নারীর প্রতি হিংস্রতা যেভাবে বাড়ছে তাতে দিনে দিনে নারী তার নিজেস্ব স্বকিয়তা ও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছে। সমাজে কিছু অসভ্য পুরুষ জাতির সৃষ্টি হচ্ছে। তাই ছেলের মায়েদের বলছি যাদের বয়স পাঁচ পেরিয়েছে—
১)এখন থেকেই ছেলেকে বাড়িতে জামা পরানো অভ্যাস করুন। তা সে যতই গরম লাগুক খালি গায়ে ঘুরতে দেবেন না। অন্তত একটা স্যান্ডো গেঞ্জি হলেও পরতে হবে।
২) রাস্তায় যত্রতত্র প্যান্টের চেইন খুলে টয়লেট করতে এলাও করবেন না। এইটা লজ্জার সেটা জানান।
৩) যখন-তখন প্যান্টের ভিতর হাত ঢুকিয়ে প্রাইভেট পার্ট নিয়ে খেলতে দেবেন না। চুলকানি অস্বস্তি কিছু হলে সেটা বাথরুমে গিয়ে চেক করতে বলুন। প্রয়োজনে আপনিও যান সাথে।
৪) নিজেকে আপাদমস্তক শাড়ি বা নাইটিতে না ঢেকে রেখে পারলে চেষ্টা করুন ঘরে আপনিও টি-শার্ট আর শর্টস পরতে। আপনার ছেলের চোখে এই পোশাকটা গা সওয়া হয়ে যাবে। বড় হয়ে রাস্তাঘাটে এরম পোশাক দেখলে নতুন করে আর উত্তেজনা তৈরি হবে না।
৫) ছেলের দশ বছর বয়স হলে মেয়েদের পিরিয়ডস এর ব্যাপারটা তাকে জানান। পিরিয়ড হওয়ার কারণ কি? হলে কি কি কষ্ট হয়, না হলে কি কি কষ্ট হয় সবটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে বোঝান। সময় বিশেষে কখনো তাকে ওষুধের দোকানে পাঠান প্যাড কিনে আনার জন্য। পরে এইটা নিয়ে কোন আলাদা স্টিগমা কাজ করবে না।
৬) আপনার রোজকার ঘরের কাজে তাকে সহযোগিতা করতে বলুন। এটা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলেরই শেখা উচিত।
৭) অন্তর্বাস কেন পরেন সেটা ছেলেকে জানান এবং সাথে এটাও বলে রাখুন ব্রা ট্র্যাপ বেরিয়ে গেলে যেন সে ঠিক করে দেয়।
৮) কোন ঘটনায় ছেলে ইমোশনাল হয়ে পড়লে তাকে কাঁদতে দিন। একটু বেশি কাঁদলে কেউ মেয়ে হয়ে যায় না, আর মেয়েরা কম কাঁদলে ছেলে হয়ে যায় না।
আসলে ছেলের চোখে মা তো তার প্রথম নারী। তাই সেই নারীর সাথে জীবনযাত্রা যত সরল হবে ভবিষ্যৎ জীবনে অন্য নারীর প্রতি সম্মান ততটাই থাকবে। আমি চেষ্টা করছি আপনাদেরও পারতে হবে তবেই একটা সুস্থ সমাজ দিতে পারবো। এত মোমবাতি আর লাগবে না তখন।
-সংগ্রীহিত

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



