ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর মানসিক চাপের মুখে আছেন তারেক রহমান। বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ, দেশজুড়ে উদ্বেগের ছায়া। এমন সংকটময় মুহূর্তে দেশে ফেরা বা না ফেরা—এ নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা বিএনপি বা তারেক রহমানের নেই। কারণ রাজনীতি যতই বড় হোক, জীবন-মৃত্যুর চেয়ে বড় কিছু নেই।
মানবজাতি এখনও এমন কোনো সভ্যতা আবিষ্কার করতে পারেনি, যেখানে সন্তানের চোখে মা-জীবনের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেওয়া যায়। তাই বিএনপির ‘বাতিঘরের প্রধান প্রদীপ’ নিভুনিভু অবস্থায়, তারেক রহমান, ডা. জোবায়দা রহমান ও জায়মা রহমান কী করছেন—এই প্রশ্নে দেশবাসীর মুখে কৌতূহল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীক্ষ্ণ সমালোচনা।
দলের অনেক নেতা-কর্মী এখন যেন এক অদ্ভুত ধর্মীয় রিট্রিটে: মুখে তালা, হাতে তসবিহ, মনে দোয়া আর হিসাব—“আল্লাহ না করুন, যদি কিছু ঘটে যায়, নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষের সুবিধা কীভাবে সামলাব?”
মা ও রাজনীতির মধ্যে ফাঁদে পড়ে ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি তারেক। মানুষের স্বার্থপর হিসাব-নিকাশ দেখে হাসি আসে না, তবু সত্য একটাই: এই মুহূর্তে রাজনীতি নয়, মানবিকতা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
দুঃখ ভারাক্রান্ত অবস্থায় তারেক জানিয়েছেন—তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। নানা গোষ্ঠীর কাছে তিনি বন্দি, এবং কোন গোষ্ঠীর কাছে—তা বলার স্বাধীনতা নেই। তাই তার দেশে ফেরা বা না ফেরা আসলে দেশের কোনো কল্যাণে কাজ করবে না। বরং তার দেশে ফেরা মানে অদৃশ্য শত্রুর এজেন্ডার অধীন হওয়া।
অতএব দেশের জন্য কল্যাণ হচ্ছে, তারেক দেশে না থাকুক। কোনো কৃত্রিম বা পুতুল নেতার কারণে দেশ পুনরায় ধ্বংসের পথে না যাক—এটাই সবার জন্য সঠিক পথে থাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


