নিচে শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে তাদের দেয়া বক্তব্য তুলে ধরা হলো ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও বিএনপি মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়া আসন্ন নির্বাচনে কালো টাকার মালিক এবং সন্ত্রাসীদের মনোনয়ন না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। শনিবার আগামী জাতীয় নির্বাচন উপল ে'জাতীয় নির্বাচন 2007 : জবাবদিহিতামূলক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সুশীল সমাজের উদ্যোগ' শীর্ষক নাগরিক ফোরামে তারা এ ঘোষণা দেন। তবে নাগরিক ফোরামের অন্য আলোচকরা দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের জন্য দুই প্রধান রাজনৈতিক দলকেই মূলত দায়ী করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান সুশীল সমাজের দাবি প্রসঙ্গে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার ছাড়া এ দাবি কখনোই পূরণ হওয়া সম্ভ্ভব নয়।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান। সিপিডির ব্যবস্থ্থাপনা পরিচালক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাতেমা ইউসুফ। নাগরিক ফোরামের প েসুশীল সমাজের 2021 সালের বাংলাদেশের রূপকল্প তুলে ধরেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক মাহমুদা ইসলাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থ্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর। অনুষ্ঠানে এসে আগামী নির্বাচনে পরস্পর প্রতিপ দেশের বড় দুই রাজনৈতিক জোটের শীর্ষ নেতা আবদুল জলিল ও আবদুল মান্নান ভূঁইয়া করমর্দন করেন। তারা আসন নেন সিপিডি চেয়ারম্যানের দু'পাশে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা হাসান মশহুদ চৌধহৃরী, সুলতানা কামালসহ বিশিষ্ট রাজনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিাবিদসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শুরুর আগে সুশীল সমাজের প েঅধ্যাপক রেহমান সোবহান মূল প্রস্তাবনা ও 'বাংলাদেশ রূপকল্প 2021' মান্নান ভূঁইয়া ও আবদুল জলিলের হতে তুলে দেন।
আবদুল জলিল নাগরিক সমাজের উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটে এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দর্শন বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তারা গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে চায়। সে ল্যে আসন্ন নির্বাচনে কালো টাকার মালিক ও সন্ত্রাসীদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে তিনি ঘোষণা দেন। সুশীল সমাজের 2021 সালের রূপকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, 2020 সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী। এ সময়ের মধ্যে তারা সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান। আওয়ামী লীগের 31 দফার সঙ্গে সুশীল সমাজের দাবিগুলোর মিলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো প্রভাবমুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন। এ দাবি আদায় করতে গিয়ে এ পর্যন্ত 70 জন প্রাণ হারিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের প্যাকেজ এখনো পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি বলে তিনি আপে করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কে কত টাকা ট্যাঙ্ ফাঁকি দিল তা নিয়ে এই কমিশন ব্যস্ত। এদিকে ল কোটি টাকা লুটপাট হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে, অথচ এ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি সুশীল সমাজের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সব দলের ভেতর যে কালো টাকার মালিক ও সস্ত্রাসী আছে তাদের চিহ্নিত করুন। আমরা আমাদের দল থেকেও এদের বহিস্কার করব। কিন্তু অন্য দলগুলোকেও অঙ্গীকার করতে হবে এদের তারা দলে নেবে না।
মান্নান ভূঁইয়া তার বক্তব্যে সুশীল সমাজের সমালোচনা করে বলেন, সুশীল সমাজে এমন সদস্যও আছেন যারা নিরপেভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। পপাতিত্বের অভিযোগ এনে তিনি আরো বলেন, তারা বিশেষ একটি দলের প নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম সব সময় রাজনীতিবিদদের সামালোচনা করে আসছে। কিন্তু তারা সরকারি কর্মকর্তা ও আমলাদের জবাবদিহিতা চায় না। তাদের জবাবদিহিতা চাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, দেশের প্রধান সমস্যা ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান গড়তে না পারলে দেশের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে পারলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তানও সরকারি চাকরি করার সুযোগ পাবে। দুর্নীতিকে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করা জরুরি। সরকারের অডিট বিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই বিভাগে এমন লোকের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, যে ইতিমধ্যে মারা গেছে। নির্বাচনে কালো টাকার প্রাধান্য রোধ করতে তিনি নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



