বিঃ দ্রঃ - আজ ১ম পাতায় একসেস পেলাম তাই অহনার সাতকাহন(১ম পর্ব) আবার পোস্ট করলাম। ২য় পর্ব আশা করি আগামীকাল পোস্ট করব।
অতি কাছ থেকে দেখা আমার এক আপনজন অহনার বেদনা মিশ্রিত সত্যিকারের কিছু স্মৃতি উপস্হাপনের চেস্টায় ......................
(১ম পর্ব)
উঃ কি যে ভয়ংকর ছিল সেই রাত ...........হঠাৎ মধ্যরাতে পায়ের ব্যথায় ঘুম ভেঙে দেখি আমার পা দিয়ে রক্ত গঢ়িয়ে বিছানার ধবধবে কাভার লাল হয়ে আছে.. পা টা যেনো অবশ হয়ে আসছে। পাশে মেঝেতে দেখি আমার তথাকথিত স্বপ্নের মানুষ আপনমনে ব্লেড দিয়ে এঁকে যাচ্ছে। আমার আতন্কিত চিৎকারে সবাই ঘুম ভেঙে নতুন বৌকে শান্তনা দিতে আসে।
এইতো সেদিন, মাত্র সাত দিন আগে নতুন পরিবেশে প্রবেশ। শত আপত্তি থাকা সত্বেও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হল।সবাই বলল,বিয়ের পরেও পরীক্ষা দেয়া যাবে।মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে , দেখতে রাজপুত্তুর, নামী খানদানী ,আর কি চাই।
দশ বৎসরের সাধনার পর সামনে প্রথম বোর্ড পরীক্ষা , মনে প্রাণে শুধু পড়ার চিন্তা ,বিয়ে টাত অনাকাঙ্খিত ,তাই হয়ত নতুন পরিবেশ , নতুন মানুষ সম্পর্কে খেয়াল ই করা হয়নি। রোবটের মত শুধু সবার আদেশ মেনে চলা।
একজন শান্তনা দিয়ে বললেন, বিয়ের আগে টাইফয়েড হয়েছিলত, তাই ছেলেটা বোধকরি এমন করছে ,কদিন পরেই ঠিক হয়ে যাবে। তখন বয়সটাই বা আর কত,সবেমাত্র ১৬তে পা দিলাম, যে যাই বলছে তাই মেনে নিচ্ছি।
তারপর থেকেই আমার বসবাস শ্বাশুড়ীর সাথে। শ্বাশুড়ীর কড়া নির্দেশ আমি যেন কাউকে কিছু না বলি ।বিশেষ করে বাবার বাড়িতে।আমিও যথাযোগ্য তার আদেশ পালন করি।
তারপরদিন থেকে অনেকদিন তাকে দেখিনি , জানারও ইচ্ছে ছিলনা,পড়ার যে একটা ভাল সুযোগ পাওয়া গেল। পরে শুনেছি হসপিটালাইজড করা হয়েছিল।
২০/২৫ দিন পর একদিন সিদ্ধান্ত হল, পরীক্ষার জন্য আমাকে আমাদের বাসায় পাঠানো হবে। শ্বাশুড়ী সাথে করেই নিয়ে এলেন এবং সবাইকে বললেন, জরুরী কাজে তাঁদের ছেলকে ঢাকার বাইরে যেতে হল তাই আসতে পারিনি।আমিও সম্মতি দিলাম ।বাসায় আসার আগে শ্বাশুড়ী অনেক কিছু শিখিয়ে দিলেন যা পরে সবার বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে সহজ হয়।
তারও কিছুদিন পর হঠাৎ একদিন শ্বাশুড়ী তাঁর ছেলেকে নিয়ে হাজির,বললেন, পড়ার জন্য ছেলেকে ইটালী পাঠাতে হচ্ছে তাই দেখা করতে এলেন। আমিত মহা খুশি যাক ঝামেলা থেকে বাঁচা গেল ।
অহনার বিবাহিত জীবনের একটি অধ্যায় এখানেই শেষ। ..............চলবে......।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




