আল্লাহ বলেনঃ
''আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।''[আন নিসা ১৪০]
অর্থাৎ নাস্তিকদের সকল কথা শুনা যাবে না এবং সকল কথার জবাব দেওয়ারও প্রয়োজন নেই কারণ আপনি নিজে জবাবে ব্যর্থ হলে (যদিও অন্য মুসলিম বা আলেমরা উত্তর জানেন) তখন নিজেকেও নাস্তিক বানাতে পারেন বা বিভ্রান্তে পরতে পারেন । যদিও আল্লাহ অন্যত্র বলেনঃ''আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।''[নাহল ১২৫] তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে তর্ক করতে হবে।
তিনি বলেনঃ
''নিশ্চিতই যারা অবিশ্বাসী কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি সতর্ক করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না।''[সুরা বাকারা ৬-১৮] অর্থ্যাৎ একদুইবার বলার পরে ইমান না আনলে আর আমাদের দোষ নেই আল্লাহই ভালো জানেন।
তিনি আরও বলেনঃ
''যারা অবিশ্বাসী তারা বিশ্বাসীদেরকে উপহাস করত। যারা অবিশ্বাসী,তারা যখন তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরত, তখনও হাসাহাসি করে ফিরত।আর যখন তারা বিশ্বাসীদেরকে দেখত, তখন বলত, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত।অথচ তারা বিশ্বাসীদের তত্ত্বাবধায়করূপে প্রেরিত হয়নি। আজ (হাশরে) যারা বিশ্বাসী, তারা কাফেরদেরকে উপহাস করছে।সিংহাসনে বসে, তাদেরকে অবলোকন করছে,কাফেররা যা করত, তার প্রতিফল পেয়েছে তো'' [সুরা আল মুতাফ্ফিফীন ২৮-৩৬]
অর্থ্যাৎ তাদের যত ইচ্ছা উপহাস করতে দিন হাশর তথা শেষবিচারের দিন আমরা তা ফেরত নিব(ইনশাল্লাহ)। ভাই আমি ভয় করছি নাস্তিকদের সাথে কথা বলতে বলতে আপনার ইমান না হরণ হয় তাই তাদের সকল কমেন্টের,এসএমএসের,ইমেইলের,ভিডিওর,পিকচারের রিপ্লাই দিয়েন না আর দেওয়ার তেমন প্রয়োজনও নেই কিন্তু যেগুলো আপনি ভালো উত্তর দিতে পারবেন তা ব্যাতীত।(আল্লাহু আলম) আরও ভালোভাবে ও বিস্তারিতভাবে বুঝতে মুফতি মেনক ইন্টারন্যাশনাল মুফতি তার এই সম্পর্কে লেকচার শুনতে পারেন যথাঃ
{(কপিপেষ্ট করে কুরআন ও হাদীসের বিকৃতিকর কমেন্ট করবেন না আগে সম্পূর্ণ কুরআন পড়ুন নিজ মাতৃভাষায় বা ইংলিশে)}
১ঃঅ্যান্ড্রয়েডের পেইড কুরআন অ্যাপস ফ্রীতে পেতে (এখানে ক্লিক করুন) এবং ২ঃঅ্যাপস বাংলা সকল হাদীস ফ্রীতে পেতে (এখানে ক্লিক করুন) অথবা ভাইয়েরা বাজার থেকে কিনে বাংলা কুরআন পড়ুন আর ওযু জরুরী নয় কুরআন কিন্তু আপনি ওযু করলে, না করব না যেভাবেই হোক পড়েন। তাহলে নাস্তিক দের কাছে বিভ্রান্তির শিকার হয়ে ধরা খাবেন না, উল্টো অ্যানসার দিতে পারবেন।[ইনশাল্লাহ]