আবার আগের প্রশ্নে ফিরে আসে লাবণি।
সেটা অপারেশনের পরে বোঝা যাবে। তবে ডক্টর বললেন না, যেহেতু আমরা এখানে বিদেশী তাই যথাসম্ভব কম দিন যাতে থাকতে হয় সেভাবেই ট্রিটমেন্ট হবে।
তারপরেও ধরো মিনিমাম একসপ্তাহ তো হবেই! তাহলে সব মিলিয়ে দাঁড়াবে...
লাবণি বুক থেকে হাত সরায়। কর গুনে ঢাকা ছেড়ে আসার পর থেকে মোট দিনের হিসাব করতে থাকে।
দিনের হিসাব আমাকেও করতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত লাবণির চিকিৎসায় জলের মতো টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। কোলকাতা আসার আগে দুটো এফডিআর ভাঙিয়ে নিয়ে এসেছি। আসা যাওয়ার বিমান ভাড়া, ওষুধপত্র, ডাক্তারের ফিস, অপারেশন চার্জ, থাকা খাওয়া, সব কিছুর জন্য টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে ঠাকুরপুকুরে থাকার জন্য হোটেল ভাড়া সাশ্রয় করতে আমরা খুঁজে নিয়েছি চিপ রেট-এ ‘ক্ষণিকের অতিথি’ নামের এই গেস্ট হাউজটি। এটি একটি বারোয়ারি অতিথিশালা। ছোট ছোট ঘর। কোনোমতে একজন মানুষ আর একটা বালতি ঢুকতে পারে এমন একটি বাথরুম। রুমের মধ্যে একটি দেয়াল আলমারি। সেখানে দুটো বালিশ আর পাতলা ব্লাঙ্কেট। প্লাস্টিকের জগ মগ। সরোজিনী বালা নামে মধ্যবয়সী একজন মাসী আছে। বাজারঘাট করে দিলে দৈনিক পঞ্চাশ টাকার বিনিময়ে রেঁধেবেড়ে রুমে খাবার দিয়ে যাবে। চাইলে মাসীই চালডাল তরিতরকারি কিনে দিতে পারে, এমন কি নিজেরা রেঁধে খেতে চাইলে মাসী হান্ডিভাণ্ডির ব্যবস্থাও করে দিতে পারবে। আমরা অত ঝামেলায় যাচ্ছি না। মাসী যা রেঁধে দেয় সেটাই সোনামুখ করে খাচ্ছি। শুধু দুপুরেই মিল নিচ্ছি আমরা। রাতে স্ন্যাক্স দিয়েই চালিয়ে নিচ্ছি। কারণ মিনারেল ওয়াটার কিনতে গিয়ে জলের মতোই টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল আর হোটেল এরিয়া বলে কথা। একটা আলপিন দিয়েও এখানে ব্যবসা হচ্ছে।
সরোজিনী মাসী দুই লিটারের একটা পানির বোতল টেবিলে রেখে কাপ দুটো তুলে নেয়। ধুয়ে দিয়ে যাবে। ঘরটাও একটু ঝাড়পোঁছ করে দেবে। লাবণি তাকে মাসী না বলে খালা বলে ডাকে। আমি সরোজিনী বালাকে মাসীই বলি। বলি, মাসী আজ আমাদের দুপুরের মিলটা দিও না। আমরা আজ বাইরে খাবো। আজ বরং রাতের মিল দিও।
সরোজিনী একগাল হেসে লাবণির দিকে আদুরে দৃষ্টিপাত করে বলে, তা দেবো। আজ বুঝি বোনঝিকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেন?
লাবণিও আমার দিকে উৎসুক চোখ মেলে রাখে।
লাবণির চোখ দেখে আমার মনে হয়, ও ভুলে গেছে আজ একটু পরেই আমাদের হাসপাতালে যাওয়ার কথা। লাবণির আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা আছে। তাতে দুপুর গড়িয়ে যাবে। কদিন বাদেই লাবণিকে ঢুকতে হবে অপারেশন থিয়েটারে। ডক্টর পি আর রায়-এর কাউন্সেলিংও আছে। পেশেন্টের মেন্টাল স্ট্রেংথ বজায় রাখার জন্য এটার দরকার আছে।
আমি মাসীকে এতকিছু না বলে শুধু বলি, হ্যাঁগো মাসী। আজ আমরা বাইরে খাবো। কদিন পরে তো ওকে অপারেশনের জন্য ভর্তি হয়ে যেতে হবে। তখন তো খেতে হবে হাসপাতালের খাবার।
মাসী লাবণির বুকের দিকে তীক্ষè নজর করে। লাবণি মনের অজান্তেই বাম স্তনের ওপর হাত বোলাতে শুরু করেছে। ছোট বাচ্চা ঘুম পাড়ানোর মতো করে মৃদু মৃদু চাপড় দিচ্ছে বুকের ওপর।
হ্যাঁ গো, বোনঝির বেরেস রিমুভ হবে?
সরোজিনী মাসীর প্রশ্নের আমরা কেউ উত্তর দেবার প্রয়োজন মনে করি না।
মাসী এক পিরিচের ওপর টং করে আর এক পিরিচ রাখে। দুই আঙুলের আংটায় মুহূর্তে ঝুলিয়ে নেয় দুটো কাপ। সোজা লাবণির মুখের দিকে তাকিয়ে বলে Ñ তাতে বুঝি মন খারাপ করে বসে আছো? ও কিছু না। অপারেশনের পরে কটা কেমো দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আর বোনঝি, এখানে ভালো ভালো দোকান রয়েছে। বিদেশী ব্রা পাওয়া যায়। সাইজ মিলিয়ে কটা কিনে লিয়ে যেও। কিচ্ছু বোঝা যাবে না। আর জামাই ঠিক থাকলেই হলো। কি গো জামাই, ঠিক বললুম কি না! সরোজিনী মাসী যেন একটু চোখ টিপে কিছু ইঙ্গিতও করে আমাকে।
আমি দেখি, মলিন একটা সুতি শাড়ি খাটো করে পেঁচানো মাসীর দেহ। আঁটসাঁট বাঁধুনি। ব্রাবিহীন ব্লাউজের ভেতর থেকে এক জোড়া ডাবের মতো স্তন দুটোতে যেন বিষম একটা গরিমার ঝাঁকুনি তুলে মাসী চায়ের কাপ নিয়ে চলে যায়।
লাবণি আমার দিকে কেমন শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
নানান ব্যস্ততায় মাঝের পাঁচটা দিন যেন পাঁচ আঙুলের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ে গেলো। লাবণিকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি তো আছেই, এ ছাড়া আরও টাকার ব্যবস্থা করতে হলো। অপারেশনের পর ছয়মাসে বারোটা কেমো দিতে হবে লাবণিকে। আপাতত দু মাসের কেমো কিনে নিয়ে যাবো। তার জন্য প্রায় লাখখানেক টাকা দরকার। ঢাকায় অফিসে যোগাযোগ করে ছুটিও বাড়াতে হলো আরও এক সপ্তাহ। যা-ই হোক, অপারেশনের আগেই সবকিছুর সুরাহা হয়ে গেলো বলে আমরা দুজনেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। আগামীকাল বেলা এগারোটার মধ্যে ভর্তি হয়ে যেতে হবে। পরেরদিন অপারেশন। দেশে ফোন করা হলো। লাবণির জন্য দোয়া চাই সবার। আমাদের মেয়ে সিনথিয়া ফোন নিয়ে মধুমাখা গলায় বলছিলো মাম্মা, মিস ইউ। লাবণি কতক্ষণ কথাই বলতে পারে না। চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়ে। ফোন ছেড়ে দিয়ে আবার স্মৃতির পুকুরে ডুব দেয়। সিনথি যখন ব্রেস্ট ফিড করতো, একটাতে মুখ আর একটায় ওর ছোট্ট হাতের ফুলের পাপড়ির মতো আঙুলগুলো মেলে রাখতো, কী যে ভালো লাগতো! আচ্ছা, আমি কি আর মা হবো না! আর একটা বাচ্চা যদি আমার হয় তবে তো...। লাবণি কথা শেষ করে না। ওড়নার প্রান্ত তুলে চোখে চাপা দেয়।
লাবণির স্তনকুঁড়ি ফুটে ওঠার কৈশোরের শিহরিত স্মৃতিগুলোও এই কয় মাসে আমার জানা হয়ে গিয়েছে। হয় তো এধরনের কঠিন বাস্তবতার মধ্যে না পড়লে মেয়েদের এই একান্ত ব্যক্তিগত স্মৃতিগুলোর অংশীদার স্বামীরাও হতে পারে না। কিন্তু আমার স্মৃতিগুলো কি লাবণিকে উতলা করছে না? আমার স্পর্শন, দংশন, পীড়ন Ñ এসব স্মৃতির মনিমুক্তো কি লাবণির ঐ সোনার ঘটে রাখা নেই? লাবণি কেন তার কথা বলে না! মুখে যতই লাবণিকে সাহস আর ভরসার কথা বলি না কেন, এক-স্তনী স্ত্রী হিসেবে লাবণিকে কল্পনা করতে গিয়ে আমি বারবারই হোঁচট খাই আর পরক্ষণেই নিজেকে চোখ রাঙাই, এসব অমানবিক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেবার জন্য। তা হলে কী হবে, চিন্তা আমাকে ছাড়ে না। একটা গোঁয়ার কাঁকড়ার মতো আমার মগজের এক কোণ কামড়ে ধরে বসে থাকে।
কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা আছে। লাবণিকে বলি, চলো একটু ঘুরে আসি।
লাবণি বিছানায় পাশ ফিরে অলস কণ্ঠে বলে, কোথায়।
এই, আশেপাশে, দেখি ঘোরার জায়গা কী আছে এখানে। সিনেমা দেখবে নাকি। ভালো ভালো সিনেমা হল আছে। অন্য কোনো টুরিস্ট প্লেসেও যেতে পারি। গুরুসদয় মিউজয়াম, পঞ্চাননতলা মন্দির এসব কাছেই আছে। যাবে নাকি? তারপরে কোনো রেস্টুরেন্টে খেয়ে ফিরে আসবো।
লাবণি বিষণœ হাসে। বলে, কত সখ! আজ বাদে কাল রাত পোহালে আমার বুক পেতে দিতে হবে ডাক্তারের ছুরির তলায় আর তুমি আছো সিনেমা আর টুরিস্ট স্পট দেখার তালে! আমার কিছুই ভালো লাগছে না।
আহ্হা, সে জন্যই তো বলছি। বাইরে বেড়িয়ে এলে ভালো লাগতো। তোমার জিনিসপত্রও কিছু কিনতে হতো। ঐ যে মাসী বলে গেলো!
ধেৎ, বাদ দাও। ওসব পরেও কেনা যাবে। তুমি বাইরে যাচ্ছো যাও। পেলে কিছু কাঁচা ফুল নিয়ে এসো।
ফুল দিয়ে কী হবে?
লাবণি কথা না বলে গোটানো কম্বলটা টেনে গলা পর্যন্ত ঢেকে দেয়। কপাল থেকে এলোমেলো চুলগুলো ওপরে ঠেলে দিয়ে চোখ বোঁজে। বড় করে দম নেয়। শক্তি সঞ্চয় করছে লাবণি।
আমি সত্যিই লাবণিকে একটু আনন্দ দিতে চাই। ওর মনটাকে বিষণœতা থেকে টেনে এনে একটা খুশির মেলার ভেতরে নিয়ে আসতে চাই। যেমন করে ওর কাঁধে আলতো হাতের বেড় দিয়ে বইমেলা বা পয়লা ফাল্গুনে ঘুরে বেড়াতাম। বিদেশ বিভূঁইয়ের একটি অসুখ-বাতাস লাগা ছোট্ট ঘরে একটি মনমরা চাদর ঢাকা বিষণœ বিছানায় এলোমেলো ভঙ্গিতে শুয়ে থাকা মলিন লাবণির জন্য আমার মনটা সত্যিই কাতর হয়ে ওঠে। আমি ওর মাথায় হাত রাখি। লাবণি খপ করে আমার হাতটা টেনে নিয়ে বুকের মধ্যে চেপে ধরে রাখে। ওর বুকের উষ্ণ কোমল প্রদেশে আমার হাতটি অবশ হয়ে যেতে থাকে। লাবণির স্তনজোড়া যেন ঘুমে কাতর হয়ে আছে। আমার হাত অতি সাবধানে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে স্তব্ধ নিথর হয়ে থাকে। লাবণি আর একবার একটা গভীর চাপ দিয়ে আমার হাতটা ছেড়ে দেয়। আমি আশ্চর্য হয়ে আমার হাতের সন্ন্যাস-গ্রহণ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করি। থাকুক, লাবণি চোখ বুঁজে পড়ে থাকুক। ওর মনের সাথে একান্তে বোঝাপড়া করার দরকার আছে।
কিছু বাজার সদাই, খাবারদাবার পানি ওষুধপত্তর আর লাবণির জন্য দুটো ম্যাক্সি একটা পাতলা শাল Ñ এসব টুকিটাকি কেনার পরে মনে পড়লো ফুলের কথা। ঢাকার মতো এখানে চাইলেই যে কোনো জিনিস কিনতে পাওয়া যায় না। কাঁচা ফুল খুঁজে হন্যে হয়ে গেস্ট হাউজে ফিরে আসতেই ঢোকার মুখে সরোজিনী মাসীর সাথে দেখা। মাসী হাসিমুখে বলে, কী গো জামাই, শপিং করে এলেন বুঝি? এই কদিন ধরে রান্নাবান্না করা আর টুকটাক কাজকর্ম করে দিতে দিতে সরোজিনী মাসী যেন অনেকটাই প্রগলভ হয়ে উঠেছে। মহিলা বেশ কাজের বটে। আমরাও একটু প্রশ্রয়ই দিই। দিনবাবদ পঞ্চাশ রুপি বেতন ছাড়াও দুচার পাঁচ টাকা তাকে দিচ্ছি এটা সেটা একটু বাড়তি সেবাযতœ করার জন্য। আমি মাসীকে বাজারের ব্যাগটা ধরিয়ে দিয়ে বলি, এগুলো ধরো। মাসী, এখানে ফুল পাওয়া যায় কোথায় বল তো? কোনো দোকানে তো ফুল পেলাম না।
মাসী চোখ ঘুরিয়ে বলে, ফুল পেলেন না? বলে কিগো? ফুল ছাড়া কি ঠাকুর পুজো হয়? আর ঠাকুরপুকুরে ফুল পাবে না? তা ফুল দিয়ে কী হবে? আপনাদের তো পুজো টুজো নেই? বলেন তো মন্দিরে বোনঝির নাম করে পুজো দিয়ে আসি। সব ধম্মের মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ করে এমন মন্দিরও আছে।
আমি মাসীর হাতে টাকা দিয়ে বলি, না না, সেসব নয়। ঘরে ফুলদানীতে সাজিয়ে রাখবো। অসুস্থ মানুষ। মাথার কাছে ফুল দেখলে মনটা ভালো লাগবে। পেলে নিয়ে এসো।
অ, তা ঠিক কথা।
মাসী টাকা নিয়ে ব্যাগটা দেয়ালের কোণে ঠেকিয়ে আঁচলটা একটু গায়ে বসিয়ে হালকা পায়ে দৌড়ের ভঙ্গিতে বের হয়ে যায়। আমি কী ভেবে মাসীর ছন্দায়িত দেহভঙ্গির দিকে, খানিকটা আনমনে না কি বিমূঢ় হয়ে, তাকিয়ে থাকি, বুঝি না। তবে ঘরে ঢুকে আমি সত্যিই হতবুদ্ধি হয়ে যাই। একটা রঙের সাগর থেকে যেন এই মাত্র উঠে এসেছে কোনো উর্বশী। সে পুরাণের সাগর-নগ্নিকা দেবনটিনী উর্বশী নয়, আমারই কিনে দেয়া একটা চওড়া পাড়ের ঘোর লাল জমিনে বেগুনি সুতো আর পাথরের মিনা করা কাজের সিল্ক শাড়ি পরে বসে আছে লাবণি। পুরাণে পুরুরবার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে উর্বশীর নাচের তাল কেটে গিয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে যেন লাবণিকে দেখে পুরুরবারই থমকে যাওয়ার কথা। আজ লাবণি উঁচু করে চুল বেঁধেছে। চোখের কোলে একটু কাজলের গাঢ় টান। চওড়া কপালে ওর প্রিয় ওভাল শেপের বড় টিপ। বিছানায় নতুন চাদর আর বালিশের কভার টানটান করে পাতা। পায়ের ওপর পা ঝুলিয়ে কোমরে ঢেউ তুলে মারাত্মক একটা মোহময়ী ভঙ্গিতে খাটের ওপর বসে আছে লাবণি। ঘরের বাতাসে পারফিউমের মাতলামি। আজ লাবণি শাড়ির পাড়টাকে ডান বগলের তলা দিয়ে বের করে পাট করে বিছিয়ে দিয়েছে বাম কাঁধের ওপর। তাতে ওর বুকটাকে মনে হচ্ছে জীবন্ত দুটি আগ্নেয়গিরি Ñ যেন এখুনি জ্বলে উঠবে আগুনের শিখা।
আমাকে দেখে লাবণি হাসে। সেই হাসিতে কোথাও কোনো বিষণœতা নেই। হতাশা উৎকণ্ঠা কিছুই নেই। সেই প্রথম বাসরে লাবণির মুখ তুলে চুম্বন করার পর যেমন হেসেছিলো তেমনি সহজ সুন্দর সতেজ হাসি। তবে লাবণি এ মুহূর্তে ভূমিকা বদলে নেয়। ও উঠে এসে আমার হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে দেয়। দরজা বন্ধ করে দিয়ে মাথার কাছে রাখা টেবিল ল্যাম্পটিও জ্বালিয়ে দেয়। এতে ঘরের আলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। লাবণি আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে, ফুল আনোনি? আজ যে আমাদের বাসর!