ইসলামে নারীর মর্যাদার উদাহরন দিতে অনেকেই এই হাদিসটি বলেন যে,
”মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত”। আসলে এটি একটি জাল হাদিস।
প্রমানঃ জাল হাদিস
যদিও কেউ কেউ বলে এর উপর সহিহ হাদিস আছে। যদিও আমি তেমন কোন নির্ভরযোগ্য হাদিস খুজে পাইনি যা ইসলামী স্কলারদের দ্বারা প্রমানিত।
আবার ” স্বামীদের পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত ” এটা সহিহ হাদিস হলেও মুমিনরা এই হাদিস নারী অধিকারের বিরোধী হয় বলে এটা জাল হাদিস বলে প্রমান করার চেষ্টা করে।
নিচে এই হাদিসে স্বপক্ষে কিছু প্রমান দেওয়া হল।
মাহমুদ ইবন গায়লান (রঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী বলেছেন, আমি যদি কারো প্রতি সিজদা করতে কাউকে নির্দেশ দিতাম তবে অবশ্যই স্বামীকে সিজদা করার জন্য স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম।
তিরমিযী শরীফ, হাদীসঃ ১১৬০
স্বামীই হচ্ছে জান্নাত, স্বামীই হচ্ছে জাহান্নাম।
(নাসাঈ কুবরা, সিলসিলা ছাহীহাহ হা/২৬১২, ১৯৩৪।)
একবার এক নারী সাহাবী রাসূলের কাছে এলেন নিজের কোনো প্রয়োজনে। যাওয়ার সময় রাসূল তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, জী, আছে। নবীজী বললেন, তার সাথে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল, আমি যথাসাধ্য তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি। তখন নবীজী বললেন, হাঁ, তার সাথে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থাকো, কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম। (মুআত্তা মালেক, হাদীস ৯৫২)
নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমত আদায় করবে, রমজানের রোজা রাখবে, আপন লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে, স্বামীর আনুগত্য করবে- তখন সে জান্নাতের যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ৪১৬৩)
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সহিহ হাদিসের আলোকে দেখতে গেলে বেহেস্তে যেতে হলে মেয়েদের স্বামীর পায়ের কাছেই পড়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।
এখন প্রশ্ন হল, যদি মায়ের হাদিস যদি সহিহ হয়েও থাকে, তাহলে ইসলামে এরকম দ্বিমুখী হাদিস কেন থাকবে?
এখন মুসলিম নারীরা চিন্তা করে দেখতে পারেন, কার পায়ের নিচে পড়ে থাকবেন, মায়ের নাকি স্বামীর?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬