
তরমুজের বীচি সহ খাবেন, বীচি ফেলবেন না -
তরমুজের বীচি তে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিড, জিংক,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, কপার,এমাইনো এসিড, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট থাকে।
ভিটামিন সি এবং এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বককে এন্টি এজিং এবং ব্রন থেকে রক্ষা করে আমাদের ত্বককে রুক্ষ হতে দেয় না। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ত্বকের খোসপাঁচড়া দূর করে। জিংক, কোষের প্রোটিন সিন্থেসিসে সহায়তা করে এবং এতে করে ত্বকের তথা কোষের রিপেয়ারের কাজ হয়।
বীচিতে থাকা আয়রন, প্রোটিন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও কপাট চুলের গুনগত মান রক্ষা করে, চুল মজবুত করে এবং চুল লম্বা করতে সহায়তা করে। ম্যাঙ্গানিজ চুল পরা রোধ করে এবং চুল নষ্ট হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।
তরমুজের বীচি তে ভালো ফ্যাট যেমন মনোআনস্যাটারেটেড এবং পলিআনস্যাটারেটেড থাকে যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মত অবস্থা থেকে হৃদপিণ্ড কে বাঁচায়। তরমুজের বীচি তে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তরমুজের বীচি তে এন্টি ইনফ্লেমেটরি,এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভেসোডিলেটর( রক্তের ধমনীকে কে প্রশস্ত করে) থাকে এই উপাদান গুলো হৃদপিণ্ডের সুরক্ষা দেয়। তরমুজের বীচি তে আয়রন, শরীরে অক্সিজিনেটেড রক্ত প্রবাহিত করে এবং জিংক হৃদপিণ্ডের ক্যালসিয়াম চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
তরমুজের বীচি তে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে, এই ম্যাগনেসিয়াম দেহের কার্বোহাইড্রেটের মেটাবলিজম কে নিয়ন্ত্রণ করে এতে করে রক্তের সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রণে থাকে, শুধু তাই না টাইপ টু ডায়াবেটিস না হতে দিতেও সহায়তা করে।
তরমুজের বীচি তে থাকা আয়রন, মিনারেল ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বুস্ট আাপ করে।
তরমুজের বীচি তে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও কপার আছে তাই এটি খেলে শরীরের হাড় দুর্বল হয় না, অস্টেয়োপরোসিস হয় না এবং অন্য যেকোন হাড়ের সমস্যাও হয় না৷
তরমুজের বীচি তে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়। এবং যেকোন মুড ডিসঅর্ডার এবং ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে সহায়তা দেয়।
পুরুষের সন্তান জন্মদান অক্ষমতার অন্যতম কারণ হলো দুর্বল স্পার্ম, স্পার্ম এর গুনগত মান রক্ষায় জিংক এর অবদান অনেক।তরমুজের বীচি তে থাকা জিংক পুরুষের প্রজনন স্বাস্থ্য কে উন্নত করে স্পার্ম কে প্রজনন ক্ষত করে তোলে।
তরমুজের বীচি তে থাকা মাইক্রো পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের শক্তি সঞ্চার করে এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত এই শক্তি থাকে।
এই বীচিতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন,পটাসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, জিংক, এমাইনো এসিড আমাদের দেহের মেটাবলিজম কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং মেটাবলিজম এর সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
বহু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরমুজের বীচি তে থাকা ভিটামিন সি যা খুব ভালো মানের এন্টিঅক্সিডেন্ট সেটা হাপানি নিয়ন্ত্রণ এবং হাপানি প্রতিকার ও প্রতিরোধে সহায়তা করে।
লাইকোপিন হলো অরগানিক ক্যামিকেল কম্পাউন্ড, একে এন্টি ক্যান্সার প্রোপার্টিও বলা হয় । এই লাইকোপিন, প্রোস্টেট ক্যান্সার না হতে দিতে সুরক্ষা দেয়। ২০১৫ সালে এই বিষয় একাধিক গবেষণায় এসেছে তরমুজের বীচি তে লাইকোপিন আছে যা প্রোস্টেট ক্যান্সার না হতে দিতে সহায়ক
# আমি দ্বারা সম্পাদিত নহে। ইহা কেবল আপনার উদ্দেশ্যে পেস্ট আকারে প্রকাশীত।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





