
ভূ-স্বর্গে বিদ্রোহ ইতিহাস ও প্রেক্ষিত,
মুহাম্মদ ফারুকে আজম চৌধুরি
বইটির শুরুতে কবি আল মাহমুদ লেখেন-
‘ভূ-স্বর্গে বিদ্রোহ: ইতিহাস প্রেক্ষিত’ শীর্ষক জনাব মুহাম্মদ ফারুকে আজম চৌধুরীর বইট পড়ে কাশ্মিরের হাজার বছরের ইতিহাস ও এর জনগনের সংগ্রামমুখর জীবনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানা গেল।
বইটি এর আগে পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাওয়ার সময়ও এর কিছু অংশ আমার পাঠ করার সুযোগ হয়েছিল।
ফারুকে আজম চৌধুরী বেশ কিছুকাল যাবৎ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে বসবাস করা সত্ত্বেও উপমহাদেশের বর্তমান ঘটনাধারার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল।
ইতিহাসের প্রতি তাঁর আশ্চর্য অনুরাগ আমাকে অভিভূত করেছে।
তিনি তাঁর বইয়ে কাশ্মিরের জনগণের ভাষা ও জাতীয় বৈশিষ্টগুলোর পরিচয় দিতে যেমন চেষ্টা করেছেন, তেমনি এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, গোত্রীয় ও বংশীয় শাসন, স্বল্পকালীন মুসলিম শাসন ও ইসলামের ভিত্তিভূমি রচনার পটভূমি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
ডোগরাদের ক্ষমতারোহন ও অত্যাচারের কাহিনী এতে যেমন আছে, তেমনি ইংরেজদের গোলাব সিংয়ের কাছে দেশ বিক্রির চমকপ্রদ ঘটনাও তিনি ব্যক্ত করেছেন।
সবশেষে বিস্তারিতভাবে বিভাগ পরবর্তীকালে কাশ্মিরের অবস্থা এবং কাশ্মির নিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধের নেপথ্য কাহিনীও লেখক বলেছেন।
মোটকথা, কাশ্মিরের বর্তমান অবস্থা, মুসলমানদের উপর জুলুম-নিপীড়নের কাহিনী বর্ণনা ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ইঙ্গিতও বইটিতে পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র হলেও বইটি মূল্যবান। লেখকের গদ্যভঙ্গীও বিষয়বস্তুর উপযোগী বলে আমার ধারণা হয়েছে।
কাশ্মির এই উপমহাদেশের একটি জ্বলন্ত বিষয়। আমরা অনেক ঘটনারই সঠিক বিবরণ জানি না। কাশ্মির নিয়ে পাক-ভারত বিরোধের ব্যাপারেও লেখক কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি বলেই হয়ত লেখকের এক ধরনের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনায় লেখকের আগ্রহ সার্থক ও সফল হোক- এই কামনা করি।
-আল মাহমুদ
২৮.৮. ১৯৯৯
বইটির ডাউনলোড লিংক: Click This Link ভূ-স্বর্গে বিদ্রোহ ইতিহাস ও প্রেক্ষিত,
মুহাম্মদ ফারুকে আজম চৌধুরি
বইটির শুরুতে কবি আল মাহমুদ লেখেন-
‘ভূ-স্বর্গে বিদ্রোহ: ইতিহাস প্রেক্ষিত’ শীর্ষক জনাব মুহাম্মদ ফারুকে আজম চৌধুরীর বইট পড়ে কাশ্মিরের হাজার বছরের ইতিহাস ও এর জনগনের সংগ্রামমুখর জীবনের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানা গেল।
বইটি এর আগে পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাওয়ার সময়ও এর কিছু অংশ আমার পাঠ করার সুযোগ হয়েছিল।
ফারুকে আজম চৌধুরী বেশ কিছুকাল যাবৎ সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে বসবাস করা সত্ত্বেও উপমহাদেশের বর্তমান ঘটনাধারার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল।
ইতিহাসের প্রতি তাঁর আশ্চর্য অনুরাগ আমাকে অভিভূত করেছে।
তিনি তাঁর বইয়ে কাশ্মিরের জনগণের ভাষা ও জাতীয় বৈশিষ্টগুলোর পরিচয় দিতে যেমন চেষ্টা করেছেন, তেমনি এর ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব, গোত্রীয় ও বংশীয় শাসন, স্বল্পকালীন মুসলিম শাসন ও ইসলামের ভিত্তিভূমি রচনার পটভূমি সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
ডোগরাদের ক্ষমতারোহন ও অত্যাচারের কাহিনী এতে যেমন আছে, তেমনি ইংরেজদের গোলাব সিংয়ের কাছে দেশ বিক্রির চমকপ্রদ ঘটনাও তিনি ব্যক্ত করেছেন।
সবশেষে বিস্তারিতভাবে বিভাগ পরবর্তীকালে কাশ্মিরের অবস্থা এবং কাশ্মির নিয়ে পাক-ভারত যুদ্ধের নেপথ্য কাহিনীও লেখক বলেছেন।
মোটকথা, কাশ্মিরের বর্তমান অবস্থা, মুসলমানদের উপর জুলুম-নিপীড়নের কাহিনী বর্ণনা ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে ইঙ্গিতও বইটিতে পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র হলেও বইটি মূল্যবান। লেখকের গদ্যভঙ্গীও বিষয়বস্তুর উপযোগী বলে আমার ধারণা হয়েছে।
কাশ্মির এই উপমহাদেশের একটি জ্বলন্ত বিষয়। আমরা অনেক ঘটনারই সঠিক বিবরণ জানি না। কাশ্মির নিয়ে পাক-ভারত বিরোধের ব্যাপারেও লেখক কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি বলেই হয়ত লেখকের এক ধরনের নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে। বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস রচনায় লেখকের আগ্রহ সার্থক ও সফল হোক- এই কামনা করি।
-আল মাহমুদ
২৮.৮. ১৯৯৯
বইটির ডাউনলোড লিংক: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




