ভারত রাষ্ট্র আজ এক কলঙ্কিত দৃষ্টান্ত। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশ এতটা নির্লজ্জভাবে সংখ্যালঘুদের দমন করতে পারে, তা ভারত না দেখালে কেউ বিশ্বাস করত না। এখানে মুসলমান হওয়া মানেই অপরাধ। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে মসজিদ ভাঙে, মুসল্লিদের রক্তে রাস্তা রঞ্জিত করে, অথচ তাদের সরকার নির্লজ্জভাবে চুপ থাকে—বরং এসব অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়!
ভারতের মাটিতে মুসলমানদের অস্তিত্ব মানেই লড়াই। নামাজ পড়তে গেলে হামলা, দাড়ি রাখলে গালাগালি, আজান দিলেই আদালতে মামলা, হিজাব পরলে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া, মুসলিম ব্যবসা বয়কটের ডাক, গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা—এসব এখন ভারতের নিত্যদিনের বাস্তবতা। এমন বর্বর, কুৎসিত, ঘৃণিত, নিচু মানসিকতার রাষ্ট্র আর কোথাও নেই!
এই ভারতই বিশ্বকে ধর্মনিরপেক্ষতার বুলি শোনায়! নিজের দেশে মসজিদ গুড়িয়ে সেখানে মন্দির গড়ে তোলে, অথচ বলে "আমরা সহিষ্ণু"! দিল্লি, গুজরাট, আসাম, উত্তরপ্রদেশ—প্রতিটি রাজ্যে মুসলমানদের রক্ত ঝরানো হয়, অথচ তারা নিজেদের "গণতন্ত্রের মডেল" দাবি করে! এত বড় ভণ্ডামি আর কপটতা পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না।
বাংলাদেশের দিকে আঙুল তোলার আগে ভারতকে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে হবে। বাংলাদেশে কি কখনো মন্দিরে ঢুকে পূজারীদের পিটিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে? কখনো কাউকে জোর করে কালিমা পড়ানো হয়েছে? কখনো রাষ্ট্রীয়ভাবে মন্দির গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? হয়নি। বরং বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা করা হয়। কিন্তু ভারত? তারা তো উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দিয়ে পুরো উপমহাদেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে!
ভারত একটি অমানবিক, বর্বর, হিংস্র, অসভ্য রাষ্ট্র! এর নেতৃত্বে থাকা উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা একেকজন রক্তপিপাসু দানব! এদের নোংরা রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতা শুধু ভারতকেই নয়, পুরো অঞ্চলের শান্তি ধ্বংস করে দিচ্ছে। ভারত একটি কলঙ্ক, একটি ঘৃণ্য রাষ্ট্র, যার লজ্জাশরম নেই!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



