এক বিকেলে পেয়েছিলাম দেখা এক রাজকুমারীর,
কি টানা টানা হরিণীর মত চোখ,
দুধে আলতা গায়ের বরণ,
হাসলে যেনো মুক্তো ঝড়ে,
মায়াময় অদ্ভুত সুন্দর,
সেই মানবীর রাজকুমার চেয়েছিল হতে অনেকে,
তার জন্য লিখেছিল গান কবিতা,
কিন্তু রাজকুমারি ফিরিয়ে দিয়েছিল সবাইকে হাসি মুখে,
তার হৃদয় বাধা ছিল অন্য এক বাধনে,
রাজকুমারি যাকে বানিয়েছিল রাজকুমার ,
ছিল সে সবার থেকে আলাদা,
ভালবাসার আনাগোনায় বিভোর ছিল দুজন ,
পার হচ্ছিল দিন ভালবাসার ডিঙ্গিতে,
কিন্তু কিন্তু কিন্তু,
পারেনি দুজন মিলে শেষ স্বপ্ন দেখতে গিয়েও ,
পৃথিবী যে বড় নিষ্ঠুর,
সে জানে শুধু আচার সংস্কার,
ভালবাসা তার কাছে তুচ্ছ,
চোখের জলে পাড়ি দিল দুজন দুই নৌকায়,
নোনা পানির জলের মাঝে,
পথ চলতে চলতে আমার সাথে দেখা,
হাসিমাখা মায়াময় মুখ দেখে কে বলবে
সে ভালবাসার বিষে নীল,
শুনতে শুনতে তার দুঃখবিলাস,
ভরে উঠে মন অজানা বেদনায়,
আজ আর সে সুখে হাসে না,
হাসে সে দুঃখে,
রাজকুমারিকে নিয়ে রাজকুমারের কাছে নিতে চাইলেও যায়নি সে,
শুধু এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর মানুষ আর তার আচারের কারণে,
তাকে যে কথাটা বলতে গিয়েও কখনো বলা হয়নি,
খুব অল্প সময় হলেও আমি তোমাকে ভালবেসেছিলাম,
একটা গোলাপ দিতে চেয়েছিলাম,
আর চেয়েছিলাম করতে একটুখানি স্পর্শ,
সব কিছু বলতে নেই,সব কিছু চাইতে নেই,
ভাল থেকো রাজকুমারী,সুখে থেকো রাজকুমারী