
এতোদিন ধরে লাফালাাফি করেছেন স্বাধীনতা চেয়ে। নিজেকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছেন নিপীড়িত হিসেবে। স্বৈরাচারীর কাছ থেকে মুক্তির জন্যে আকুল হয়েছেন!
আর এখন স্বাধীনতা পেতেই ভোল পাল্টে নিজেই স্বৈরাচারীতার খোলসে নিজেকে আবৃত করে ফেলেছেন। কথায় কথায় বিরোধী মতের এর-ওর লাশ ফেলে দেওয়ার চিন্তা করছেন; ঘরবাড়ি ভাঙ্গতেছেন। সংখ্যালঘুদের মন্দিরে হামলা করছেন; ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছেন!
রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করছেন। এটাও ভুলে গেছেন এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ আমার-আপনার টাকায় গড়া। তৈরী করতেও হবে আবার আমাদের টাকা দিয়েই।
ব্যবধানটা কোথায় আসলে আপনাদের?
সুযোগের অভাবেই তো ভালো মানুষ সেজে ছিলেন এতোদিন!
সুযোগ পেতেই আপনিই স্বৈরাচারী; আপনিই অত্যাচারী।
অথচ এই জয় নির্বিশেষে সর্বস্তরের বাঙ্গালির।
যারা এই স্বাধীনতার জন্যে জীবন দিয়েছেন তাদের গায়ে কোনো রাজনীতির চিহ্ন ছিলোনা।
দল-মত নির্বিশেষে এই ছাত্র-ছাত্রীরা জীবন দিয়েছে আপনাদের এই স্বৈরাচারিতার জন্যে??
আপনাদের দায়িত্ব ছিলোনা যে শহীদরা জীবন দিয়েছেন আপনাদের এই স্বাধীনতার জন্যে তাদের পরিবারের সাথে এই বিজয়টা ভাগাভাগী করে নেওয়া?
উচিত ছিলোনা হাসপাতালে শুয়ে কাতরানো আহত ভাই-বোনটার খোঁজ নেওয়া?
নিয়েছেন কি?
আপনারা সব একই ঘাটের নেকড়ে শাবক! যারা সুযোগ বুঝেই শিকার করেন! শুধু ১৯-২০ এর ফারাক! এই যা!
কিন্তু স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করিয়েন না! ওই ছাত্র-ছাত্রীগুলোর আত্মত্যাগকে কলুষিত করিয়েন না! এই ছাত্ররা হুংকার দিলে আপনাদেরও ১২টা বেজেই যাবে!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


