মানুষের জীবনে কিছু কিছু ব্যাপার আছে মানুষ হাজার চাইলেও তা থেকে নিজেকে আড়ালে রাখতে পারে না। এই দেখুন না, কানের কাছে মশা ভন ভন করছে, দু-একটা কামড়ও দিয়েছে তবু আমি মশারির নিচে না যেয়ে টেবিলে বসে লেখালেখি করছি। কি লিখছি তার কিন্তু কোনো আগামাথা নেই। তবু লিখছি। কেন লিখছি? কারণ লিখতে হবে। আমার লিখতে ইচ্ছে করছে তাই লিখছি। কিন্তু এত লিখে হবেটা কি?
পড়াশোনার অনেক চাপ। দুটো টিউশনও করানো লাগে আবার। এত সময় কোথায় ভাই? তবুও যতটুকু সময় পাই মনে হয় এত লিখে কি হবে? তার চেয়ে বরং বড় কোনো লেখকের ক্লাসিক কিছু উপন্যাস পড়ি, অনেক কিছু শেখা যাবে। তবু আমি লিখবই। লেখার সময় বের করবই। লেখার জন্য কুইজও বাদ দিয়েছি আমি।
এই কটা লাইন লিখতে গিয়ে আনুমানিক ৩-৪টে মশা আমার হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। আচ্ছা এটা কেমন কথা? এইভাবে জীবন নষ্ট করার কোনো অধিকার আমার নেই। তবু নিজের সুবিধার্থে, নিজেকে বাঁচানোর জন্য আমরা মশা,তেলাপোকা অকাতরে মারছি। ওদের কি জীবন নেই? ওদেরও তো সংসার আছে,আছে বাচ্চাকাচ্চাও। সেই কথা কেউ ভাবি না। সবাই আছি নিজেকে নিয়ে। নিজের খুশি নিয়ে। হরিণ মেরে চোরাই পথে চামড়া পাচার করলে মানবতা খুঁজে পাওয়া যায় না, মানবতা কেবল উজ্জ্বল চিত্তে তখনই জাগ্রত হয় যখন একজন বাঘমামা তার ভাগ্নেকে খেয়ে ফেলেন।
এলাকার কুকুরগুলো এই প্রজননের সময় না খেয়ে, ঠাণ্ডায় কষ্ট করলেও কারো কোনো যায় আসে না, কিন্তু নিষেধ থাকা স্বত্বেও আলগা পিরিতি দেখায়া চিরিয়াখানার হরিণের জন্য ১০ টাকার বাদাম আমরা ঠিকই কিনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫৯