ছাড়ের সংহার চলে জীবন আত্মায়,
একেপেশে ছাড়ের বাহার কড়ায় গন্ডায়।
দুঃখ রাগ অভিমান মননে লুকনো ঘা নিয়ে
এবার ফিরলাম প্রিয় পৈতৃক ভিটায়
নাইওরী নয়,
পুরো দস্তু মালিকের দম্ভিত বাসনায়।
রান্নাঘর,সুপুরীবাগান,ভাঙ্গাঘাট
বৈঠক খানার পাশে সাদা বকফুল,
রোদছায়া ঘ্রাণ,মাতাপিতার
তছবিহ ও তফসিরের মুখর রাগিণী;
শৈশব বাতাস হেসে ওঠে স্বাগত জানায়।
ঘর জুড়ে অচেনা অজানা ছায়া নড়ে ওঠে।
সুতীক্ষ্ণ শকুন চোখ অঘোরে বিদ্ধ করে
এ ওর গায়ে ঢলে পড়ে শহুরে গলির
পথুয়া রাণীর মত।
-এ বাড়ি তোমার নয় কিনে নিয়েছে
সেই বণিক শাহজাদা।
- আমি তো বেচিনি ঘর, উঠান-দালান
এই কো সাক্ষি দলিল, দাগ ক্ষতিয়ান
সাক্ষি জন্মের খাটাল।
চৌদিক কাঁপিয়ে পথুয়া-দালাল অট্রহাস্য করে-
-শুনেছি দিয়েছ পাশ বড় বড় বিদ্যালয়ে পড়াতেও যাও,
শিখনি এই রত্তি হিসাব
মেয়েদের লাগেনা এসব।
মূর্খামীর সীল এঁটে আমিও পড়ে থাকি
বন্য বিচুটির মতো,
ছাড় দেব আর কত!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




