somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অখ্যাত আমার বিখ্যাত শিক্ষকেরা - ১৩

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব -
Click This Link

ড. আহমদ শরীফ

বাংলা বিভাগের কিংবদন্তী অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ স্যারকে অল্প সময়ের জন্য পেয়েছিলাম। তিনি পড়াতেন সাংবাদিকতার ভাষানুশীলন (বাংলা)। পাশাপাশি ভাষাতত্ত্ব বিষয়ক কিছু অংশ। তাঁর মনীষার সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে রাখতো। তাঁর চাচা লোক সাহিত্য সংগ্রহ, সম্পাদনা আর গবেষণার কিংবদন্তী আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের কাজকে মনীষাঋদ্ধ করে উপস্থাপন করেছেন তিনি। মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্য বিষয়ে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য সত্যিই ঈর্ষণীয়।

প্রফেসর কে এম এ মুনীম

ইংরেজী বিভাগের প্রফেসর কে এম এ মুনীম পড়াতেন সাংবাদিকতার ভাষানুশীলন (ইংরেজী)। সম্পাদনার ক্ষেত্রে (সাংবাদিকতার ভাষায় কপি রিডিং) মুনীম স্যার ছিলেন সর্বমান্য ব্যক্তিত্ব। এস এম আলী ডেইলী স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হয়ে চলে আসার পর মুনীম স্যার বাংলাদেশ অবজারভারের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হন। পরে সম্পাদক হন। আমৃত্যু এ পদে ছিলেন তিনি।

আবদুর রহীম

আবদুর রহীম স্যার ছিলেন বাংলাদেশ অবজারভারের নির্বাহী সম্পাদক। খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে তিনি আমাদের পড়াতেন সমকালীন বিষয়াবলী। তিনি পরে চলে যান লন্ডনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার হিসাবে। ফিরে এসে হন পিআইডি'র প্রধান ( পিআইও বা প্রিন্সিপাল ইনফরশেন অফিসার) । এখন আন্তর্জাতিক লেখক সংঘ পিইএন এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের অন্যতম কর্মকর্তা। এই সংগঠনের জার্মানী শাখার অর্থায়নেই মৃত্যুর আগে জার্মানী গিয়েছিলেন ড.হুমায়ুন আজাদ।

জাওয়াদুর রহমান

জাওয়াদুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ অবজারভারের সহকারী সম্পাদক। বাংলাদেশ বিষয়াবলী পড়াতেন আমাদের খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে। খুব শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। ক্লাসে মাঝে মাঝে সিগারেট টানতেন। কথা বলতে বলতে আনমনে বাইরের দিকে চেয়ে থাকতেন। তাঁর একটা কথা আমার খুব ভালো লেগেছিলো- আমরা সবাই যৌবন ধরে রাখার জন্য অস্থির হয়ে থাকি। বার্ধক্য নিয়ে আমরা আতঙ্কিত থাকি। অথচ বার্ধক্যেরও আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। সুন্দর করে বুড়ো হওয়াও একটা আর্ট।

কিছু দিন আগে স্যার মারা গেছেন বলে শুনেছি।

শাহেদ কামাল

কবি বেগম সুফিয়া কামালের বড়ো ছেলে শাহেদ কামাল। সুঠাম দেহী অকৃতদার এই ভদ্রলোক ছিলেন চূড়ান্ত রকমের স্বনির্ভর মানুষ। চলাফেরা করতেন সাইকেলে। তাঁর সাইকেল চালানো দেখলে মনে পড়তো চে'র সাইকেলের কথা। খুব রাশভারী মানুষ ছিলেন। আমি যমের মতো ভয় পেতাম। সম্পাদনা' বিষয়ে পড়াতেন তিনি। শিক্ষক হিসাবে দুর্দান্ত ছিলেন। চাকরী করতেন বাসস-এ।

এনায়েত উল্লাহ খান

অল্প কিছু দিনের জন্য পেয়েছি এনায়েত উল্লাহ খান স্যারকে। (অনেকেই তাঁকে আর হলিডে সম্পাদক রাশেদ খান মেননদের ভাই এনায়েত উল্লাহ খানকে এক করে ফেলেন) স্যার এখন মূলত: ব্যবসায়ী। কসমস গ্রুপের মালিক। মৌচাক মোড়ে নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই তৈরী কসমসের স্মার্ট অফিস ভবন ঢাকার আধুনিক কর্পোরেট অফিসের অন্যতম পথিকৃৎ। মতিঝিল দিলখুশার বাইরেও যে ব্যবসায়িক অফিস হতে পারে সেটাও ছিলো এক নতুন ভাবনা। বেসরকারী বার্তা সংস্থা ইউএনবি এবং ইংরেজী সাপ্তাহিক ঢাকা কুরিয়ার সম্পাদনার মাধ্যমে সাংবাদিকতার সাথে সম্পর্কটি এখনো বজায় রেখেছেন। সেই কালেই ইউএনবির সাংবাদিকদের কম্পিউটারে রিপোর্ট লিখতে হতো। এ বিষয়ে ইউএনবিই পথিকৃৎ।

এখনো স্যার দারুন কর্মজঞ্চল। প্রায়ই দেখা হয় স্যারের সাথে।

(চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×