মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন আমরা যখন ক্ষমতায় আসি সেই ২০০৯ সালে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ছিল ১৬শ টাকা। আর আজ ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের বেতন ৫হাজার টাকা করা হয়েছে।
তিনি হয়তো সময়ের সাথে তাদের ঘামের দাম দিতে পারছেন বলে খুব আনন্দ পাচ্ছেন। কিন্তু গতির যুদ্ধে এই ক্ষুদ্র পয়সা বেঁচে থাকার কতটুকু চাহিদা পূরণ করতে পারে! ভাবতে লজ্জা লাগে আন্তর্জাতিক অর্থের পাল্লায় ১০০ডলার বেতনও পায়না আমাদের এই সোনা ফলা মানুষগুলো।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতা অর্জনে সবচেয়ে উজ্জ্বল সেক্টর হল পোশাক শিল্প। কিন্তু এই পোশাক শ্রমিকরাই সবচেয়ে বঞ্চিত। ঘাম ঝড়িয়ে তারুন্য যৌবন স্বপ্ন সব ঢেলে যে শ্রম দিচ্ছে আমাদের এই ভাই মা বোনেরা তার কি মূল্য দিচ্ছে বাংলাদেশ!
হ্যা দিচ্ছেইতো.. মাঝে মাঝে রানাপ্লাজা, স্পেকটার্ম, তাজরীনের কাবাব উপহার পাচ্ছে আমাদের এই দুঃখী মানুষগুলো। কতটা কষ্ট আর যন্ত্রনা থাকলে মানুষ তাদের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আসে তা বুঝতে পারেননা আমাদের কান্ডারী নেতানেত্রীরা। তারা শুধু শ্রমের ঘাম আর রক্তের উপর রাজনীতি করতে জানেন।
দু:খবিলাসী এসব মানুষদের ঠকিয়ে ঠিকই ফূর্তি করেন বিজিএমইএর নেতারা। লজ্জা পাই যখন দেখি তারা প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ ৫হাজার টাকার বদলে ৪৫০০টাকা দিতে পারবে বলে ঘোষনা দেয়।
‘সকাল বেলার আমীররে তুই ফকির সন্ধ্যাবেলা’ -অর্থের অভাবের দৈন্যতা তোমাদের হয়তো আঘাত করেনি। কিন্তু মনের বিশালত্বের অভাব তোমাদের নিচু মানসিকতাকেই তুলে আনছে আমাদের সামনে। যদিও এদের অধিকাংশ মানুষের কাজই হল শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা আর নিচু হয়ে চলে যাওয়া।