জল যা ঘোলা হওয়ার তা তো হয়েছেই, অবশেষে বিসিবি সিদ্ধান্ত নিল-
"১৫ জন ক্রিকেটার বিশ্বকাপ খেলা চলাকালিন সময় আর কোন কলাম লিখতে পারবে না"।
এধরনের নিষেধাজ্ঞার দরকার হত না যদিনা সাকিবের মত উচু মানের প্লেয়ার এমন অপেশাদের খেলোয়াড় সুলভ আচরন না করত। সাকিবের উচিৎ হয় নি এধরনের নেতি বাচক মন্তব্য সম্বলিত কোন কলাম লেখা।তেমন প্রথম আলোরও এমন একটা বিষয়ে ছাপার আগে আরো একটু ভেবে দেখার দরকার ছিল। আসলে সবাই আছে যার যার তালে।
আজ প্রথম আলোতে লিখেছেঃ
"পাঠকদের কাছে দ্রুতই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা সাকিব আল হাসানের কলাম এই বিশ্বকাপে আর না-ও পৌঁছাতে পারে পাঠকদের কাছে। বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের একান্ত আবেগ আর অনুভূতির কথাগুলোও অন্তত তাঁর কলাম থেকে জানার উপায় হয়তো থাকছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বিশ্বকাপ চলার সময় দলের ১৫ ক্রিকেটারকে আর কলাম না লেখার নির্দেশ দিয়েছে, আর সেটি বিসিবির মুখপাত্র হিসেবে গতকাল সন্ধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন জালাল ইউনুস।
বিসিবি কেন এই সিদ্ধান্ত নিল, সেটি ব্যাখ্যা করা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, পরশু প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি’ শিরোনামের কলামটি প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষাপটেই এ সিদ্ধান্ত।
সাকিবের কলাম প্রথম আলোর সর্বাধিক পঠিত খবর হিসেবে বরাবরই শীর্ষে থাকে। পরশুর কলামটিতেই যেমন প্রকাশযোগ্য মন্তব্য আছে ১৯২টি। যে মন্তব্যগুলোয় সিংহভাগ পাঠকই সাকিবের লেখনীর প্রশংসা করে সহমত প্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তিতেও কলাম লেখা প্রসঙ্গে কোনো শর্ত নেই"।