somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের কাশ্মীর ভ্রমণ- ৬; ক্ষণিকের দেখা, তবু মনে গাঁথা

২৩ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেদিন (০২ মে ২০১৯) সন্ধ্যার সময় মানযুর হোটেলে এসে আমাদের সাথে দেখা করলো। আমি প্রথম সাক্ষাতেই আগের রাতে আমাদের জন্য দিল্লী-শ্রীনগর এয়ার টিকেট করে দেয়ার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সবার আগে তার সমুদয় পাওনা পরিশোধ করলাম। তারপরে আগামী কয়েকদিনের প্রোগ্রাম নিয়ে আলাপ আলোচনা হলো। আমরা কাশ্মীরে আমাদের অবস্থানের সময়সীমা আরেকটা দিন বাড়াতে সম্মত হ’লাম এবং তাকে অনুরোধ করলাম একটা রাত প্যাহেলগামে রাখার জন্য। সে জানালো, শ্রীনগরের যে হোটেলটিতে আমরা উঠেছি, সেই হোটেলটিতে সে আমাদের জন্য তিনটি রাতের জন্য বুকিং দিয়ে রেখেছিল। আমাদের অনুরোধ অনুযায়ী নতুন প্রোগ্রাম করতে গেলে তাকে এখন একদিনের বুকিং ক্যান্সেল করতে হবে। তবুও সে আমাদের অনুরোধ রক্ষা করার প্রতি আগ্রহ দেখালো। আমাদের সামনেই সে হোটেলের জেনারেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলে বিনা মাশুলে একটি রাত কমিয়ে আনলো এবং প্যাহেলগামের একটি হোটেলে নতুন বুকিং দিল। সাব্যস্ত হলো, ০৫ই মে তারিখে আমরা প্যাহেলগাম যাব এবং একটি রাত থেকে পরেরদিন সকালে সরাসরি সেখান থেকে শ্রীনগর এয়ারপোর্টে যাব।

০৩ মে সকাল দশটার দিকে আমরা সোনামার্গ এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। শ্রীনগর শহর থেকে বের হবার পর থেকেই একটু ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভব করছিলাম এবং যতই সোনামার্গের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলাম, ততই ঠান্ডাটা একটু একটু করে বাড়ছিল। পথে কোথাও কোথাও সুন্দর দৃশ্যাবলী দেখে ছবি তুলতে ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু সব জায়গায় তো আর গাড়ী থামানো যায় না! সাড়ে এগারটার দিকে শাফি একটি জায়গায় গাড়ী থামিয়ে বললো, এখান থেকে চা/কফি খেয়ে নিতে পারেন। চা/কফি পানের চেয়ে আমরা চারিদিকের দৃশ্য দেখে নয়ন জুড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম, আর সাথে কিছু ছবি তোলা তো আছেই। প্রস্থানের আগে আমি শীত কাটাতে তড়িঘড়ি করে এক কাপ গরম ‘মাসালা চা’ পান করে নিলাম। বাকী দু’জন ইচ্ছুক ছিলনা। এলাকাটি ছিল সিন্ধু নদীর তীরে। এমনিতেই কনকনে ঠান্ডা বাতাস মৃদু লয়ে বইছিল, তার উপর নদী তীর বলে কথা! নদীর জল কতটা ঠান্ডা ছিল তা স্পর্শ না করলে কল্পনাও করা যায় না। নদীর অপর পারে দেখলাম, কয়েকজন লোক, খুব সম্ভবতঃ সৈনিক কিংবা আইন শৃঙ্খ্লা রক্ষাকারী বাহিনীর নওজোয়ান, সেই ঠান্ডা জলেই অবগাহন করে তীরে উঠে উর্দি পরে প্রস্থান করলো। ওদেরকে দেখে যেন আমাদের কাঁপুনিটা আরেকটু বেড়ে গেল!

পাথর, গাছপালা, বরফাবৃত বনভূমি, বরফ গলা নদী- এসবের প্রত্যেকটাই আমার মনে আলাদা আলাদা ইফেক্ট তৈরী করে। আর এর সবগুলোর সংমিশ্রন একসাথে দেখে মনে খুবই প্রফুল্ল বোধ করছিলাম। এমন পরিবেশে একটু দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে স্রষ্টার অপার সৌন্দর্য দু’চোখ ভরে দেখে নিতে ইচ্ছে হয়, মনের ভাবনাগুলোকে মেলে দিতে ইচ্ছে করে যেন ওরা যেদিকে খুশী সেদিকে বিচরণ করতে পারে; কিন্তু সময় বড় বালাই। পথে আরো দুই এক জায়গায় থেমেছিলাম, সবখানেই আরো কিছুক্ষণ থেকে যেতে ইচ্ছে হচ্ছিল, কিন্তু শাফি’র তাড়ায় তা সম্ভব হয়নি। গাড়ীতে ওঠার সাথে সাথেই তার নিত্য প্রশ্ন, “স্যার, কাশ্মীর আপকো পাস ক্যায়সা লাগতা হায়”? আমারও গৎবাঁধা জবাব- “বহুত আচ্ছা”! “স্যার, সবকুছ ঠিক হ্যায়”? হুঁ। “ম্যায় ঠিক হুঁ”? হুঁ, হুঁ, বিলকুল ঠিক! পথ চলতে চলতে একসময় একটা সাইনবোর্ডে দেখলাম, ‘সোনামার্গ ০৯ কিঃমিঃ’। তার ঠিক ২০ মিনিট পর বেলা একটায় একটা বেইলী ব্রীজের সন্নিকটে এসে পৌঁছলাম, যেটার উপরে সোনামার্গ ডেভেলপমেন্ট অথরিটীর স্বাগতবাণী উৎকীর্ণ ছিল- “WELCOME TO SONAMARG”।

পথে আসতে আসতে শাফি আমাদেরকে ব্রীফিং দিয়ে চলছিল, স্যার এ এলাকার মানুষ অত্যন্ত গরীব। মজদুর শ্রেণীর। এদের আয় রোজগার বলতে কিছুই নেই। মাত্র ছয় মাসে আপনারা (পর্যটকরা) যা দিয়ে যান, তা দিয়েই ওদের সারাটা বছর চালাতে হয়। কারণ বছরের ছয়টি মাস এ এলাকা কখনো কখনো বিশ ফুট বরফের নীচেও থাকে। এইতো মাত্র গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সড়কটি পর্যটকদের যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। আবার বন্ধ করে দেয়া হবে অক্টোবরের শেষের দিকে। তখন ঐ যে পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে যেসব ঘরবাড়ী দেখছেন, সেসব ফেলে রেখে ওরা ভিন্ন জায়গায় চলে যাবে। আর খাবে আপনাদের দেয়া টাকা পয়সা ভাঙ্গিয়ে। ওর মুখে এ কথা শুনে মনটা দয়ার্দ্র হয়ে উঠলো। তবে এ কথাও সে বললো, ওরা কিন্তু আপনার কাছে পনি রাইডের জন্য, স্লেজিং এর জন্য অনেক বেশী রুপী চাইবে। আপনি কিন্তু অতটা দেবেন না। ট্যুরিস্ট হিসেবে আপনাদের স্বার্থও আমাদের দেখা প্রয়োজন। আপনারা না আসলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। কত দিতে হবে, সে সম্পর্কে শাফি আমাদেরকে একটা ধারণা আগে ভাগেই দিয়ে রাখলো।

ঘোড়ায় আমি আগেও চড়েছিলাম। কিন্তু আমার স্ত্রী ও ছেলের জন্য সেই ‘পনি রাইড’ একটি অপ্রত্যাশিত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ছিল। দেখলাম, ছেলের ও সহিসের সাহায্য নিয়ে আমার স্ত্রী একটি পনি’র পিঠে চেপে বসলো, আমি সত্যিই সেটা দেখে খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম ও উঠতে হয়তো ভয় পাবে কিংবা কোন অসুবিধে হবে। ওর স্বতঃস্ফূর্ত ঘোড়ায় ওঠা দেখে আমরা দুজনাও উঠলাম। শুরু হলো পাকা রাস্তা দিয়ে ‘পনি যাত্রা’। কিন্তু একটু পরেই যখন পনি পাকা রাস্তা ছেড়ে পাহাড়ের পাদদেশ বেয়ে উঁচু নীচু পায়ে-চলা পথ ধরে এগোতে শুরু করলো, তখন স্ত্রীর জন্য একটু শঙ্কা বোধ করতে শুরু করলাম। সবচেয়ে ভয় লাগছিল ঘোড়া যখন বরফ গলে যাওয়া পাথর ছড়ানো কর্দমাক্ত পথ ধরে উঁচুতে উঠছিল কিংবা নীচুতে নামছিল। আমি সহিসকে বললাম, ওর ঘোড়াটা যেন কিছুতেই না দৌড়ায়, কিংবা না পিছলায় সেটা খেয়াল রাখতে। আমাদের তিন জনের তিনটি পনি’র জন্য দুইজন সহিস হেঁটে হেঁটে আসছিল। প্রাপ্য বখশিস যেন কম ভাগাভাগি হয়, সেজন্যেই একজন সহিসকে কম আনার এ ব্যবস্থা। সহিস অভয় দিয়ে বললো, “স্যার, ঘাবরাইয়ে মাত। ইয়ে গোড়া (ঘোড়া) সব ট্রেইন্ড হ্যায়। হার দিন ট্যুরিস্টকো সাথ চালতা হ্যায় না!” সহিস আমার স্ত্রীকে বললো, ঘোড়া যখন উঁচু থেকে নীচু পথে নামবে, তখন যেন সে একটু সামনে ঝুঁকে থাকে। আবার যখন নীচু থেকে ওপরে উঠবে, তখন যেন একটু পেছনের দিকে ঝুঁকে থাকে। আমি পাশ থেকে লক্ষ্য করছিলাম, সহিসের কথা সে অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। তা দেখে আমি মুগ্ধ হ’লাম। আমার ছেলে বেশীরভাগ সময় সহিসের সাহায্য ছাড়াই সামনে থেকে একা একাই পথ পাড়ি দিয়েছে। এ রকম অভিজ্ঞতা ওদের জীবনে এই প্রথম।

অবশেষে একটা জায়গায় এসে ঘোড়া থেমে গেল। সহিস আমাদেরকে ঘোড়া থেকে নামতে বললো। প্রথম অভিজ্ঞতা হিসেবে ঘোড়ায় চড়াটা যতটা ঝুঁকিপূর্ণ, নামাটা তার চেয়ে বেশী। দেখলাম, আমার স্ত্রী বেশ দক্ষতার সাথে সে বৈতরণীও পার হলো। সাফল্যের সাথে নেমে এক গাল হাসি! স্লেজিং তেমন কিছু নয়, চাকা লাগানো গাড়ীতে (গাড়ী মানে চাকার উপর কাঠের তক্তা বসানো, ঢাকার রাস্তায় কিছু কিছু ফকির যেগুলোতে চলে ফিরে) আমরা বসে থাকবো, আর সহিসেরা দড়ি টেনে সে গাড়ীকে বরফের উপর দিয়ে চালিয়ে নিয়ে যাবে। এটারই গালভরা ইংরেজী নাম স্লেজিং! তবে ঢালু থাকার কারণে এবং বরফের উপরিভাগ পিচ্ছিল থাকায় গাড়ী যত নীচে নামে, গতি তত তীব্র হয়। কম বয়স্করা তাতে বেশ আনন্দ উপভোগ করে। স্লেজিং শেষে আমার স্ত্রী ও ছেলে বেশ কিছুক্ষণ বরফের উপরে হাঁটাহাটি করেছিল, এমন কি কিছুক্ষণ শুয়েও ছিল। আমি একটা পাথরের উপর বসে বরফ গলা জলের গতিধারা দেখছিলাম। আর দড়িটানা ক্লান্ত সহিসেরা অল্পক্ষণের জন্যে হলেও হাঁপাচ্ছিল। রিযকের জন্য ওদেরকে এতটা কষ্ট করতে দেখে মায়া হচ্ছিল। স্লেজিং এর সময় পাশাপাশি অন্য একটি দলের কিছু লোকজন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ওয়েভ করছিল। আমিও তাদের দিকে তাকিয়ে ওয়েভের মত করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেটা বোধহয় স্বভাবসুলভ ‘স্যালুট’ এর মত কিছু একটা হয়ে গিয়েছিল। সেটা দেখে আমাদের একজন সহিস বলে উঠলো, “স্যারজী, আপকা স্যালুট বহুত আচ্ছা হ্যায়। ওয়াপস জানে কো ওয়াক্ত ঘোড়াকো উপরমে ব্যঠ কার ঠিক এ্যায়সা এক স্যালুট দেগা, হাম ফটো খিচেঙ্গে!”

চলবে....

ঢাকা
১৫ মে ২০১৯


সোনামার্গের প্রবেশ পথে একটি বেইলী ব্রীজের শীর্ষে উৎকীর্ণ সোনামার্গ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বাগতবাণী
Welcome post at the entrance, posted by Sonamarg Development Authority


সিন্ধু নদীর তীরে খাদ্যান্বেষণে ভেড়ার পাল
Sheep grazing beside River Sind


ব্লগার চাঁদগাজী এর জিজ্ঞাসার উত্তরে, ঘাস খেয়ে চলে যাচ্ছে এমন আরও একটি ভেড়ার পালের ছবি দিতে হলো।


সিন্ধু নদীর বাঁকে......
The River Sind took a bend there


বরফ গলা সিন্ধু নদী, ওপাড়ে কয়েকজন ফৌজি নওজোয়ান এই হিমশীতল জলেই গোসল সেরে পাড়ে ঊঠে উর্দি পরে নিল।
The water of the River Sind was ice-cold, yet some soldiers were seen bathing in this ice cold water on the other side.


এরকম বরফ নিঃসৃত বহু নদী যুগ যুগ ধরে সভ্যতাকে লালন করে আসছে, ধারণ করে আসছে। ওরা স্বাধীনভাবে প্রবাহিত হয়, কোন ভৌগলিক সীমারেখা না মেনেই। বরং ওদের গতিপথ অনুযায়ীই ভৌগলিক সীমারেখা নির্ধারিত হয়ে থাকে।
The running water has been sustaining civilisations through the ages. Rivers do not bend according as the borders, but borders are usually marked according as the Rivers flow.


আরোহীরা স্লেজিং এর জন্য নেমে যাবার পর ঘোড়াগুলো এখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়।
The resting ponies after the riders dismounted from them.


বহমান শীতল জলপ্রবাহের পাশে রৌদ্রোষ্ণ পাথরে বসে কাঠিন্য ও তারল্য, শৈত্য ও উষ্ণতার বৈপরীত্য নিয়ে ভাবছিলাম
Enjoying the scenery sitting on a boulder beside the running stream, thinking about the contrast between the coexisting nature


সবাইকে অভিবাদন!

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×