সুবর্নভূমি বিমান বন্দর
আগের পর্ব-
Click This Link
নোনতা বুরীর পথে
আমাদের বাস বেশ আয়েশী ভঙ্গীতে যাত্রা শুরু করলো। মোড় ঘুরতেই চোখ ধাঁধিয়ে দিলো পেছনে ফেলে আসা আলো ঝলোমল বিশাল আকারের সুবর্নভূমি বিমান বন্দর। এটি নতুন। এর আগে সব বিমান নামতো ডন মুয়ং বিমান বন্দরে। থাই সরকার ১৯৫৯ সালে নতুন বিমান বন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বিমান বন্দরের নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারী থাই রাজা ভূমিপল আদুল্যাদেজ কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় নতুন বিমান বন্দরের। রাজা সে নতুন বিমান বন্দরের নাম দেন সুবর্নভূমি বিমান বন্দর। সুবর্ন ভূমি মানে গোল্ডেন ল্যাণ্ড। তার মানে বাংলাতেও এর অর্থ সুবর্নভূমিই। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২৮ সেপ্টেম্বর হলেও ২৯ জুলাই থেকে অভ্যন্তরীন আর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নামতে শুরু করে সুবর্নভূমিতে।
বিমান নামছে সুবর্নভমি বিমান বন্দরে
২০ হাজার রাই ( ৮ হাজার একর) এলাকায় স্থাপিত এ বিমান বন্দরে প্রতি ঘন্টায় ৭৬টি ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারবে। ব্যাংকক থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ বিমান বন্দর বছরে সাড়ে ৪ কোটি যাত্রী ওঠানামায় আর ত্রিশ লাখ টন কার্গো পরিবহনে সক্ষম। একটি বিশাল টার্মিনাল দিয়েই সাততলা (+২টি বেসমেন্ট) বিশিষ্ট বিমান বন্দরের সকল কাজ চলছে।
এর ভেতরের সৌন্দর্যও চিত্তাকর্ষক
আলোময় বিমান বন্দর পেছনে ফেলে আমরা চললাম নোনতাবুরী প্রদেশের মূল শহর নোনতাবুরির উদ্দেশ্যে। সেখানে রিচমণ্ড হোটেলে আমাদের থাকার কথা। একটু চলে তো বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে-এভাবে ট্রাফিক জ্যাম ঠেলে আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা পরে পৌঁছালাম রিচমণ্ড হোটেলে।
রিচমণ্ড হোটেল
চেক ইন শেষে প্রথম কাজ বাড়ীতে খবর দেয়া। মুশকিল আসানে এগিয়ে এলেন সেই সুফিয়ান। কারা কারা সিম কার্ড কিনবেন তার তালিকা করে ছুটলেন সিম কার্ডের সন্ধানে। আধ ঘন্টার মধ্যে পেয়ে গেলাম সিম। ''হ্যাপী'' নামের প্যাকেজটি ''টেলি নর'' (গ্রামীণ ফোনের মূল শেয়ারহোল্ডার)-এর মালিকানাধীন। তবে ফোন করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। খুবই ব্যয় বহুল। পরে অবশ্য এআইটি থেকে ''মা'' কার্ড কিনে সমস্যা কিছু কমানো গেলো। থাই প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রযোজনা এই ''মা'' কার্ড।
প্রাথমিক ব্রীফিং শেষে আমাদের আনুষ্ঠানিক ডিনারে আমন্ত্রণ করা হলো। খেতে বসে আমার দফারফা। চারপাশে পোর্কের ছড়াছড়ি। বেছে বেছে কিছু খেয়ে (বিশেষত: ফল) ঠেলা সামাল দিলাম।
রুম পেলাম চৌদ্দ তলায়। জানালা খুলে দেখলাম একটা গ্রামীণ পরিবেশ। মাঝে মাঝে বিরাট বহুতল ইমারত। যতদূর চোখ যায় চওড়া রাস্তা এঁকে বেঁকে চলে গেছে দিগন্তের দিকে। ছুটে চলেছে হাজার হাজার গাড়ী।
(চলবে)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




