আবারও ইতিহাসের বিকৃতি, আবারও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কদের অবমূল্যায়নের নীলনকশা! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো মুক্তিযুদ্ধের স্থপতিদের "মুক্তিযোদ্ধা" স্বীকৃতি বাতিল করে "সহযোগী" তকমা দেওয়ার অপচেষ্টা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তাঁর গ্রেপ্তার ও পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেওয়া— এগুলো কি "সহযোগীর" কাজ? মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্ব, যুদ্ধকালীন সংগঠন ও কূটনৈতিক লড়াই কি "সহযোগিতার" পর্যায় পড়ে? তাহলে কীভাবে একটি অধ্যাদেশ জারি করে তাঁদের অবদানকে খাটো করা যায়?
এটি কোনো প্রশাসনিক সংশোধন নয়, এটা একটি রাজনৈতিক প্রকল্প— যারা বারবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে চায়। ২০২২ সালের জামুকা আইনে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোদ্ধাদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু আজ সেই স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়ার পেছনে কী উদ্দেশ্য? যাঁদের রক্ত, ত্যাগ ও নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন, তাঁদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে কি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন করে লেখার চেষ্টা চলছে?
জাতি জানতে চায়:
কাদের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত?
কেন এই মুহূর্তে, যখন দেশ রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে?
বঙ্গবন্ধুকে "মুক্তিযোদ্ধা" হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কীভাবে লেখা হবে?
ইতিহাসের নির্মম সত্য হলো— যতবার বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছতে চেয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী, ততবারই তা ফিরে এসেছে আরও প্রবলভাবে। আজও এই অপপ্রয়াস ব্যর্থ হবে। কারণ, বাঙালির চেতনার মর্মমূলে মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু, তাঁর সঙ্গীরা এবং ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত। গেজেটের কালো কালিতে তাঁদের অবদান মুছে ফেলা যাবে না।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




