আমি বিস্তারিত বলতে চাই ফুলের খবর। মাসীর খবর। কিন্তু লাবণি আমাকে কথা বলতে দেয় না। আমার ঠোঁট জোড়া ওর তপ্ত ঠেঁটের ভেতর ক্ষুধার্তের মতো টেনে নেয়। আগ্রাসী রাক্ষসের মতো কামড়ে ধরে, প্রচণ্ড টান। মনে হচ্ছিলো এক চুমুকে লাবণি আমার দেহের সব রক্ত শুষে নিয়ে যাচ্ছে। ফিসফিস করে বলে, আমাকে নাও। আমাকে নাও। সম্পূর্ণ আমাকে....।
লাবণি নিজেই টান মেরে খুলে ফেলে সযতœ রচিত শাড়ির আঁচল আর কুচি, কোমর থেকে টেনে নিচে নামিয়ে দেয় পেটিকোটের বন্ধন। দ্রুত নিঃশ্বাসে ওঠানামা করছে লাবণির বুক। পরিপুর্ণ এক জোড়া বুক। আফ্রিকান আদিবাসী নারীর মতো ধারালো উত্তুঙ্গ দুটি স্তন। আমার হাতের আঙুলগলো তার প্রিয় দস্যুতার জন্য হা-রে-রে-রে করে ওঠে। আমার তপ্ত তৃষ্ণার্ত ঠোঁটজোড়া মধুভাণ্ডে চুমুক দেবার জন্য অধীর হয়ে ওঠে। লাল টকটকে সিল্কের ব্লাউজটি সসম্মানে তার সিংহদরজা খুলে দিয়ে আমাকে আহ্বান করে। দুরন্ত ঝলমলে আলোর নিচে লাবণি বালিশে আধা হেলান দিয়ে আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। দুটি বুকের ওপর থেকে আমি আলতো করে সরিয়ে দিই লুটিয়ে পড়া ব্লাউজের কোণ। বুঝি সাপের মতো ফোঁস করে ফণা তুলে ধরে দুটি স্তন। সেই স্তন। ঝকঝকে দুটি সোনার কলস। মাজাঘসা। নিটোল। এর মধ্যে কোথায় বিষাক্ত কীটের দংশন! আমি লাবণির দুটি স্তনের দিকে স্বপ্নালু চোখে চেয়ে থাকি। নিবিড় চোখে গভীর দৃষ্টি ছড়িয়ে দিই। সন্দেহের চোখে অনুসন্ধান করি। কুটিল চোখে খনন করতে থাকি লাবণির বুক। লাবণি আমার সে দৃষ্টি দেখতে পায় না। সে আমার হাত টেনে তার ডান স্তনে স্থাপন করে। আমার মাথা টেনে নামিয়ে দেয় ওর বুকের ওপর। তারপর বাম স্তনটি ঠেলে দেয় আমার ঠোঁটের নিচে। কাঁপতে থাকে লাবণি। কিন্তু, আমি, বিদ্যুৎ বেগে তুলে নিয়েছি আমাকে। লাবণির বাম স্তনের চামড়া চিমটি দিয়ে ডাক্তারের মতো রোগের অবস্থা পরখ করতে থাকি আমি। লাবণি, দেখ, দেখ তোমার বুকের অবস্থা। শুধু নিপল রিট্রাকশান নয়, তোমার বাম দিকের সারা বুকই কেমন মরে যাচ্ছে। কেমন কমলার খোসার মতো কুঁচকে গেছে চামড়া। রঙও বদলে গেছে। এই যে, এখানটায় চাকাচাকা দাগ। লালচে গোটা গোটা। একটু পরেই যেন এই চাকাগুলোর বিস্ফোরণ ঘটবে। দগদগে কয়লার মতো ফুটে উঠবে বিষাক্ত ঘা। কিন্তু ভয় পেও না লাবণি। কাল অপারেশন হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই বিষকুম্ভটাকে ফেলে দিলেই সব ল্যাঠা চুকে যাবে।
আমি লাবণির স্তনের ওপর অস্থিরভাবে খসখসে আঙুলের ডগা বোলাতে থাকি। মনে হয় আমার আঙুল বেয়ে কিলবিল করে উঠে আসছে বিষ পিঁপড়ের মিছিল। আমার ভয়ার্ত চেহারা দেখে লাবণি আমাকে ঠেলে দিয়ে উঠে ব’সে বিমূঢ় চোখে ওর খোলা বুকের দিকে তাকিয়ে থাকে। সে মুহূর্তে লাবণির বাম স্তনের কুঁচকে যাওয়া বোঁটাটি যেন খসে পড়ে। আর তার ভেতর থেকে হাজার হাজার ধারালো দাঁড়ার কাঁকড়া বেরিয়ে আমার দিকেই যেন আসতে থাকে ।