সিরিয়াতে একনায়ক বাশার আল-আসাদের পতন হইছে। হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের মধ্য দিয়া যাবার অভিজ্ঞতার কারনে যে কোন একনায়কের পতন দেখলে এখন খুব আনন্দ লাগে।
বাশার আল-আসাদ ২৪ বছর ক্ষমতায় ছিল। আরব বসন্তের শুরুর দিকে বাশার আল-আসাদের বিপক্ষে জনগন রাস্তায় নেমে আসে। কিন্তু স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক সীমানা অতিক্রম করে এইটা যুদ্ধের রূপ নেয়। ক্ষমতা টিকায়ে রাখতে বাশার আল-আসাদ তার বিরোধিদের সাথে নির্মম আচরণ করে, নির্বিচারে গণহত্যা করে। এই যুদ্ধের সময় ইরান আর রাশিয়া আল- আসাদকে ক্ষমতায় থাকতে সহায়তা করে।
শিয়া-সুন্নী ধর্মতত্বের দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের সুন্নিরা শিয়াদের একদম দেখতে পারে না। কিন্তু রাজনীতির দিক থেকে ইরানের প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ ছিল। বিশেষ করে একটা গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পুরো রাষ্ট্রকাঠামো বদলাইয়া দেবার যে তরীকা আর গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সাথে আয়াতুল্লাহর কন্ট্রোলের মিশেলে যে পলিটিকাল ব্যবস্থা, এইটা খুবই ইন্টারেস্টিং একটা সিস্টেম। কিন্তু, সিরিয়ার যুদ্ধের ঘটনায় ইরান যখন এক তরফা বাশার আল-আসাদের পক্ষ নিল, ন্যায়-অন্যায়ের চাইতে শিয়া বাশারের সরকার টিকায়ে রাখাই যখন তার একমাত্র গোল হইয়া দাড়াইল, সেইটা কেবল হতাশাই বাড়াইছিল। এই ঘটনার শিক্ষা হইল, ন্যায়- নীতি বাদ দিয়া নেপোটিজম আর ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন নিপীড়নের মাধ্যমে টিকে থাকার দিন শেষ হইয়া আসতেছে।
সিরিয়ার জনগন স্বাধীনতা আর একটা ভাল পলিটিকাল সিস্টেম পাক, আর নতুন সরকারও যেন ফিলিস্তিনের মজলুম ভাইবোনদের পাশে দাড়ায় এই কামনা করি। আর আমাদের ঘরের ধারের মায়ানমারের সামরিক শাসকেরও পতন হোক এই দোয়া করি। রোহিঙ্গা মুসলিমদের তাদের মাটি ফিরায়ে দেয়াও আমাদের আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্তব্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



