আজ ফিরে আসছি ঢাকায় ইনশাআল্লাহ। আকাশ আজ ঝকঝকে তকতকে। সূর্য তার সব রোশনাই ঢেলে দিচ্ছে চরাচরে। গাছগুলো এতদিন ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে গিয়েছিল। আজ তার পাতাগুলো রোদ পরে চিকচিক করছে। কি অসাধারণ এক সৌন্দর্য চারিদিকে। এখন মনে হচ্ছে আর কটাদিন থেকে যাই। কিন্ত হায় আজ আমাদের ফিরতেই হবে যে। নাস্তা খেয়ে রুমে ঢোকার চেষ্টা করতে ব্যার্থ হয়ে রুম সার্ভিসের একজনের মাস্টার কার্ড দিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। বুঝলাম আমাদের রুমে ঢোকার কার্ড তার কার্যকারিতা হারিয়েছে স্বয়ংক্রিয় ভাবে।
জানালা দিয়ে দূর সমুদ্র আজ সূর্যের আলোয় ঝলমলে সমুদ্রের বুকে এক নিসংগ সাম্পান, এটাও রুমের জানালা থেকে তোলা
আমিও কক্সবাজারকে ভালোবাসি, সীপার্ল হোটেলের কৃত্রিম সমুদ্রের ঢেউ
একদা গরীবের বাগানের অতি সাধারণ জবা ফুল তার অমলিন সৌন্দর্য বিলিয়ে চলেছে ধনীর বাগিচায়
আরেক রঙের জবা
সেই প্রাচীন লাল ঝুমকো জবা
চিরহরিত ঝাউগাছ, আমার প্রিয় রঙ, আমার লাকি কালারও বটে কি সবুজ একেবারে যেন আমার সবুজ বাংলাদেশ
আমাদের দেখে খাবারের আশায় দৌড়ে আসলো লাল হলুদ সব রঙিন মাছের দল পুলের পাশেই এই হোটেলের বাংগালী রেস্তোরাঁ আপ্যায়নে যাচ্ছি আপ্যায়িত হতে দরজার সামনেই বিশাল এক ইলিশ মাছের মুর্তি, এক পিস মাছ ভাজার দাম শুনে খাবার দাবার পরিবেশন মাটির হাড়িতে কিন্ত প্লেট গ্লাসে পুরো ইংরেজিআনা বহাল
রংগন ফুল এই ধনীর প্রাসাদে তার সৌন্দর্য এর ডালি মেলে ধরতে চাইছে প্রানপনে আবার হেটে হেটে রুমে ফেরা, আরেকটু পরেই ফিরতে হবে খেয়েদেয়ে লাউঞ্জে বসতেই এয়ারপোর্টে ড্রপ দেয়ার জন্য বাস এসে হাজির
আজ সমুদ্র অনেকটাই শান্ত তাই না!
সমুদ্র আর বেলাভূমি মিলেমিশে একাকার
আমাদের নিয়ে উড়াল দেয়ার অপেক্ষায়
মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে চির পরিচিত ঢাকায় ফিরে আসা
প্লেন থেকে নামার সময় দরজায় দাঁড়ানো কেবিন ক্রুকে বলে আসলাম সেদিনের সেই দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া সত্বেও আমাদের নিরাপদ যাত্রা ও অবতরনের জন্য উনি যেন ক্যাপ্টেন সৈকতকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন পৌঁছে দেন
আমার ঘুরাঘুরি ফুরলো, নটে গাছটি মুড়ালো ।
সব ছবি আমার মোবাইলে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৬