উৎসর্গ ঃ সামু ব্লগে 'সুপার হিরো অনন্ত জলিল' এর দুই খ্যাতিমান ও চিহ্নিত শত্রু ব্লগার ঃ দুর্যোধন ও নোবিতা রিফু কে।
অনন্ত সাহেব , আজ আবার আপনার এই শুভাকাঙ্ক্ষী 'বাংলার বেকুব' আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জানাতে আপনার সামনে হাজির হয়েছে। আজ আপনাকে জানাবো আপনি যাদের 'বদার' করেন না সেইসব মানুষদের মধ্য থেকে আপনার সাফল্যর পেছনে অল্প কয়েকজনের অবদান এর কথা ।
১) দুর্যোধন ঃ এই মানুষটি আপনার 'বদার' না করা লোকদের মধ্য সেরা একজন মানুষ। আমার কাছে উনি মানুষ হিসেবে চরম 'বেকুব' ও দিলদরিয়া মানুষ। যিনি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ভাই বন্ধুদের নিয়ে আপনার ছবি মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই স্টারসিনেপ্লেক্সে গিয়ে ছবি দেখেন। উনি শুধু নিজেই একা একা দেখেন না,পরিচিতদের নিয়ে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সবাইকে আপনার ছবি দেখিয়ে খুব আনন্দ পান। ঘটনা যদি এখানেই শেষ হতো তাহলে উনাকে গোনায় ধরার দরকার ছিলনা । কিন্তু এই ভদ্রলোক আপনার ছবি দেখে বাসায় আসার পর সেই ছবি নিয়ে বিস্তারিত বিনোদন এর বর্ণনা দিয়ে ব্লগে ও ফেইসবুকে আপনাকে ও আপনার ছবিকে প্রচার করে রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দেন। উনার কাছ থেকে ছবির বর্ণনা শুনে স্টারসিনেপ্লেক্স সহ আপনার ছবি আরও যেসব শহরে চলচ্ছে সব জায়গায় মানুষের ভিড় লেগে যায়। এই দেখুন কিছুদিন আগে আপনার মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'দ্যা স্পীড ' দেখে আসার পর তাঁর বর্ণনা ও সর্বশেষ মোস্ট ওয়েলকাম ছবির বর্ণনা। আপনি ঐ দুটি লিখা মানুষের পঠিত সংখ্যা আর লাইক এর সংখ্যার হিসাব দেখুন তাহলে আমার কথা আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি এই মানুষকে গোনায় ধরবেন না, উনার কথাকে গুরুত্ব দিবেন না তাহলে বুঝুন আপনি কত বড় অকৃতজ্ঞ একজন মানুষ । দুর্যোধন এর মতো মানুষকে আপনি 'বদার' করবেন না সেটা আপনার নিজের কথায় প্রমান করেছিলেন 'রেডিও ফুর্তি'র সাক্ষাৎকারে। সেখানে আপনি এক পর্যায় নিজেকে অনেক বড় করতে করতে বলেছিলেন
'Ononto isn't a Simple Guy' ।
ওহ ভালো কথা , আপনার উল্লেখিত 'গাই' শব্দটি বলতে বাংলার বেকুব মানুষ বুঝে গৃহস্থের গোয়াল ঘরে থাকা 'গাই/ গাভী'কে। যাই হোক এখন আপনি নিজে চিন্তা করুন তো 'দুর্যোধন' এর কি এমন ঠেকা পড়েছে যে আপনার ছবি মানুষকে নিজ খরচে দেখিয়ে এবং সেই ছবি নিয়ে বিনোদনধর্মী বর্ণনা দিয়ে সবাইকে আপনার ছবি দেখার জন্য উৎসাহ দেয়ার? আপনি কি 'দুর্যোধন' কে এর বিনিময়ে কোন সম্মানি দিয়ে থাকেন? না, কোন সম্মানী দুর্যোধন আপনার কাছ থেকে পায়না এবং পাওয়ার আশাও করেনা। তবু এই লোকটি তাঁর জীবনের আড়াই ঘণ্টা আপনার ছবি দেখতে সিনেমা হলে এবং বাসায় এসে আরও একঘণ্টা তা নিয়ে বর্ণনা তৈরি করতে ব্যয় করেন। দুর্যো কিন্তু আপনার মতো কোন 'রপ্তানি ট্রফি' পাওয়া ব্যবসায়ী নন, একজন সাধারন কর্মজীবী মানুষ। সেই মানুষটার জীবনের সাড়ে তিনঘণ্টার মূল্যবান সময়ের কোন মূল্য আপনার কাছে নেই। ঐ সাড়ে তিনঘণ্টা যদি দুর্যোধন কোন কাজ না করে শুধু ঘুমানোর জন্য ব্যয় করতো তাহলেও অনেক উপকার হতো । কিন্তু সেই লোকটি আপনার ছবির প্রচার করে যাচ্ছেন মানুষকে বিনোদন দিয়ে। তাঁর লিখা পড়ে যদি অন্তত ৫০০ মানুষ আপনার ছবি দেখে তাহলে সেই ৫০০ মানুষের টিকেটের টাকার একটা অংশ আপনার ব্যবসায়িক মুনাফায় যোগ হয়। যে মানুষটা বিনা স্বার্থে আপনার ব্যবসায়িক মুনাফায় অতি ক্ষুদ্র অবদান রাখছে সেই মানুষটিকে আপনি 'বদার' করেন না । সেই মানুষটি কোন সমালোচনা করলে আপনি তাকে অপমান করবেন , এটা কোন ধরনের উচ্চমর্গীয় আচরণ তা আমার মতো 'বেকুব' বোধগম্য নয়। আপনি মানেন আর নাই মানেন আপনার 'অনন্ত জলিল' খ্যাতির পেছনে ঐ 'দুর্যোধন' এর অবদান একটু হলেও আছে। আপনি যেমন করে নায়ক হয়ে নিজেকে নায়ক জলিল হিসেবে পরিচিত করছেন সেই পরিচিতিটা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ঐ বেকুব 'দুর্যোধন' আপনি নিজে 'দুর্যোধন' এর জায়গায় থাকলে কি বিনাস্বার্থে অন্য কারো প্রচার ও ছবির প্রসারের জন্য এমন করতেন? করতেন না । 'দুর্যোধন' না থাকলে আপনার ছবি দেখতে আগে উল্লেখিত ৫০০ জন দর্শক হলে যেতো না। 'দুর্যোধন' না থাকলে আপনাকে নিয়ে মানুষ মজা করার ছলেও মনে করতো না। এখন আপনি চিন্তা করে দেখুন ঐ বেকুব সমালোচক 'দুর্যোধন' কে আপনার 'বদার' করা উচিত কিনা।।
নোবিতা রিফু ঃ এই 'রিফু' ছেলেটা এই প্রজন্মের যতগুলো ফাজিল ও বদ পোলাপাইন আছে তাদের অন্যতম একজন । তাকে ফাজিল বললাম কেন জানেন? এই ফাজিলটা সারাদিন আপনাকে ছবি এডিট করে সব ফাজলামি কথাবার্তা ছবিতে জুড়ে দিয়ে আপনাকে 'ফেইসবুক' ও 'ব্লগে' ছড়িয়ে দিচ্ছে। সে শুধু ফাজিল না একটা বেয়াদবও বটে। বেয়াদব নাহলে আপনার মতো এতো মানী ও বিশাল 'Guy' কে নিয়ে সে বিনোদন দিতে আপনাকে বেছে নিবে কেন? পারলে ওর নামে আজকে কয়েক বিলিয়ন ডলার এর একটা মানহানীর মামলা করেন। বিলিয়ন ডলার এর মানহানির মামলা করতে বললাম কেন ,জানেন? কারন আপনার সম্মান ১০০ পয়সায় এক টাকা ধরে হিসেবে ধরা উচিত নয়, আপনার সম্মান ডলারে বিচার করতে হবে তাই। এই 'রিফু' ছেলেটার এডিট করা ফটো আবার ফেইসবুকের কয়েকটা ফাজিল ব্লগের অ্যাডমিন রা চুরি করে তাদের পেইজের নাম ছবিতে জুড়ে দিয়ে প্রচার করে বেড়ায়। 'রিফু'র এডিট করা বিনোদনধর্মী ছবিগুলোর মাধ্যমে যারা আপনাকে চিনতো না তাঁরাও চিনে ফেলেছে। আপনার ছবি দেখার জন্য তাদেরও সুপ্ত খায়েশ জেগে উঠেছে যে আসলে আপনি কি চিজ সেটা স্বচক্ষে না দেখলে একটা চরম কিছু মিস হয়ে যাবে। নায়ক 'অনন্ত জলিল' আজ এই ফাজিল রিফুর কারনে 'সুপার হিরো অনন্ত ' নামে পরিচিত। চিন্তা করেন রিফু কত বড় ফাজিল সে আপনাকে 'সুপার হিরো' টাইটেল দিয়েছে যা আপনার সাথে বড়ই বেমানান। আপনি তো সুপার হিরো নন আপনি একজন 'Big Guy ' । আপনাকে 'সুপার হিরো' না বলে 'সুপার গাই ' বলা উচিত ছিল। আপনিই বলুন এই ফাজিল পোলাটার কি আপনাকে চেনার ক্ষমতা হয়েছে? না চিনেই আপনাকে সে সব বিটলামি করে বেড়ায় আর মানুষকে আনন্দ দেয়। আজকেই তাঁর অভিভাবকের কাছে একটা নালিশ পাঠান। এই পোলারে না থামাইলে আপনার জনপ্রিয়তায় ধস নামবে ।।
যা হোক ,আজ আর কথা বাড়ালাম না। কাজের ফাঁকে ভাবলাম আপনার শত্রুদেরকে একটু চিনিয়ে দেই যারা আপনার খ্যাতির পেছনে খুব অল্প অবদান রেখেছে । আজ সময় কম থাকায় আরও ২/৩ জনকে আপনার সামনে তুলে ধরতে পারলাম না, তবে কথা দিচ্ছি এই 'বেকুব' আপনাকে তাদের পরিচয় ও অমানবিক কাণ্ডকীর্তি আপনার সামনে তুলে ধরবে খুব শীঘ্রই। আপনি চিন্তা করুন এইসব ফাজিলদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় যারা আপনাকে সবার কাছে পরিচিত করে তুলতে আদা জল খেয়ে নেমেছে। আপনার শুভকামনা প্রত্যাশা করে এই বেকুব আজ বিদায় নিলো। ভালো থাকবেন।
একটি বেকুবদের কারখানা