এনার্জি কমিশন, পুত্রাজায়া
এবার আমাদের নেয়া হলো এনার্জি কমিশনে। পুত্রাজায়ায় তাদের নতুন ভবনে কয়েক মাস আগে তারা উঠেছে। কমিশনের গঠন আমাদের কাছাকাছি ধরনের। তবে ক্ষমতা ও কর্মপরিধি আমাদের চেয়ে অনেক কম। তেল গ্যাস নিয়ে ওদের ম্যান্ডেট নেই। মূলত: বিদ্যুৎ, গ্রীন এনার্জি, রিনিউয়েবল এনার্জি নিয়ে কাজ। মূল কাজ উপদেশমূলক। রেগুলেটরী কোন কাজ নেই। এনার্জি বিষয়ক কোন আইন প্রণয়ন বা সংশোধন করার প্রয়োজন মনে করলে সরকারকে তারা পরামর্শ দেয়। সরকার তখন তা বিবেচনা করতে পারে। এছাড়া বিদ্যমান আইনের আলোকে তারা নানা গাইডলাইন তৈরী করে। যেমন-জ্বালানী সাশ্রয় সম্পর্কিত গাইড লাইন।
বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারনে তাদের কোন হাত নেই।
বাংলাদেশে আছে এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন। এরা তেল গ্যাস বিদ্যুতের দাম নির্ধারন করে। নানা বিষয়ে লাইসেন্স দেয়। ওখানে এসবের বালাই নেই।
এদের ভবনটি হলো গ্রীন বিল্ডিং। এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে স্বাভাবিক আলোতে আলাদা করে কোন লাইট জ্বালাতে হয় না।
সবাই কাজ করছেন লাইট ছাড়া
এর ছাদে লাগানো আছে সোলার প্যানেল ( ফটোভোল্টাইক প্যানেল)। এটা আবার সংযুক্ত করা আছে ন্যাশনাল গ্রিডে। তারা অবশ্য ব্যবহার করেন গ্রিডের বিদ্যুৎ। তাদের ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল থেকে সোলার প্যানেল থেকে যেটুকু বিদ্যুৎ গ্রিডে গেলো তার বিল বাদ দিয়ে বাকী টাকা শোধ করতে হয়। তার মানে বিল বাবদ তেমন টাকা লাগে না।
ছাদ জুড়ে লাগানো সোলার প্যানেল
এই ভবনের ছাদে আমাদের নিয়ে যাওয়া হলো। এখানে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করার ব্যবস্থা দেখানো হলো আমাদের। এখানে সব কাজে বৃষ্টির পানি ব্য্হার করা হয়। এখানে সমস্যা হয় না কারন সারা বছর নিয়মিত প্রচুর বৃষ্টিপাত ( দুই থেকে আড়াই হাজার মিলিমিটার/বছর) হয়।
ছাদের দৃশ্য
সব মিলে পুরো ভবনটি বেশ সুন্দর। একটা ছোট নমুনা-
এই সব দেখেটেখে আমাদের ভালোই ক্ষুধা লেগেছিলো। এটা বুঝলাম ওদের দেয়া লাঞ্চের সময়। কারণ লাঞ্চের জন্য যে খাবার সার্ভ করা হয়েছিলো তা পুরোপুরি হাপিস করে দিয়েছিলাম আমরা। আর কখনোই এ কাজ করতে পারিনি। খাবার পরও অনেক খাবার আমাদের মিকে তাকিয়েছিলো।
আলামান্দা শপিং মল
সেদিন ছিলো শুক্র বার। এনার্জি কমিশনের কাজ শেষে আমরা বের হলাম পুত্রাজায়া দেখবো বলে। তার আগে জুম্মার নামাজ আদায় করবো পুত্রা মসজিদে। যারা নামাজ পড়বেন না (অমুসলিমও ছিলেন অনেকে) তাদের জন্য টার্গেট ঠিক করা হলো তারা যাবেন পুত্রাজায়ার (একমাত্র?) শপিং মল আলামান্দায়।
আলামান্দা
আলামান্দায় ঢুকতে গিয়ে দেখলাম আমাদের বাসটি যেহেতু টুরিস্ট বাস (বাস পারসিয়ারান) তাই আলাদা রাস্তা দিয়ে যেতে হলো। সেটা অবশ্য বিশেষ রাস্তা। রাস্তাটি কাদের কাদের জন্য সংরক্ষিত তার বিবরণ দেখুন-
এ রাস্তা ব্যবহার করবেন-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এমবুলেন্স, টুরিস্ট বাস
টুরিস্টদের গুরুত্ব বুঝুন ! শপিং পিয়াসীদের আলামান্দায় নামিয়ে দিয়ে আমরা ছুটলাম দারুন সুন্দর পুত্রা মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে।
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



