somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুমি বিয়ে করছো না কেন?

০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

- তুমি বিয়ে করছো না কেন?

- এ জীবনে কাওকে ভালোবাসিনি, বিষয়টা তেমন নয়, প্রেমও করেছি। কিন্তু কোন সম্পর্কই টেকেনি। হতে পারে সে আমার কারনে অথবা অপর পক্ষের, হতে পারে প্রেমিক হিসাবে আমি খুব একটা যোগ্য না। আর প্রেমের সজ্ঞাটাও তো একেক জনের কাছে একেক রকম, সে মূল জায়গাটায়ও তফাত থাকতে পারে। সে যাই হোক, ঠিক এ মূহুর্তে কারও সাথে কোন বন্ধনে নেই আমি। সুতরাং বিয়ে করার কোন তাড়া তো নেই।

- তাই বলে করবে না?

- করবো না কেন, হ্য়ত করবো। কাওকে ভালোবাসতে পারলেই করবো। হ্য়ত শেষ ভালোবাসাটা এখনো জড়িয়ে আছে মন। ঠিক এই মূহুর্তে কাওকে ভালোবাসতে পারছি না। আর ভালো না বেসে বিয়ে করি কিভাবে বলো।

- আরে, দেখে শুনে একটা বিয়ে করে ফেল। যারা প্রেম করে বিয়ে করে তাদের চেয়ে এরেঙ্জ বিয়ের দাম্পত্ত জীবনই সুখের হয়।

- হ্য়ত হয়, হয়ত হয় না। সেটা আমার বিষয় না। কিন্তু আমি যতটুকু অনুভব করি ভালো না বেসে, না চিনে, না বুঝে একজন মানুষকে নিজের সাথে জড়াবো না আমি। আসলে সেটা ঐ মেয়েটার জন্যও ভালো হবে না। আমি নিজেও মানুষটা খুব একটা সুবিধার না, নিজের ইচ্ছাটা-স্বপ্নটাকে খুব ভালোবাসি। সবার মত গতানুগতিক স্বপ্ন দেখি না আমি। আর আমার স্বপ্নের সাথে সে মানুষটার স্বপ্ন না মিললে তাকে জীবনের সঙ্গী করাটা কি বুদ্ধিমানের মত কাজ হবে?

- তাই বলে কতদিন অপেক্ষা করবে?

- জানি না, কতদিন। তবে এটা জানি, ভালো না বেসে বিয়ে করবো না।

- এভাবে চলতে থাকলে একদিন দেখবে আর বিয়ে করার মত মেয়ে পাবে না।

- না পেলেও ভালো। জীবনটা এভাবে যদি কাটিয়ে দিতে পারি তো মন্দ কি? এই তো বেশ ভালো আছি। ইচ্ছে মত বাঁচতে পারছি। নিয়মিত কাওকে কৈফিয়ত দিতে হয় না। যেখানে যেতে ইচ্ছে হয়, চলে যাই। যা ইচ্ছে হয় করি, আড্ডা দেই, ঘুরে বেড়াই, ভালোই তো কাটছে দিন।

- শেষ বয়সে গিয়ে আফসুস করবে কিন্তু। তখন সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে। তখন ঘুরে বেড়ানোর মানুষও পাবে না। আর বুড়ো হয়ে গেলে তোমায় তখন দেখবে কে?

- বুড়ো বয়সে কোন এক বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাবো। আমরা বুড়ারা বসে বসে তাস খেলবো, আড্ডা দেবো, যতটুকু শরীরে সয় ততখানি ঘুরে বেড়াবো। ছবি আঁকাটা তখন আবার সিরিয়াসলি শুরু করবো। আর যদি তখন বেশ কিছু টাকা পয়সা থাকে, তাহলে বিদেশ ঘুরতে যাবো।
ইদানীংতো বেড়ানোর জন্য কত কত ট্রাভেল এজেন্সি আছে, টাকা দিলে যাবতীয় সুবিধা দিয়ে আমাকে ঘুরিয়ে দেখাবে। বুড়া বয়সে হয়তো পাহাড় ডিঙ্গাতে পারবো না, তবে বেড়ানোর তো আরও জায়গা আছে। মনেকর সে সময়ে বেড়াতে গেলাম প্যারিস। আর্ট গ্যালারীগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। ভালোই কাটবে দিনগুলো মনেহয়।

- মৃত্যুর সময় হয়তো তোমার পাশে কেউ থাকবে না।

- তার দরকারও নেই আসলে। মৃত্যু মানেই তো শেষ নয়। আমার মৃত্যুর পরে কবর দেয়ার জন্য কোন মানুষেরও দরকার হবে না হয়তো। আমার শরীর না হয় দিয়ে যাবো মেডিকেলে। মেডিকেলে ছাত্রদের কল্যান নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু শরীরটাকে কঙ্কাল বানিয়ে আরও কিছুদিন তো এ পৃথিবীতে তো টিকে থাকা যাবে। আর কিছু না হোক, অন্তত কবর আজাব বলে যদি কিছু থাকে তো সে আজাব থেকে তো মুক্তি মিলবে।

ভালোই তো, কাটুক না এমন দিন!

----------------------------------------------------------------------------------

বি: দ্র: ইহা একটি ছোট গল্প
দ্বিতীয় পর্ব: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৬
৭২টি মন্তব্য ৭২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×