কয়েকদিনের পর্যবেক্ষণে বাঙ্গালিরা ফেসবুক লাইভ অপশনের বারোটা বাজাচ্ছে যেভাবে;
১) একজনকে দেখলাম ফেসবুক লাইভে ভাত খাচ্ছে।
২) আরেকজন লাইভ গোসল করছে।
৩) ৬-৭ সাত বছরের বাচ্চারা লাইভে প্রেমের গাইডলাইন দিচ্ছে।
৪) লাইভে লুঙ্গি পড়ে উদ্দাম নাচ।
৫) লাইভে রিকোয়েস্টে ইউটিউব থেকে গান শোনাচ্ছে, (আমি বুঝিনা যারা রিকোয়েস্ট করছে, তারা নিজেরাই তো ইউটিউবে গিয়ে গান শুনতে পারে, লাইভে শোনার কি মাজেজা, আমি বুঝিনাই)
৬) মেয়েরা মুখ ঢেকে, (অনেকে ক্যামেরার লেন্সে স্কচটেপ লাগিয়ে কালো করে) লাইভে হেড়ে গলায় গান শোনাচ্ছে।
৭) একজনকে দেখলাম মাথায় উকুন মারার চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়িয়ে নখ দিয়ে লাইভ উকুন মারছে। এবং দর্শকরা কয়টা উকুন মরল তা গুনছে।
উপরোক্ত লাইভগুলির দর্শকসংখ্যা ৩ থেকে ৩০। মেয়ে হলে দর্শকসংখ্যা আনুপাতিক হারে বাড়তে থাকে।
দর্শকদের বেশিরভাগ কমেন্ট; চিকন পিনের চার্জার হবে?
সব লাইভ যে এমন তা কিন্তু না। কেউ কেউ লাইভে বিজ্ঞান, ইতিহাস সম্পর্কে আলোচনা করছে। আবার কেউ লাইভ সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট করছে। কেউ লাইভে সহজ ভাষায় ইংরেজি ভাষা শিখাচ্ছে।
লাইভ অপশন থাকলেই যে লাইভে এসে ছ্যাবলামি করতেই হবে, এমন তো কথা নেই। আমরা প্রযুক্তির ভাল ব্যবহারের চাইতে খারাপ ব্যবহারে কেন যে এত পারদর্শী, আমি মাঝে মাঝে বুঝতে পারিনা।
আমরা এখনো সহজলভ্য প্রযুক্তির উপযুক্ত নই। যেখানে অন্যান্য দেশ গ্রহে গ্রহে মহাকাশযান পাঠাচ্ছে, ব্ল্যাকহোল, নেবুলা, সুপারনোভা নিয়ে আলোচনা করছে আর আমরা ফেসবুক লাইভে উকুন মারছি।
ভাল তো, ভাল না?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫