Click This Link
মুডাজায়া গ্রুপ
এক দিন আমাদের নেয়া হলো মুডাজায়া গ্রুপের কার্যালয়ে। এটিও বেশ বড়ো বাণিজ্যিক গ্রুপ। টুইন টাওয়ারের কিছু কাজও নাকি তারা করেছে।
যাবার সাথে সাথে ওরাও একটা ''ঝুলা'' ধরিয়ে দিলো। মাদানীর মুখে এক চিলতে হাসি খেলে গেলো। বললো, গুড ঝুলা। কারণ সিডি আর কাগজপত্রের সাথে একটা টি-শার্ট আর ছাতাও যে ছিলো।
পরিপুষ্ট ''ঝুলা''রা
ঝুলা ছেড়ে মনোযোগ দিলাম ওদের ব্রিফিংয়ে। অনেক ক্ষেত্রেই ওদের বড়োরকমের বিনিয়োগ আছে। যেটা আমাদের বিশেষ দৃষ্টি কাড়লো সেটা হলো, ওরা সম্প্রতি ভারতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের একটা কাজ পেয়েছে। কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আমি জানতে চাইলাম, কয়লা কোথায় পাচ্ছো ? এর জবাবটা সবাইকে চমকে দিলো। জানালো ভারত ওদেরকে একশ' মিলিয়ন টনের একটা খনি দিয়েছে। খনি থেকে তারা কয়লা তুলবে। সেই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
ভাবলাম, ভারত তাদের সংরক্ষণবাদী নীতি থেকে সময়ের প্রয়োজনে কতোটা সরে এসেছে ! মালয়েশিয়ার একটা প্রাইভেট কোম্পানীকে আস্ত একটা খনি দিয়ে দিয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তাদের দেশেই বিক্রির জন্য। এই পিলে চমকানো তথ্যটা দিলেন মুডাজায়ার ভারতীয় মালয়েশীয় কর্মকর্তা।
আরো চমক অপেক্ষা করছিলো পরদিন। পেপারে দেখলাম মুডাজায়া গ্রুপের ট্যাক্স ফাঁকি তদন্ত করছে পুলিশ। কি বিচিত্র এই দুনিয়া !
শপিং শপিং
বাইরে গেলে কিঞ্চিৎ শপিংয়ের বাই চড়ে কম বেশি সবার মাথায়। আমাদেরও চড়েছে। কথা হলো শপিং করবো কোথায় ? আমরা যে হোটেলে থাকি সেখানেও আছে একটা শপিং মল। নামই ''দ্য মল''। পুত্রা প্যালেসে। জালান পুত্রায়। পার্কসন এখানকার সবচেয়ে বড়ো দোকান। ঘুরে ফিরে দেখলাম মন্দনা।
আমাদের সাথে কর্মরত কর্মকর্তা মি.হারজিজি জানালেন ''সোগো'' বেশ ভালো শপিংয়ের জন্য। এলআরটি স্টেশন বান্দারায়ার সাথেই সোগো শপিং মল। দেখলাম ভালোই শপিংয়ের জন্য।
আরেকজন বললেন, প্লাজা সেন্ট্রালের কথা। সেটা দেখলাম শো-পিসের জন্য ভালো।
আরেক দিন আমাদের নেয়া হলো পেটালিং স্ট্রিটে। চাইনিজ মার্কেট। মালিক বিক্রেতা সবাই চাইনজ। আমি ঠিক আমেজ পেলাম না।
বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানালেন, মসজিদ জামেক ইনডিয়ার সাথের মাইডিন আর হানিফার কথা। দুটোর মালিকই ভারতের দুই মুসলিম ব্যবসায়ী। মাইডিনের দোকান একাধিক। সব চেয়ে পরেরটাই ভালো। আমাদের শপিংয়ের প্রধান কেন্দ্রই হয়ে দাঁড়ালো মাইডিন আর হানিফা। অন্যত্রও কিছু শপিং করেছি। কিন্তু এ দুটোতেই শপিং করে আরাম পেয়েছি।
(চলবে)
আলোচিত ব্লগ
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।
আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?
আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন