পাশাপাশিই ছিল পরবর্তিতে বিভিন্ন ভূ-প্রাকৃতিক কারনে এসব দেশ আলাদা হয়ে মাঝামাঝি বিশাল সূমদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। সকল জাতিই মোটামুটি পাশাপাশি অবস্থান করলেও যেসব জাতি আদম আঃ সময় হতেই কালো বর্নের ছিল এরাই বেশি তাপমাত্রার অঞ্চলে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত বলে আফ্রিকার দিকেই ধীরে ধীরে বসবাস করা শুরু করে, একইভাবে শ্বেতাংগরা সবচেয়ে ঠান্ডা অঞ্চলে থাকা শুরু করেছিল কারন তারা বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারত না অর্থাৎ সূর্য্য ও প্রাকৃতিক কারনে মানুষের চেহারা বিভিন্ন রকম হয়নি বরং আদম সন্তানেরই বিভিন্ন গঠন ও চেহারার সন্তানগুলো নিজেদের শারীরিক সুবিধার্তে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাস শুরু করেছিল আর তখনকার মানুষের দৈহিক আকৃতি ও পা অনেক বড় হওয়ার তারা পায়ে হেটেই অনেক দূর দূরান্ত পাড়ি দিতে পারত। এর সুন্দর একটি উদাহরণও দেয়া যেতে পারে এভাবে যে- যদি বর্তমানেও আমেরিকায় যদি একটা বড় মাঠ এমন ধরনের নির্বাচন করা হয় যে সেই মাঠের একাংশ হবে গাছপালার ছায়াবিশিষ্ট নাতিশীতোষ্ণ, আরেক অংশ রোদসহ তুলনামূলক গরম এবং বাদবাকী অংশ এসি দিয়ে হাইকুলিং এর মাধ্যমে ঠান্ডা পরিবেশ সৃষ্টি করা। অতঃপর সেই মাঠে কিছু নিগ্রো কিছু শ্বেতাংগ এবং কিছু মিশ্র চেহারার মানুষকে যদি ৭ দিনের জন্য স্বইচ্ছায় যেখানে খুশি অবস্থানের কথা বলা হয় তবে ১ম কয়েকদিন সকলকেই এয়ার কন্ডিশন্ড এরিয়াতেই অবস্থান করতে দেখা গেলেও শেষের দিনগুলোতে দেখা যাবে যে রোদ্র এড়িয়াতে সকল নিগ্রো স্বইচ্ছায় অবস্থান করছে, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে মিশ্ররাই বেশি অবস্থান করছে আর এয়ার কন্ডিশন্ড এরিয়াতেই কেবল শ্বেতাংগরা এখনও অবস্থান করছে, আর এমন হবার কারন তারা জেনেটিক্যালীই শরীরের চাহিদানুযায়ি ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রায় থাকাকে পছন্দ করতে বাধ্য হয়েছে। এখন এই ৭ম দিনে এসে কেউ উক্ত মাঠ ভালভাবে পর্যবেক্ষন করে যদি বলে এই টানা ৭দিনের রোদ্রে পুড়েই একমাত্র সূর্য্যের কারনেই নিগ্রোরা এমন কালো রঙ ধারন করেছে, মিশ্ররা মিশ্র বর্ন এবং প্রচন্ড ঠান্ডায় বাদবাকীগুলো শ্বেতবর্ন ধারন করেছে তবে তাকে যে পর্যায়ের অজ্ঞ বা বোকা ভাবা হবে তারচাইতেও বেশি গাধা কিন্তু এযুগের বেশিরভাগ বিজ্ঞানীরা।

উপরের আলোচনায় এ কথা বার বার বলা হয়েছে যে মানুষের সৌন্দর্য্য নির্ধারনের ব্যাপারটি আসলে আপেক্ষিক আর তাই মানুষের একে অপরকে পছন্দ করার নীতিটিও আসলে তিনটি প্রধান বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারন হয়ে থাকে যেমন- ১) বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারন ২) পরিবেশগত প্রভাব এবং ৩) অভ্যাসগত বা অভ্যস্থতার প্রভাব। এখন এই বংশগতির কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্যই উপরে ডারউইনের বিবর্তনবাদ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবার নিম্নে ধর্মীয় মিথ নির্ভর আদম ও হাওয়া আঃ ইতিহাস সম্পর্কেও সংক্ষেপে আলোচনা করা হচ্ছে কেননা এটিও কিন্তু মূল বিষয় বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত গুরুত্বপূর্ন একটি ব্যাপার ।
ধর্মীয় ইতিহাস এবং বিজ্ঞান ইত্যাদির মাধ্যম ছারাও আরো বিভিন্নভাবে গবেষনা করে বুঝা যায়- পিতা আদম এবং মাতা হাওয়া আঃ স্বর্গ হতে দুনিয়ায় আসায় এবং একদম ১ম আদি মানব যুগল হওয়ায় এমনও হতে পারে যে উনাদের রক্তের গ্রুপসহ ডিএনএ সিকোয়েন্সও ছিল পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশ এবং খাদ্যগ্রহনের উপর নির্ভর করে সর্বদাই পরিবর্তনশীল কিন্তু বর্তমান মানুষের বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশের প্রভাবে ডিএনএ সিকোয়েন্স আপনা আপনিই কিছুটা পরিবর্তন হলেও রক্তের গ্রুপও চেঞ্জ খুবই দূর্লভ বা কারো বোনমেরূ পরিবর্তন ছাড়া সাধারনত ব্লাডগ্রুপ আপনা আপনি পরিবর্তন হয় না কিন্তু তাদের ব্যাপার আলাদা তাদের সম্ভবত ব্লাডগ্রুপও আপনা আপনি পরিবর্তন হয়ে যেত অথবা শুধুমাত্র আর এইচ ফ্যাক্টর বা পজেটিভ নেগেটিভের পরিবর্তন হত তাছারাও আদম আঃ এবং মা হাওয়া আঃ এই দুজনের মাঝে একজনের রক্তের গ্রুপ এ এবং অন্যজনের গ্রুপ বি হবার সম্ভাবনাও রয়েছে কেননা কেবলমাত্র পিতা-মাতার এ এবং বি এই দুটি গ্রুপ হলেই কিন্তু সন্তানরা একাধারে রক্তের (এ,বি,এবি,ও) হয়ে জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে। উনাদের দুনিয়াতে আসার পূর্বে স্বর্গে থাকাবস্থায় আদম আঃ এর বুকের হাড় হতে মা হাওয়া আঃ কে ক্লোনিং করা হয়েছিল বিধায় ১ম দিকে সেখানে দুজনের রং চেহারা ও দৈহিক গড়ন খুবই সুন্দর এবং একই টাইপ ছিল কিন্তু দুজনেই দুনিয়াতে আসার সময় গায়ের রঙ এর পরিবর্তন ঘটে এজন্য জিবরাইল ফেরেশতা আদম আঃ কে প্রতি চন্দ্র মাসের তারিখ ১৩,১৪,১৫ তে রোজা রাখতে আদেশ দেন কেননা উনার পুরো শরীর কালচে হয়ে গিয়েছিল। আদম ও হাওয়া আঃ দুজনেই একই সময়ে দুনিয়াতে আসলেও দুজন দুই স্থানে অবতরন করেন এবং দুজনে একত্রিত হবার জায়গায় উল্টো আরও দিক-বেদিক হারিয়ে দুজনেই পরস্পর হতে আরও দূরে পৃথিবীর দুই প্রান্তে চলে যান, সম্ভবত আদম আঃ অনেকদিন আফ্রিকার দিকে তুলনামূলকভাবে গরম পরিবেশে অবস্থান করেন এরপরে উনাদের পাপ মোচনের পর সৌদি আরবের আরাফার ময়দানে ১ম মিলিত হন। যখন উনারা মিলিত হন তখনও আদম আঃ এর গায়ের রঙ ভীষন কালো থাকলেও মা হাওয়া আঃ এর গায়ের রঙ হয়ত অবতরনের কারনে কালো না হয়ে উল্টো আরও বেশি সাদা হয়েছিল তাই তিনি তাঁর সাদা শরীরের জন্য আরামদায়ক ঠান্ডা এলাকায় অবস্থান করেছিলেন আর দীর্ঘদিন ঠান্ডা এলাকায় থাকার দরুন হয়ত আরও সাদা হয়ে গিয়েছিলেন এবং চুলগুলো একটু বেশী কোঁকড়ানো হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক ইত্যাদি আরও বিভিন্ন কারনে আদম ও হাওয়া আঃ ১ম মিলনের ফলে জন্ম নেওয়া ১ম জমজ সন্তানদের মাঝের ১মজন ছিল ছেলে যার গায়ের রঙ কালো, চুল কোঁকড়ানো এবং নাম ছিল কাবিল আর রক্তের গ্রুপ হবার সম্ভাবনা এবি পজেটিভ ঠিক একইভাবে ১ম জমজের ২য়জন ছিল মেয়ে যার নাম আখলিমা, কিন্তু গায়ের রঙ সাদা এবং রক্তের গ্রুপ এবি নেগেটিভ হলেও ডিএনএ বিন্যাস প্রায় একই ছিল তাই তারা ছিল আপন ভাইবোন। আদম দম্পতির পরবর্তিতে আরেক জোড়া জমজ সন্তান হয় যাদের ১ম জন ছিল মেয়ে নাম গাজাহ বা Awan, গায়ের রঙ তুলনামূলক কাবিলের চাইতে কমই কালো এবং রক্তের গ্রুপ হবার সম্ভাবনা এবি নেগেটিভ আর ২য় জন ছিল হাবিল যার গায়ের রঙ ছিল ফর্সা আর তার রক্তের গ্রুপ হবার সম্ভাবনা এবি পজেটিভ কিন্তু ডিএনএ সিকোয়েন্স এ মাত্রারিক্ত মিল থাকায় এরাও দুজন ছিল আপন ভাইবোন তাই নিজেদের মধ্যে বিয়ে ছিল হারাম তবে কাবিলের সাথে গাজাহ বা Awan এর বিয়ে হয় আর এই দম্পতির দ্বারা দুনিয়াতে যে জাতি এখনও বর্তমান আছে তাদেরকেই আমরা নিগ্রো জাতি হিসেবে জানি । একইভাবে বর্তমান বিশ্বের শ্বেতাংগ বা সাদা চামরার মানুষরা কাবিলের আপন বোন আকলিমার বংশধর হবার সম্ভাবনা প্রবল।

যাইহোক আদম দম্পতির ১ম জমজ অথবা ১ম এবং ২য় বারে মোট চারটি জমজ সন্তান প্রসবের কয়েক বছর পরেই হয়ত কয়েক জোড়া সন্তান মৃত হয়ে জন্মাত অথবা জন্মানোর পর পরই মারা যেত অর্থাৎ শিশুবস্থাতেই মারা যেত। আদম দম্পতির এর পরবর্তীতে যতগুলোই জীবিত জমজ ছেলে-মেয়ে হয়েছিল তাদের সকলকেই পূর্বের অথবা পরের জমজ সন্তানদের সাথে বিয়ে দেয়া হত এবং যার সাথে বিয়ে হত সে পূর্ব হতেই ঈশ্বর কর্তৃক নির্ধারিত পাত্র-পাত্রী ছিল অর্থাৎ তারাই সত্যিকারের জীবনসাথী হিসেবে গন্য হত যাকে বলা হয় soulmate বা জনম জনমের জুগল। এভাবেই পৃথিবীর ১ম আদি দম্পতি হতে যত গুলো জুগল স্থায়ী হয়েছিল ঠিক ততোগুলোই প্রধান বর্ণের মানব জাতি আজও দুনিয়াতে বিদ্যমান। উদাহরণস্বরুপ- আদম দম্পতির ১ম আর ২য় গর্ভের সন্তানগুলোর মাঝে গায়ের রঙ্গে পার্থক্য ছিল বেশি কিন্তু সকলেই লম্বা ছিল যেকারনে আজও নিগ্রো এবং ককেশীয়দের গায়ের রঙ এ বেশী পার্থক্য দেখা যায় পাশাপাশি এ ২ জাতিই কিন্তু সবচেয়ে লম্বা জাতি।
আদম দম্পতির পরবর্তী সন্তানদের মাঝে গায়ের রঙ এর পূর্বের ন্যায় পার্থক্য ধীরে ধীরে কমে আসছিল অর্থাৎ তাদের প্রায় সকলেই তুলনামূলক ফর্সা হচ্ছিল কিন্তু মুল চেহারা আর আকার আকৃতি এবার আলাদা হচ্ছিল যদিও আদম দম্পত্তির সর্বমোট ২০ টি গর্ভ সঞ্চার হয় বলে জানা যায় তবে উনাদের সন্তানদের জুগল বা জুটি হতে আরও বিভিন্ন চেহারার জাতির উদ্ভব হয়েছে । যেমন- আদম সন্তানেরই জমজের একটি জুটি হতে সৃষ্টি হয়েছে মংগলীয়ান চেহারার বেঁটে গোলাকৃতির মানুষ আরেকটি জুটি হতে সৃষ্টি হয়েছে লম্বা পারস্য বা ইরানী জাতিগুলো, ঠিক একইভাবে আরেক জুগল হতে সৃষ্টি হয়েছে ইউরোপিয়ান জাতি।
তবে একটা জিনিস উল্লেখ করা খুবই গুরুত্বপূর্ন আর তা হল- আদম ও হাওয়া আঃ এর জান্নাতে থাকাবস্থায় যে চেহারা ছিল তা দুনিয়াতে আসার পর অনেক পরিবর্তন হয়ে খারাপ গিয়েছিল আর যতই তাদের বয়স বাড়ছিল ততই তাদের চেহারা একটু একটু করে বুড়িয়ে গেলেও আবার পূর্বের জান্নাতের ন্যায় উজ্জ্বল হচ্ছিল আর সেই অনুযায়ি উনাদের শেষের দিকের সন্তানগুলোর চেহারা, গায়ের রং, আকার আকৃতি পূর্বের সন্তানদের তুলনায় বেশী ভারসম্যপূর্ন সুন্দর এবং উজ্জ্বল হচ্ছিল তাই ১৯তম গর্ভের সন্তানগুলোর চেহারা অনেকটাই ভারসম্যপূর্ন হয়েছিল সম্ভবত এই গর্ভেরই মেয়ে সন্তানের নাম “আজুরা” ছিল কিন্তু সবচেয়ে বেশী ভারসম্যপূর্ন সুন্দর চেহারা হয়েছিল তাদের শেষ সন্তানের যার নাম শীষ আঃ। আর ভারসম্যপূর্ন চেহারা বলতে বুঝায়- বেশী লম্বাও নয় আবার বেশী বেটেও নয় অর্থাৎ মধ্যম আকৃতির, ঠিক একই ভাবে স্বাস্থ্য, রং এবং দৈহিক গড়নের বেলাতেও মধ্যম পর্যায়ের আবার কেশের বেলাতেও তাই অর্থাৎ একেবারেই সোজা কেশও নয় আবার পুরোপুরি কোঁকরানোও নয়। আর এই সন্তানই একমাত্র এককভাবেই জন্মেছিল অর্থাৎ তার কোন বোন ছিল না অনেকে মনে করেন হাবিল এর ক্ষতি পূরন করতে স্রষ্টা আদম দম্পতিকে শীষ আঃ কে দিয়েছেন। শীষ আঃ এর চেহারা এমন ছিল যে পিতা-মাতাসহ সকলের কাছেই খুবই পছন্দনীয় ছিল এবং সবাই তাকে খুবই ভালবাসত আর শিশুকাল থেকেই তার স্বভাব চরিত্রও ছিল সবচেয়ে ভাল।

শীষ আঃ এর রক্তের গ্রুপ হবার সম্ভাবনা ও গ্রুপের পজিটিভ এমনকি শীষ আঃ এর যুগল বা স্ত্রী আজুরার রক্ত ও গ্রুপ হবার সম্ভাবানা। শুধুমাত্র ও ব্লাড গ্রুপের এই দুই জনের ভাষাই পরিপূর্ন শুদ্ধ হত বলে এই ব্লাড গ্রুপ হতেই আরব জাতির উৎপত্তি হতে পারে কিন্তু অন্য যুগলরা ভাষার ব্যাপারে পরিপূর্ন যত্নবান না হওয়ায় এবং সর্বপরি তাদের দৈহিক গড়ন এবং সে অনুযায়ি তাদের অভ্যন্তরিন স্বর-তন্ত্রের বৈচিত্রতার কারনে বিভিন্ন ভাষার উদ্ভব হয় যেমন- আদম, হাওয়া আঃ সহ ও ব্লাডের যুটিরা উচ্চারন করত "থা" আর হতে পারে এবি যুগলরা ওটাকেই "থা" না বলে "ঠা" বলত এবং অন্য যুটিরা বলত "তা" পরবর্তীতে তাদের সন্তানদের মাঝেই একসময় হয়ত “টা” বলা শুরু হয়েছিল। আদম সন্তানের কিছু জুটি "চ" এর উচ্চারন বেশী করত এবং নাকেশ্বরে কথা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত এভাবে তাদের সন্তানদের মাঝেও এভাবে কথা বলার অভ্যাস গড়ে উঠে যেভাবে বর্তমানে চাইনিজ/মংগলীয়ানরা বলে থাকে। মোটকথা আরবী ভাষা ব্যাতীত সকল ভাষাই হল আরবী ভাষারই সুদীর্ঘ কালক্রমে বিকৃত রুপ মাত্র। শুরুর দিকে সকল আদম সন্তানই পাশাপাশি বাস করত বলে গোত্র অনুযায়ি উচ্চারনে সামান্য কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হত শুধু। কিন্তু ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং পরস্পরের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি এবং যোগাযোগ কমে যাওয়ায় মূল আদি ভাষার বিকৃতি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকলেও কিন্তু একে অন্যের ভাষা ভালই বুঝত মোটকথা তখনও সম্পূর্ন আলাদা আলাদা কোন ভাষার সৃষ্টি হয়নি কিন্তু আরো যুগ অতিবাহিত হবার পর বিশেষ করে নূহ আঃ এর মহাপ্লাবনের পর হতে একেক জাতিতে একেক রকম ভাষার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। পূর্বে যে শুধুমাত্র একটি ভাষাই আরবীই ছিল এর বড় প্রমান হল আজও প্রায় সকল ভাষাতেই ঈশ্বরের আসল নাম আল্লাহ, এল্লাহই,ইলাহ, এলোহেম পাওয়া যায় এবং মায়ের নামের ক্ষেত্রে প্রায় সকল ভাষাতেই ম উচ্চারনই রয়েছে এমনকি বাবা নামের উচ্চারনেও ব অক্ষরই বেশিরভাগ ভাষাতে পাওয়া যায় তছারা সাপ এর উচ্চারণ বেশিরভাগ ভাষাতেই “স” এর মত করে আজও উচ্চারণ করা হয় এমনকি ঈগল এর উচ্চারন বেশিরভাগ ভাষাতেই আজও প্রায় একই রকম। আর আরবীই যে একমাত্র আদি ভাষা ছিল তার প্রমান হল – যেটি আদি ভাষা বা মৌলিক ভাষা হবে অবশ্যই তার বর্ণ সংখ্যা অন্যান্ন ভাষার তুলনায় কম থাকতে বাধ্য যেমন-আরবীতে ট, ঠ, থ,প, ফ, চ,ঙ ইত্যাদি উচ্চারনের কোন বর্ণ নেই এবং অবশ্যই সে ভাষার ছোট খাট শব্দের দ্বারাই বড় বড় মনের ভাব প্রকাশসহ বাক্যভেদে একই শব্দেরই বিভিন্ন অর্থ থাকবে যা শুধুমাত্র আরবী ভাষার ক্ষেত্রেই এমন বেশী হয়ে থাকে তাছারা যে ভাষার ব্যাকারণিক নিয়মগুলো খুবই সুশৃংখল এবং গানিতিক হবে সেটিই হবে সবচেয়ে আদি ও মানব জাতির মৌলিক ভাষা আর এবিচারে আরবী ভাষাই যে ১ম স্থান দখল করবে সেটি সকল ভাষা বিশেষজ্ঞই জানে, কিছুদিন পূর্বে ইন্ডিয়ার এক গবেষকও প্রমান করে দেখিয়েছেন যে হিন্দি ভাষা মুলত আরবী ভাষা হতেই এসেছে। আর ও ব্লাডের জুটি হতে মূল আরবী ভাষার হুবহু সংরক্ষন হবার আরেকটি কারন হল- এই জুটির সন্তানরাই বেশী ধার্মীক ছিল এবং পিতা মাতার সবচেয়ে বেশী কাছাকাছি থেকেছে আর এদের বংশ হতেই পরবর্তীতে নবী-রসুলগনের বংশধারা চলে এসেছে। শীষ আঃ এর ঔরসে এবং আজুরা এর গর্ভে এক সন্তান হয়েছিল যার নাম ছিল আনোছ আর আনোছের বংশ হতেই নূহ আঃ সহ যত নবী- রসুলের জন্ম। তবে এটা যদিও সত্য যে আদম আঃ এবং তার সন্তানদের বিস্তারিত কাহিনী অথেনটিক সুত্রে খুব একটা পাওয়া যায় না তাই এখানে উল্লেখিত বর্ননা একশ ভাগই যে সঠিক তা বলা যাবে না তারপরেও এখানে যেগুলোর দলীল তুলনামূলক বেশী বিশুদ্ধ সেগুলোকেই উল্লেখ করা হয়েছে যেমন- বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া যায় যে আদম আঃ এর সন্তান মোট ২০ জোড়া কোন কোন সুত্রে ১২০ জোড়া(১৩৯টি) আবার কোন কোন সুত্রে ১৪০ জোড়া এমনকি মোট ৩৬১টি সন্তান জন্মেরও উল্লেখ পাওয়া যায় কিন্তু মোট ২০ জোড়া সন্তান জন্মের দলীলই বেশী বিশুদ্ধ বলে এটাই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে আবার অন্যান্ন ইতিহাসও বিশেষ করে প্রমানিত বৈজ্ঞানিক গবেষনাকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে যেমন- ব্লাড গ্রুপের ব্যাপারে, এ পর্যন্ত মোট ৩৭ প্রকারের ব্লাড গ্রুপ বিশ্বে পাওয়া গিয়েছে সর্বশেষ পাওয়া যায় ইন্ডিয়াতে যাকে আইএনআরএ নামকরন করা হয়েছে এরকম আরো অনেক নামই রয়েছে যেমন MNS, P, Duffy, Kidd, Junior, Vel ইত্যাদি তবে এগুলো খুবই দূর্লভ, সবচেয়ে বেশী যে ব্লাড গ্রুপ বিশ্বে পাওয়া যায় তাকে বলা হয় এবিও সিষ্টেম আর এই সিষ্টেমের মাঝেই আদম আঃ এর প্রথম পর্যায়ের সন্তানগুলির জন্ম হবার সম্ভাবনা বেশী আর অন্নান্য দূর্লভ গ্রুপের ব্লাডগুলো হয়ত কিছু আদম সন্তানেরও ছিল অথবা পরবর্তিতে মানুষের সাথে ব্যাপক মিশ্রনেও সৃষ্টি হতে পারে এমনকি এমন রক্তের গ্রুপ হয়ত আরো ছিল কিন্তু নূহ আঃ এর সময় মহা প্লাবনের পর হয়ত এগুলোর অনেকটাই বিলুপ্ত হয়েছে তবে এখনও ভালভাবে খুজলে ৪০ বা ৪১ সিষ্টেমের ব্লাড পাওয়া যেতে পারে যদিও এখন পর্যন্ত ৩৭টি ব্লাড সিষ্টেম আবিস্কার হয়েছে।

আদম দম্পত্তির সন্তানগুলো এমন সিরিয়ালে হয়েছিল যে সবসময় পূর্বে জন্ম হওয়া সন্তানদের সংগে তার পরপরই যে সন্তান হত তাদের সাথেই বিয়ে দেয়া হত অর্থাৎ একই সাথে জন্মানো জমজ সন্তানরা আপন ভাইবোন বলে গন্য হত আর পরের পর্বের জমজদের সাথে বিয়ে দেওয়া হত যাদের রক্তের কানেকশন, চেহারা এবং ডিএনএ এর গঠন প্রনালীও ভিন্ন হত যেমন- ১ম জমজে জন্ম হওয়া কাবিলের সাথে বিয়ে হয়েছিল ২য় পর্বের জমজ হাবিলের বড় বোন গাজাহ এর সাথে যাদের উভয়ের চেহারাও একই কোয়ালিটি সম্পন্ন তাই ঈশ্বর প্রদত্ত বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারনে স্বাভাব বশতই কালো কাবিল স্ত্রী হিসেবে পছন্দ করত ২য় পর্বের জমজ কালো বোন গাজাহকেই, আবার ঠিক একইভাবে ফর্সা হাবিলও ফর্সা আখলিমাকেই পছন্দ করত। একইভাবে পরের পর্বের জমজ মেয়ে যার চেহারা ছিল গোলাকৃতির সে পছন্দ করত পরের পর্বে হওয়া গোলাকৃতির। আর ঠিক একই নিয়মেই অন্নান্য সন্তানদের মাঝেও বিয়ে হত অর্থাৎ ঈশ্বর প্রদত্ত বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারনে স্বভাব বশতই কেউ নিজে দেখতে যেমন হত তার পছন্দও অনেকটা তেমনই হত উদ্বাহরণস্বরুপ- ফর্সা ফর্সাকে পছন্দ করবে আর লম্বা লম্বাকেই পছন্দ করবে আর বিয়েও তার সাথেই দেয়া হত। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল- আদম আঃ এর যুগে পূর্ব হতেই পাত্র-পাত্রী জানত যে সে কার জীবন সংগী হবে অর্থাৎ কে কার যুগল তা পূর্ব হতেই জানা যেত বর্তমানের মত জীবনসংগী নির্বাচনের জন্য আলাদা ঝামেলা পোহাতে হত না। তখনকার যুগে ঈশ্বর প্রদত্ত জেনেটিক প্রভাবে যার জন্য যাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল একমাত্র তার প্রতিই সে আকর্ষনবোধ করত আর আদম দম্পতির সন্তান সন্ততিগুলোর চেহারাও সেরকম জেনেটিক নিয়ম মাফিকই হত। সুতারাং একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে নারী-পুরূষের একে অপরকে পছন্দ করার প্রধান ভিত্তিটিই হল বংশগতি বা জেনেটিক্যাল প্রভাব নির্ভর, এর প্রমান বর্তমানেও পাওয়া যায় যেমন- শ্বেতাংগ, ইউরোপিয়ানরা কিন্তু তাদের নিজেদের মত দেখতে শ্বেতাংগকেই জীবনসংগী হিসেবে পছন্দ করে অর্থাৎ তারা নিগ্রো, ইন্ডিয়ান বা মংগলীয়ান চাইনিজ চেহারা তেমন পছন্দ করে না, ঠিক একইভাবে চাইনিজরাও তাদের মতই দেখতে মানুষকেই জুটি হিসেবে পেতে চায়, এরাবিয়ান বা ইরানীদেরও পছন্দ তাদের নিজস্ব জাতিগুলোর মাঝেই সীমাবদ্ধ তবে মিশ্রজাতি ইন্ডিয়ানদের মাঝে ইদানিং একটু ব্যাতিক্রম দেখা যায় আর কেন এমন হয় সেটা নিচে উল্লেখ করা হবে তবু এদের মাঝেও পরস্পরকে পছন্দ করার মূল ভিত্তি এই জেনেটিক কারনই। আর এই ভিত্তিটিই মানব সৃষ্টির পর আদম আঃ হতে চলে আসছে তবে বর্তমান যুগে এসে পরস্পরকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে আরো দুটি কারন যুক্ত হয়েছে ১) পরিবেশগত কারন এবং ২) অভ্যাসগত বা অভ্যস্থতার কারন। কিন্তু যত কারনই যুক্ত হোক না কেন মানুষের একে অপরকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারনটাই বেশী দায়ী।

আরেকটি ব্যাপার লক্ষণীয়, জেনেটিক কারনে যে মানুষ শুধু নিজস্ব জাতির মানুষকে বেশি পছন্দ করেই ক্ষান্ত হবে এমনটি নয় বরং ব্যাপারটা আরো গভীর অর্থাৎ জেনেটিক্যালী স্বজাতিভিত্তিক পছন্দটাও আরও দুইভাবে কাজ করে- ১)আপনভিত্তিক ২) লিঙ্গভিত্তিক । যেমন প্রথমত- আপনভিত্তিকতার প্রভাবে নিজেদের মত দেখতে মানুষকেই বেশী সুন্দর মনে হয়। দ্বিতীয়ত- লিঙ্গভিত্তিক আকর্ষণের প্রভাবে ছেলারা নারীসুলভ সৌন্দর্য্যকে বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় মনে হবে পাশাপাশি আবার এই লিঙ্গভিত্তিক বিকর্ষণবোধেরই প্রভাবে ছেলেরা পুরুষালি সৌন্দর্য্যকে অসুন্দর ভাববে। সাধারণত এই দুটি ব্যাপার অনেকেরই অজানা উদাহরনস্বরুপ- তার শুধু নিজস্ব জাতির মানুষকেই বেশী সুন্দর মনে হয় মানে হল একজন শ্বেতাংগ ইউরোপিয়ানের কাছে একজন শ্বেতাংগকেই শুধু সুন্দর মনে হওয়ার জন্য যে জেনেটিক ভিত্তি কাজ করে তাকে বলা হয় স্বজাতিভিত্তিক জেনেটিক্যাল পছন্দের ভিত্তি, কিন্তু সেই শ্বেতাংগ যদি মোটা স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে তবে সে শুধুমাত্র তারমত স্বাস্থ্যবান শ্বেতাংগকেই বেশী সুন্দর মনে করবে পক্ষান্তরে চিকোন শ্বেতাংগকে সে কম সুন্দর ভাববে যদিও চিকোন শ্বেতাংগও কিন্তু তার স্বজাতিই ছিল তবু সে তারমত মোটাকেই একটু বেশি সুন্দর ভাববে ঠিক একইভাবে কোন চিকোন শ্বেতাংগও কিন্তু কোন মোটা শ্বেতাংগকে ফ্যাটি/বাফেলো/আগলি ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে অসুন্দর বলবে শুধু তাই না অত্যাধিক লম্বা শ্বেতাংগ কিন্তু তারমত লম্বাকেই পছন্দ করবে আর বেটেদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য অর্থাৎ লম্বা শ্বেতাংগ হল তাদের কাছে কুৎসিত তালগাছ সমতূল্য। সুতারাং বুঝা যাচ্ছে যে যেরকম তার পছন্দও সেরকমই আর একেই বলা হয় আপনভিত্তিক পছন্দ এটিও জেনেটিক্যাল কারনেই আপনা আপনিই সৃষ্ট এক ধরনের পছন্দের ভিত্তি, অর্থাৎ এখানে ব্যাক্তি স্বজাতিভিত্তিক নিজস্ব জাতি শ্বেতাংগ বা ককেশীয়দেরই বেশি পছন্দ তো করছেই কিন্তু আরও গভীরভাবে যখন সে পছন্দ করতে যাবে তখন সে আপনভিত্তিক পছন্দ করা শুরু করবে অর্থাৎ নিজস্ব জাতির মাঝেও নিজের মত কাউকে তার তুলনামূলক বেশি সুন্দর মনে হবে।

পছন্দের গভীরতম বিষয়ের ২য় লিঙ্গভিত্তিক পছন্দের যে ব্যাপারটি আছে তা আরও ক্রিটিক্যাল এবং আশ্চর্য্যজনকও বটে যেমন-লিঙ্গভিত্তিক আকর্ষণের প্রভাবে মানুষ নিজের মত নয় বরং সম্পূর্ন উল্টো টাইপ পছন্দ করে অর্থাৎ পুরুষরা নারী টাইপ সৌন্দর্য্যকে এবং নারীরা পুরুষালী টাইপ সৌন্দর্য্যকে পছন্দ করে পাশাপাশি লিঙ্গভিত্তিক বিকর্ষনবোধের প্রভাবে একই মানুষ আবার সমলিংগের সৌন্দর্য্যকে অপছন্দ করবে অর্থাৎ পুরুষরা পুরুষালী টাইপ সৌন্দর্য্যকে এবং নারীরা নারী টাইপ কোমল সৌন্দর্য্যকে অপছন্দ করবে। যেমন- কোন পুরুষ তার নিজের মত লোমশ ত্বকের চেয়ে নারীদের মতন লোমহীন ত্বককে বেশী সুন্দর ভাবে এবং তার নিজের মত পেশীবহুল শক্ত দেহের চেয়ে কোমল নারীসুলভ দেহ বেশী আকর্ষনীয় বা সুন্দর মনে করে আবার নারীদের ক্ষেত্রে ঘটে ঠিক এর উল্টোটা অর্থাৎ নারীদের কাছে পুরুষালী গড়নই বেশি সুন্দর মনে হয় পক্ষান্তরে মেয়েলী গড়ন তারা অপছন্দ করে। এখন পুরুষরা নারীদের ক্ষেত্রে মেয়েলী গড়ন পছন্দ করবে একইভাবে নারীরাও পুরুষদের বেলায় পুরুষালী গড়ন পছন্দ করবে এটি তো জেনেটিক্যালী স্বাভাবিক একটি ব্যাপারই ছিল কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হল বেশিরভাগ পুরুষরাই শুধু নারী জাতির মধ্যেই মেয়েলী টাইপ নারীদেরকে বেশি সুন্দর মনে করে এমনটি নয় বরং পুরুষ জাতির মাঝেও যদি কোন কোমল মেয়েলী টাইপ সুন্দর ছেলেকে দেখে তবে সে মনে করে এই ছেলেটি অবশ্যই খুবই সুন্দর একজন ছেলে আর একে অবশ্যই মেয়েরাও খুবই সুন্দর ছেলেই বলবে কিন্তু বাস্তবে মোটেও তা নয় অর্থাৎ মেয়েমহলে ঐ সুন্দর ছেলের তেমন মার্কেট নেই। সাধারনত জেনেটিক্যালী প্রভাবে একজন পুরুষের কাছে নারী টাইপ সৌন্দর্য্যকেই বেশি সুন্দর মনে হওয়ায় সে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মাঝেও যারা কিছুটা নারী সুলভ ও কোমল টাইপ তাদেরকেই বেশি সুন্দর মনে করবে এটি কিছুটা আশ্চর্য্যের হলেও সবচাইতে বেশি আশ্চর্য্যের বিষয় হল- বেশিরভাগ পুরুষেরই তার নিজের চেহারা বা দেহের যেসব অংশ মেয়েলী টাইপ সেসব অংশকেই তার কাছে বেশি সুন্দর মনে হবে পক্ষান্তরে পুরুষালী অংশকে তুলনামূলক কম সুন্দর মনে হবে, ঠিক একই ব্যাপার বেশীরভাগ নারীদের ক্ষেত্রেও হুবহু একই ঘটে অর্থাৎ তারাও নিজেদের মাঝের পুরুষালী অংশকে বেশি সুন্দর ভাবে আর মেয়েদের মাঝের পুরুষালী টাইপ মেয়েদেরকে বেশি সুন্দরী ভেবে ভুল করে থাকে। তাছারা অনেক নারীই মনে মনে ভাবে যে আমার শারীরিক গঠন এবং নিতম্ব এসব কিছুই এত নরম ও বাঁকা বাঁকা না হয়ে পুরুষদের মতন শক্ত টাইট ও সোজা গড়নের হলেই সুন্দর লাগত।

মোটকথা লিংগভিত্তিক পছন্দের এই ভিত্তিটার প্রভাব মানুষের উপর সবচেয়ে বেশি কাজ করে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল ছেলেমেয়েদের যদি অনেক সময়ব্যাপী বিপরীত লিংগ হতে আলাদা রেখে, লিংগ সম্পর্কীয় কোন সঠিক জ্ঞান দান না করে, মোটামুটি স্বাধীনভেবে নিজেদের ইচ্ছার উপরে ছেরে দেয়া হয় তবে সকল ছেলেরাই নিজেদেরকে মেয়েলী রুপে পক্ষান্তরে সকল মেয়েরাই নিজেদেরকে ছেলে রুপে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে। তখন দেখা যাবে সকল ছেলেরাই নিজেদের চেহারা হতে বেশভূসা পর্যন্ত মেয়েলী টাইপ করাকে সৌন্দর্য্য চর্চার অংশ মনে করবে যেমন- সে নিজের চুল পর্যন্ত মেয়েদের ন্যায় বড় করবে, ক্লিন সেভ মুখমন্ডল বানাবে, মুখে ও হাতে মেয়েদের ন্যায় অলংকারও ধারন করবে, গলায় চেইন পরাকে সুন্দর ভাববে এমনকি পোশাক-আশাকও মেয়েদের মতই পরবে ঠিক একইভাবে মেয়েরাও নিজের চুল ছেলেদের ন্যায় ছোট করবে, অলংকারহীন থাকা এবং ছেলেদের ন্যায় প্যান্ট শার্ট পরাকে সুন্দর জানবে এমনকি নিজেদের দেহকে পর্যন্ত শক্ত মেদহীন পুরুষালী টাইপ করবে। আর এমন করার মূল কারনও একটিই আর তা হল- নিজের মনের স্বাধীন ইচ্ছাকে বেশি প্রাধান্য দেয়া বা নিজের খাম-খেয়ালীর পূজা করা। যদিও ঈশ্বর কর্তৃক নির্ধারিত জেনেটিক লিংগভিত্তিক প্রভাবেই পুরুষ মানুষের কাছে নারীসুলভ সৌন্দর্য্যই বেশি পছন্দ হয় এবং নারীদের কাছে বেশি ভাল লাগে পুরুষালী সৌন্দর্য্যই। কিন্তু তাই বলে অন্য সকলের পছন্দকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একমাত্র নিজের পছন্দকেই প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের চেহারা ও দেহকেও নিজের মনপছন্দ অনুযায়ি করতে গিয়ে যখন কেউ পুরুষ হয়েও মেয়েলী রুপ ধরে অথবা মেয়ে হয়েও পুরুষালী বেশ ধরে তবে সত্যিই সে তখন বিপরীত লিংগের কাছে আকর্ষণ হারায়, আর সে যে নিজেই নিজের হাতে নিজেকে মূল্যহীন করে তুলছে তা সে বুঝতেই পারে না। অনেকে ভাবতে পারে আমি নিজেকে যেমন ইচ্ছা গড়ে তুলি তাতে কার কি এসে যায়? কিন্তু মানুষ মাত্রই সামাজিক জীব এবং একা কখনই বাঁচতে পারে না, শুধু মানুষ নয় প্রতিটা প্রানীই বিপরীত লিংগের উপর শারিরীকভাবে নির্ভশীল এবং মানুষের নিরাপদ স্বাভাবিক যৌন চাহিদাও এমন একটি মৌলিক গুরুত্বপূর্ন নির্দোষ চাহিদা যে একে অস্বীকার করা যায় না। তাই প্রতিটি সুস্থ মানুষের চেহারা ও দেহের উপরই তার সঙ্গিনী বিপরীত লিঙ্গের যে হবে তারও এক ধরনের অলিখিত দাবী বা হক্ব রয়েছে। তাই একমাত্র নিজের পছন্দকেই ঈশ্বরতুল্য ভেবে ভবিষ্যৎ সংগীর কাছে আকর্ষনহীন করে গড়ে তুলে মানুষ হিসেবে সংগির হক্বকে নষ্ট করে সে মানবতার ক্ষতি করছে। বর্তমানে ধর্মহীনসমাজ মিডিয়া ও অন্নান্য মাধ্যমে ঈশ্বর প্রদত্ত এই জেনেটিক্যাল পছন্দের সম্পূর্ন উল্টো পছন্দটাই প্রমোট করে যাচ্ছে ফলে বেশিরভাগই এই ফাঁদে পা দিচ্ছে, আর এসব কারনেই দেখা যায় আকর্ষনহীন বিপরীত লিংগের কাছ থেকে পরিপূর্ন সুখ-শান্তি না পাওয়ায় সমাজে বিভিন্নভাবে অরাজকতা বিরাজ করছে, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নেই পরিপূর্ন ভালবাসার বন্ধন, ডিভোর্সের গ্লানী এবং পিতাহীন অভিভাবকহীন অথবা মায়া-মমতাময়ী মাহীন শিশুরা বড় হয়ে সমাজে সন্ত্রাস নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে এমনকি বিপরীত লিংগের প্রতি সম্পূর্ন আকর্ষন হারিয়ে কেউ কেউ গে আবার কেউ লেসবিয়ান হয়ে সমাজে চরম বিশৃংখলার সৃষ্টি করছে।
এখানে আলোচ্য বিষয় হল প্রথমত- লিংগভিত্তিক পছন্দের কারনে পুরুষের কাছে নারীর সৌন্দর্য্যই বেশি ভাল লাগায় তার নিজের মধ্যেকার কিছু নারীসুলভ অংশকেই বেশি সুন্দর ভাবতেই পারে এতে দোষের কিছু নেই কিন্তু যখন সে একমাত্র নিজের পছন্দকেই মূল্য দিতে গিয়ে নিজের ঈশ্বর প্রদত্ত দেহ ও চেহারাকে অতিরিক্ত আরও মেয়েলীটাইপ করে আসল চেহারাতেই পরিবর্তন ঘটায় তখন সত্যিই তা দোষের এবং সমাজেও এর দীর্ঘস্থায়ী বিরুপ খারাপ প্রতিক্রিয়া ঘটে। দ্বিতীয়ত- এই লিংগভিত্তিক পছন্দের প্রভাবেই এক পুরুষ অন্য পুরুষের মাঝে কিছু নারীসুলভ অংশ বেশি থাকায় তাকেই অন্নান্য স্বাভাবিক পুরুষদের তুলনায় সুন্দর ভাবে একইভাবে নারীরাও পুরুষালী নারীদেরকে বেশি সুন্দরী ভাবে এতেও দোষের কিছু নেই কিন্তু যখন তারা একমাত্র তাদের পছন্দকেই অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে সরাসরি তাদের পছন্দের জনকেই মৌখিকভাবে বেশি সুন্দর আখ্যা দেয় পাশাপাশি পুরুষরা পুরুষালী চেহারার ছেলেদেরকে কম সুন্দর অথবা নারীরা বেশি মেয়েলী চেহারার নারীদেরকে কুৎসিত ঘোষনা দেয় তখন সেটিও আপত্তিকর এবং ঈশ্বরের কাছে এটি বড় ধরনের পাপ কেননা ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির সকলকেই ভালোবাসেন আর তিনি কাউকেই কুৎসিতও বানাননি বরং আমরাই সৃষ্ট জীব হওয়ায় আমাদের সুন্দর বা অসুন্দর লাগার ব্যাপারটাই আসলে একধরনের আপেক্ষিক ব্যাপার যেটি কিনা আলোচনার একদম ১মেই বলা হয়েছে যে বস্তুতঃ কেউই আসলে সুন্দরও না আবার কুৎসিতও না বরং বিভিন্ন কারনের মাঝে প্রধান ৩টি ভিত্তির উপর নির্ভর করে আমরা একে অপরের দ্বারা সুন্দর বা অসুন্দর পরিগনিত হই মাত্র আর এই পরিগনিত হওয়াটাও খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। উদাহরণস্বরুপ- পাত্র হিসেবে ছেলে যদি নিজে না গিয়ে তার মা এবং বোনকেই শুধুমাত্র তাদের পছন্দমত সুন্দর পাত্রি বাছাই করতে বলে তবে একটু ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে মা-বোন যে পাত্রীকে বেশি পছন্দ করছে বা বেশি সুন্দর বলছে সেই পাত্রীর চেয়ে অন্নান্য পাত্রীর মাঝের কাউকে ছেলের কাছে বেশি সুন্দর মনে হচ্ছে এরকারন ভালভাবে খুজলে দেখা যাবে যে পছন্দের আপেক্ষিকতার দরুন মা-বোন আসলে কিছুটা পুরুষালী টাইপ হ্যান্ডসাম পাত্রিকে পছন্দ করেছিল যা কিনা আবার ছেলের বেশি মনপুত হয়নি, একইভাবে কোন মেয়ে যদি শুধু তার বাবা ও ভাইকে পাত্র পছন্দের দায়িত্ব দেয় তবেও এক্ষেত্রে মেয়ের অপছন্দনীয় কোন পুরুষ সিলেক্ট হবার সম্ভাবনা যদিও ব্যাতিক্রমও ঘটতে পারে, এখানে এটি শুধুমাত্র উদাহরনের জন্য বলা হল। এখানে এই দীর্ঘ পরিসরে যে জিনিসটা আলোচনা করা হল তা হল- মানুষের সর্বশেষ পছন্দের ভিত্তি যাকে বলা হয় লিংগভিত্তিক আকর্ষণ বা বিকর্ষণের ভিত্তি, আর এই পছন্দ সাধারনত লিঙ্গভিত্তিক গঠন আকৃতির মাঝেই বেশি সীমাবদ্ধ এবং এই প্রভাবটি সাধারনত ব্যাক্তিগত আলাদা আলাদা কাজ না করে প্রায় সকলের ক্ষেত্রে একই রকম হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী তবে অবশ্যই ব্যাতিক্রমও রয়েছে।
মোটকথা এ পর্যন্ত মানুষ মানুষকে পছন্দ করার জেনেটিক্যালী কারনগুলোর প্রধান ৩টি ভিত্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল যেমন- ১) স্বজাতিভিত্তিক পছন্দঃ- এর প্রভাবে মানুষ শুধুমাত্র তার নিজ জাতির মানুষকেই বেশি সুন্দর মনে করে পছন্দ করবে যদিও অন্য জাতির মানুষ তাদেরকে সুন্দর না মনে করুক যেমন- নিগ্রো জাতির কাছে নিগ্রোরাই বেশি সুন্দর অন্য জাতির তুলনায়, বিশ্বাস না হলে তাদের কাছে গিয়ে শুনে ও পর্যবেক্ষন করে দেখুন, একইভাবে শ্বেতাংগদের কাছে শুধু শ্বেতাংগরাই বেশি সুন্দর মনে হয়। ২) আপনভিত্তিক পছন্দঃ- একজন লম্বা, ফর্সা, মোটা পুরূষ মানুষ তারমতই দেখতে লম্বা, ফর্সা, মোটা মানুষকেই বেশী সুন্দর মনে করবে এমনকি স্ত্রী হিসেবেও এমন নারীই খুজবে কিন্তু ৩) লিংগভিত্তিক পছন্দঃ এর প্রভাবে তারমত লোমশ ত্বক বা পেশীবহুল শক্ত দেহ না খুজে সে চাইবে তার স্ত্রীর যেন লোমহীন ত্বক এবং কোমল নরম নারীসুলভ দেহ হয়। শুধু তা নয় সেই পুরুষ অন্নান্য ছেলেদের মধ্যে এমনকি নিজের মধ্যেও নারীসুলভ সৌন্দর্য্যকেই বেশি পছন্দ করে। একটি ছোট পরীক্ষনের মাধ্যমে ব্যাপারটি আরও পরিস্কার হতে পারে- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে যদি আয়নায় নিজের মুখ দেখতে বলা হয় আর বলা হয় যে তোমার চেহারার কোন কোন অংশকে তোমার কাছে বেশি সুন্দর মনে হয়, তখন সে যেসব অংশের কথা উল্লেখ করবে সেসব অংশকে ভালভাবে পর্যবেক্ষন করলে দেখা যাবে যে সেসব অংশ আসলে তুলনামূলক মেয়েলীটাইপ সৌন্দর্য্য ছিল আর একইভাবে একজন মেয়েকেও এই পরীক্ষন করা হলে সে তার চেহারার পুরুষালী অংশকেই বেশি সুন্দর বলবে। যদিও এই পরীক্ষন সকলের ক্ষেত্রেই সমান ফল দিবে না কেননা ব্যাতিক্রমও অনেক আছে তবে বেশিরভাগ ফলই উপরের মত আসবে।
সবচেয়ে আশ্চর্য্যের ব্যাপার হল এই ৩ নং বা সর্বশেষ পছন্দের ভিত্তি(লিংগভিত্তিক আকর্ষণ ও বিকর্ষনবোধ) অনুযায়িই বেশিরভাগ মানুষ ফাইন্যালী কাউকে সুন্দর বা অসুন্দর আখ্যা দিয়ে থাকে আর এজন্যই ছেলেদের মাঝে যারা একটু মেয়েলী টাইপ(সুন্দরী ছেলে)সুন্দর তারা শুধু পুরুষ মহলেই বেশি মার্কেট পেয়ে থাকে একইভাবে মেয়েদের মাঝে যারা অনেকটা পুরুষালী টাইপ(হ্যান্ডসাম নারী) সুন্দর তাদের মার্কেট বা কদর শুধুমাত্র মেয়েমহলের মাঝেই সীমাবদ্ধ। আর এধরনের পছন্দের এই ৩টি ভিত্তি মানুষের মাঝে তৈরী হয় ঈশ্বর প্রদত্ত জেনেটিক প্রভাবের কারনে যা সম্পূর্নই প্রাকৃতিক বলে এই নেচার কখনই পরিবর্তন হয় না তাই একেই ১নম্বর ধরা হয়েছে এছারাও আরও ২টি প্রধান নেচার রয়েছে যেমন- ১পরিবেশগত নেচার এবং ২অভ্যস্থতার নেচার এই দুটি নেচারের প্রভাবে মানুষের ১নং জেনেটিক্যাল প্রাকৃতিক নেচারও অনেকদিন মানুষের মাঝে সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে পরিপূর্ন পরিবর্তন না হলেও। তাই মানুষকে একে অপরের পছন্দ করার আরও দুটি নেচারের ভিত্তিও নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।

বিঃদ্রঃ এই পর্বটির লেখা যেকোন সময় আরো আপডেট হতে পারে।
ইনশাহ আল্লাহ (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা লাস্ট ডিফেন্ডারস অফ পলিগ্যামি

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০


পুরুষদের ক্ষেত্রে পলিগ্যামি স্বাভাবিক এবং পুরুষরা একাধিক যৌনসঙ্গী ডিজার্ভ করে, এই মতবাদের পক্ষে ইদানিং বেশ শোর উঠেছে। খুবই ভালো একটা প্রস্তাব। পুরুষের না কি ৫০ এও ভরা যৌবন থাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য: টিপ

লিখেছেন গিয়াস উদ্দিন লিটন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৫




ক্লাস থ্রীয়ে পড়ার সময় জীবনের প্রথম ক্লাস টু'এর এক রমনিকে টিপ দিয়েছিলাম। সলজ্জ হেসে সেই রমনি আমার টিপ গ্রহণ করলেও পরে তার সখীগণের প্ররোচনায় টিপ দেওয়ার কথা হেড স্যারকে জানিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বৈশাখে ইলিশ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৪০



এবার বেশ আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছে । বৈশাখ কে সামনে রেখে ইলিশের কথা মনে রাখিনি । একদিক দিয়ে ভাল হয়েছে যে ইলিশকে কিঞ্চিত হলেও ভুলতে পেরেছি । ইলিশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রিয় কাকুর দেশে (ছবি ব্লগ) :#gt

লিখেছেন জুন, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৩



অনেক অনেক দিন পর ব্লগ লিখতে বসলাম। গতকাল আমার প্রিয় কাকুর দেশে এসে পৌছালাম। এখন আছি নিউইয়র্কে। এরপরের গন্তব্য ন্যাশভিল তারপর টরেন্টো তারপর সাস্কাচুয়ান, তারপর ইনশাআল্লাহ ঢাকা। এত লম্বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেরত

লিখেছেন রাসেল রুশো, ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:০৬

এবারও তো হবে ইদ তোমাদের ছাড়া
অথচ আমার কানে বাজছে না নসিহত
কীভাবে কোন পথে গেলে নমাজ হবে পরিপাটি
কোন পায়ে বের হলে ফেরেশতা করবে সালাম
আমার নামতার খাতায় লিখে রেখেছি পুরোনো তালিম
দেখে দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×