সকাল সকাল বাস ষ্ট্যান্ডে এসেই ওকে ফোন দেয়ার জন্য ফোনের দোকান খুঁজতে লাগলাম । সবসময় যেখান থেকে ফোন টা করা হত সে দোকানটা আজ কোন কারনে বন্ধ । এমাথা-ওমাথা খুঁজে অবশেষে একজনকে পাওয়া গেল । নম্বর ডায়াল করে অপেক্ষা..............দুঃখিত, এই মুহুর্তে........... ধ্যাৎ!!! মেয়েটা আজও লেট করবে.......
অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘায়িত হতে লাগল...............
আধ-ঘন্টা পেরিয়েও মেয়েটাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না । নিশ্চিৎ, এ্যালার্ম অফ করতে যেয়ে ফোন অফ করে রেখেছে...............আর একটু দেরি করলে আজ আর ফার্স্ট ক্লাসটা ধরতে হবে না ।
এক ঘন্টা, দেড় ঘন্টা, দুই ঘন্টা,............................। পাক্কা আড়াই ঘন্টা পর তাকে পাওয়া গেল ফোনে...............অনেক কষ্টে রাগটা চেপে গিয়ে বললাম, তাড়াতাড়ি আয়.............আমি আছি...........
এর প্রায় আধ-ঘন্টা পর ও যখন আসলো তখন ওর দিকে তাকানো যাচ্ছিল না । প্রায় প্রতিদিন সকালেই ওকে ঘুম থেকে তুলে ক্লাসে নিয়ে যাওয়াটা আমার অভাসে পরিনত হয়েছিল...............প্রতিদিন, ও যখন ঘুম থেকে উঠে ফোলা চোখ-মুখ নিয়ে আসত, মনে হত যেন কেজি স্কুলের বাচ্চাকে তার মা জোর করে তুলে স্কুলে পাঠিয়ে দিয়েছে.........
খুব দ্রুত বাসের টিকেট কেটে উঠে পরলাম...................
বাসে উঠেও কোন কথা বললাম না ওর সাথে...........কি অদ্ভুত মেয়েটা!!! আমি তার জন্য ৩-ঘন্টা দাড়িয়ে থাকলাম, আর সে কিনা একবার স্যরিটাও বলে না.........
আজ আমিও গোঁ ধরে রইলাম, তুই না বললে, আজ সারাদিন তোর সাথে কথা বন্ধ.......
ধীরে ধীরে প্রায় দেড়-ঘন্টা পর বাস যখন ক্যাম্পাসের কাছাকাছি পৌছাল, তখন হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে, আমার কাঁধে ওর মাথা রাখল.....................আমি ওর দিকে তাকাতেই বলল- তুই একক্ষণ দাড়িয়ে থাকলি কেন? চলে যেতে পারলি না?
ওর মায়াভরা চোখে তাকিয়ে শুধু একটু হেসেছিলাম....................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




