মানুষের জন্যে বরাদ্দ
*****
মানুষের বিবেকের সম-মাপের একটা নিক্তির একপাশে ‘আটজন ফেরেস্তার কাঁধে মহাসনে সমাসীন আল্লাহ্’-কে রাখুন, অন্যপাশে রাখুন ‘আটজন এ্যাঞ্জেলের কাঁধে চাপানো তাকিয়ায় হেলান দেওয়া গডকে’- এখন বলুন তো ঐ নিক্তির কোন্ দিকটা হেলে পড়বে? আল্লাহ্-র দিকটা না-কি গড-এর দিকটা? ঘনত্ব বা আপেক্ষিক গুরুত্ব কার বেশি- বলতে পারবেন?--
বলতে যদি না-ই পারলেন, এখানে আমাকে ঘাঁটাঘাঁটি না-ক’রে বরং আপনার পছন্দমতো কোথাও গিয়ে ভালোকাজে প্রতিযোগিতা করুন। সেটাই তো মানুষের জন্যে বরাদ্দ ধর্মাচার।
*****
কেহ ধর্মের দিকে ডাকলে তাকেই ধর্মগ্রন্থের দিকে ডাকতে বলি এজন্যেই যে, আমরা দেখেছি সে নিজের ভাষায় কোনো ধর্মগ্রন্থ সম্পূর্ণটা পড়েনি।
*****
তুমি ইহুদি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিক, ভারতীয়, আরব্য নাকি আফগান- তোমার ঐ পরিচয় আমাদের কাছে কোনো বিশেষ প্রাধান্য পাবে না। শান্তিতে সমর্পিত শান্তিধর্মী এই আমরা শুধু দেখতে চাই তুমি ধার্মিক না-কি স্বেচ্ছাচারী, তুমি ভদ্রলোক না-কি বিশৃঙ্খলাকামী, এবং, এতটুকুই বিবেচ্য আমাদের কাছে।
*****
অসাম্প্রদায়িক মানসিকতা অর্জন করার চেয়ে বরং ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীগুলোকে আন্তরিক মর্যাদায় গুরুত্ব দিয়ে দিয়ে শ্রদ্ধা সম্মান দেখিয়ে যাওয়াটা অনেক সহজ এবং ধর্মীয়ভাবে সমর্থিত।
সর্বকালেই বিবেচক মানুষকে সংখ্যায় খুবই কম দেখা গেছে।
সময়ে সময়ে প্রবর্তন আসে পরিবর্তনের অনিবার্যতায়।
ভারসাম্যপূর্ণ পরিবর্তনটাই টেকসই হয়ে থাকে।
ভিন্ন ভিন্ন মতগুলো এবং ভিন্নমতধারীগণ প্রত্যেকেই যেকোনো বিবেচক মানুষের কাছে এজন্যেই সম্মানিত এবং শ্রদ্ধেয় যে, বিবেচকগণ ভালোভাবেই জানেন- পরম সত্যটি থেকে যাবে ধ্যানধারণাময় ভাবনার জগতে এবং এটাও জানেন যে, এই জ্ঞানময় জগতে দেহধারী মানুষের বোধগম্য প্রকাশমান সব সত্যই আপাতসত্য।
আপাতসত্যের বাহকদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সমঝোতার লক্ষ্যে ভদ্রোচিত আলোচনা অবশ্যই চলতে পারে। নিশ্চয়ই আধিপত্যের প্রতিযোগিতা এখানে ভীষণ বেমানান এবং আত্মঘাতক।
------------------------------------------------------------------------
দর্শক : আখতার২৩৯
মানুষের জন্যে বরাদ্দ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


