শেষদিন সকালে খানিক্ষণ পাড়া বেড়ালাম, গতরাতে ছিলাম যে পাড়ায়। এখানে একটা কথা বলে রাখি, এই পাড়াটা ত্রিপুরাদের, আর এখানের মেয়েরা সাধারনত শরীরের উপরের অংশে কাপড় পরে না। তবে বাসায় মেহমান বেড়াতে এলে আমরা যেমন একটা জামা গায়ে দিয়ে তার সামনে যাই, তেমনি তারাও আমাদের সামনে জামা পরেই এসেছিলো। কিছু ছবি তুললাম তাদের, বাচ্চাদের, খানিকটা আড্ডা, যতটুকু বোঝা যায় ভাবের আদান-প্রদান। একজন বাঙালিও ছিলো ওখানে। তারকাছে জানতে পারলাম যে পাড়ার অধিকাংশ মানুষই এখন চাষ করতে অন্য পাহাড়ে গেছে। ওখানে তারা ৩ মাস থাকবে। চাষাবাদ শেষে আবার ফসল নিয়ে ফিরে আসবে পাড়াতেই। আরও জানালো ঐ দিন ওখানে হাট বসবে, অনুরোধ করলো আরেকটা দিন থেকে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমাদের আসলে থাকার কোন উপায় ছিলো না, বাসের টিকিট কেটে ফেলেছি এদিকে আসার আগেই, আলিকদমে। তাই খানিকটা অতৃপ্তি নিয়েই বিদায় নিলাম ওখান থেকে।
যদিও আমাদের ইচ্ছা ছিলো আরেকটু ভিতরের দিকে যাওয়ার, কিন্তু মাঝির সাথে কথা বলে বুঝলাম আমাদের ফিরতে হলে এখনই উল্টো পথে রওনা দিতে হবে। তাই ফেরা শুরু হলো। এবার নৌকা চলছে তীব্র গতিতে, স্রোতের টান আর ইঞ্জিনের গতি দুই মিলিয়ে। ফেরার পথে পোয়ামুহুরী দাঁড়ালাম আবার খানিকটা সময়ের জন্য, নামলাম বড় ঝর্ণাটার কাছে। গোসল করলাম সবাই মিলে ঝর্নায়। কুরুকপাতায় দুপুরের খাবার। তারপর আবার চলা, চলতে চলতে গান। সন্ধ্যায় পৌছালাম আলিকদম।
আলি কদম থেকে বাসে করে আবার চকরীয়া। রাত সাড়ে ১১ টায় বাস। এক ঘুমে ঢাকা, তখন সকাল প্রায় সাতটা বাজে।
বাসায় যখন ফিরলাম তখনও যেন আমি নৌকার দোলায় দুলছি।
----------------------------------------------------------------------------------
পর্ব: এক
Click This Link
পর্ব: দুই
Click This Link
পর্ব: তিন :
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:২৪