ওরা দমে দমে মিথ্যা বলে ভাবে, বাংলাদেশের বাচ্চাগুলো দিব্যি শিখে যাবে এসব বুলি। ইতিহাস বিকৃত করে ভাবে, বাচ্চাগুলো এসব পড়াশোনা করে বাপের বেটা হবে এক একটা। দিনকে রাত করে ভাবে, বাচ্চাগুলো দিব্যি দিনের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দিবাস্বপ্ন দেখবে আর রাত হলে ওদের চুষনি চুষে ডুডু খাবে। নয়া নয়া দিকদিগন্তে যন্তরমন্তর বসিয়ে ভাবে বাংলাদেশের বাচ্চাগুলোর মাথায় নয়া মেধা টগবগ করে বলক পাড়বে এবার।
বাচ্চাগুলো এভাবে জোয়ান হবে, আফিম খাবে
আর ঢুলুঢুলু চোখে অন্ধকার খাদের দিকে বাহু দুলিয়ে হেঁটে যাবে।
ওদের জন্য খাদ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।
ওরা শুধু ভাবেনি বাংলাদেশের বাচ্চাগুলোর বুলির ভেতরে ফুটতে থাকে একুশ। জিভের ডগায় নাচে সাতই মার্চ। শ্র“তির ভেতরে ঢুকে পড়ে মিছিলের জয়ধ্বনি। চোখের মনিতে জ্বলজ্বল করে স্বাধীনতার স্বপ্ন। মগজে গেঁথে যায় একাত্তর। আঙুলের শীর্ষে শীর্ষে জ্বলে ওঠে ভালোবাসার অনিঃশেষ মোম। হৃদপিণ্ডের রঙ নিয়ে ওদের শ্যামল দেহ প্রতিদিন বেড়ে ওঠে আকাশের দিকে।
ওরা ভাবেনি বাচ্চাগুলো বড় হতে হতে প্রতিদিন একটি পতাকা।
ওরা ভাবেনি বাচ্চাগুলোর মুষ্টিবদ্ধ হাতের মুদ্রায় প্রতিদিন শহীদ মিনার।
ওরা ভাবেনি বাচ্চাগুলোর মোম থেকে ভালোবাসা আর অশ্র“ একসাথে গলে গলে পড়ে।
ওরা ভাবেনি বাচ্চাগুলোর তারুণ্য প্রতিদিন শাহবাগ।
ওরা ভাবেনি এত ‘যতনের’ পরেও বাংলাদেশের বাচ্চাগুলো বড় হয়ে এমন ‘শাহবাগে’ যাবে!
১.৩.১৩