সন্ধ্যা আসে নেমে ধীর লয়ে,কখনো মেঘের চাদর গায়ে, কখনো বা ছায়া ছায়া যাকে বলে এক হাল্কা ছাই রঙ মেখে। আমি নিত্যদিনের মত ছাদে হেটে বেড়াই কারণ ডাক্তার বলেছে। হাটি আর হাটি আর ঘাড় তুলে দেখি আধখানা চাঁদটা এক জায়গায় ঠায় দাড়ানো ,আর আকাশের এধারে ওধারে কাচের কুচির মত দু একটা তারা ঝিকমিক করছে।
আমার মাথার উপর দিয়ে কোনাকুনি একের পর এক প্লেন উড়ে যায়। কোনটা নীচু একেবারে সব আলো দেখা যায় আর কোনটা অনেক উপর দিয়ে। ছাদের সীমানায় রাখা মোবাইলের দিকে দিকে বার বার তাকিয়ে দেখি। এখন আর আগের মত প্রতিদিন বেজে উঠে না, বলে না, কি অবস্থা! ছাদে উঠছো!
"হ্যা হ্যা আমি ছাদে, শোনো পাক্কা ৩০ মিনিট আমি হাটবো আর এই সময়টা তুমি আমার সাথে কথা বলবে"।
কি বলবো! প্রতিদিন কি এত কথা বলা যায়?
"যা খুশী বলতে পারো এই ধরো আবোলতাবোল "
"খেয়ে কাজ নেই আর কি! বললেই হলো আবোল তাবোল কথা বলতে হবে! আমার বিল উঠবে না!
"ছি ছি ছোট লোকের মত যত্তসব কিপটে মার্কা কথা। এই শোনো বাইরে গিয়ে দেখো একটা বিশাল প্লেন তোমার ছাদের উপর থেকে আমার ছাদের দিকে এগিয়ে আসছে, মনে হয় ল্যান্ড করবে"।
না না অনেক উপর দিয়ে যাচ্ছে মনে হয় না ল্যান্ড করবে, আমার ধারণা অন্য কোন দেশে যাচ্ছে। তবে যেখানেই যাক নিরাপদে অবতরন করুক সকল যাত্রী নিয়ে। তা তোমার কি রাতের রান্নাবান্না শেষ?।
"হ্যা সে সব সেরেই তো ছাদে উঠেছি"।
ও আচ্ছা, তারপর হলো কি তোমার তিরিশ মিনিট হাটা? ভালোই একটা ডিউটি হয়েছে আমার! নিজের গাটের পয়সা খরচ করে নিত্যদিন আপনার হাটার সংগী হতে হবে আমাকে! আমারে কি ছাগল পাইছেন।
"না না ছাগল না, ছাগল না, পাগল একটা আস্ত পাগল, যাও আর বাকি পাচ মিনিট আমি একা একাই হাটবো। সাথে থাকবে আমার মেঘ আর পাখিরা।
ছবি আমার তোলা