আগেরবারে পোস্ট দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগ এর নেতাকর্মীরা আর তার সমর্থকেরা কিরকম টক্সিক বা বিষাক্ত মন মানসিকতার অধিকারী সেটা নিয়ে। আজ পোস্ট দিচ্ছি তাদের পুণ্যভূমি প্যায়ারা ভারত আর তার প্যায়ারা ভারতীয়রা কিরকম টক্সিক সেটা নিয়ে।
ভারতের দালাল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত ও বিতাড়িত হওয়ার সময় থেকেই ভারতীয়রা , বিশেষ করে তাদের মিডিয়াগুলো শুরু করেছে তাদের টিপিক্যাল বাংলাদেশ বিদ্বেষ আর ঘৃণার চাষাবাদ। সেই সাথে সাধারণ ভারতীয়রাও যেন প্রতিযোগিতা শুরু করেছে কে কতো বিদ্বেষ ছড়াতে পারে সেটা নিয়ে। তাদের মিডিয়াগুলো এই ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সরকার পতনের পুরো বিষয়টি দেখাতে চাইছে পাকিস্তান আর আমেরিকার ষড়যন্ত্র হিসেবে। আওয়ামী লিগারদের অনেকে যেমন এই পুরো বিষয়টির পর বাংলাদেশকে যেমন আবারো পাকিস্তান বলতে পছন্দ করছে, তেমন ভারতীয় মিডিয়া আর সাধারণ ভারতীয়রাও এখন বাংলাদেশেকে “পূর্ব পাকিস্তান” হিসেবেই দেখতে চাইছে। একই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষত ফেসবুকে আমাদের নিয়ে যথারীতি আপত্তিকর সমস্ত বক্তব্য আর মন্তব্য করতেও শুরু করেছে। যে ছবিগুলো দিলাম সেগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন তাদের চিন্তাধারা। ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে ডুবিয়ে মারার হুমকি নতুন করে দেয়া শুরু করেছে। একই সাথে ভারতীয় প্রত্যেকটি নিউজ চ্যানেল এর সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট সেকশনগুলোতে ঘৃণার পর ঘৃণা উগ্লে দিচ্ছে।
কথা হচ্ছে যখন কারো বা কোনও জাতির মন মানসিকতা অন্ধ জাতীয়তাবাদ আর ধর্মান্ধতায় পুরোপুরি নিমজ্জিত বা আচ্ছন্ন থাকে তখন কেবলমাত্র নিজ দেশ বাদে অন্য সবাইকেই সে তার শত্রু ভাবতেই পছন্দ করে। সুযোগ পেলেই চড়াও হয়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করে।
ভারত আর ভারতীয়রা এই ব্যাপারে রীতিমতো পি এইচ ডি ডিগ্রীধারী!!
আমাদের সাথে তারা আজ পর্যন্ত , বিশেষ করে আওয়ামী লীগ এর আমলে পুরোটা সময়জুড়ে কি আচরণ করেছে সেটা আপনারা প্রায় সবাই ভালোমতো অবগত আছেন বলে নতুন করে আর ফিরিস্তি দিলাম না।
তাদের এই টক্সিক আচরণের কারণে বলতে গেলে তার প্রতিবেশী কোনও একটা দেশের সাথেও তার সম্পর্ক ভালো নেই এবং থাকবেও না। চীন, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের কথা না হয় নতুন করে আর নাই বা বললাম, শ্রীলংকা আর নেপালের মতো দেশের সাথেও তারা কি আচরণ করেছে আর করে সেটাও আমাদের দেখতে আর বাকি নেই।
বছরখানেক আগে নেপালে সব দিক থেকে অবরোধ করে কিরকম সঙ্কটের মুখে ফেলেছিল তাদের সেটা ভুলে যাওয়া যায় না।
ভুলে যাওয়া যায় না যে তামিল টাইগারদের দিয়ে বছরের পর বছর কি করে গৃহযুদ্ধের মধ্যে বন্দী করে রেখেছিলো শ্রীলঙ্কাকে।
এখনো সুযোগ পেলেই তাদের মতো ভারতের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোকেও অপমান করে খাটো করে কথাবার্তা বলে ভারতীয়রা।
আর আমাদের কথা সেখানে নতুন করে বলে লাভ নেই।
পারলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো হুমকি বলে প্রচার করে পারলে যেন আক্রমণ শুরু করে দেয় আর কি!! আওয়ামী লীগ আমলে বেশ কয়েকবারই শোনা গেছে সরাসরি বাংলাদেশ আক্রমণ করে দখল করার কথা।
আমাদের স্বাধীনতার প্রতি যথারীতি তাদের ঘৃণিত মনোভাব প্রকাশ পায় আকছারই। অবস্থাটা এমন যে আমাদের সবসময় তারা বুঝ দেয়ার চেষ্টা করে যে তারা কতোটা মহৎ যে তারা আমাদের পাকিস্তানীদের নির্যাতন থেকে মুক্তি দিয়ে তারা আমাদের স্বাধীনতা “দান” করেছে, “উপহার” দিয়েছে। আমাদের মুক্তিবাহিনী যেন কিছুই করেনি, যা করার ভারতীয় সৈন্যরাই করেছে। আর আমরা বাংলাদেশীরা তাদের সাথে সবসময় বেইমানী করে এসেছি, বিশ্বাসঘাতকতা করে এসেছি, ক্ষতি করে এসেছি!! আর বাংলাদেশ না কি বেঁচেই আছে “ভারতের দয়ার উপরে”। তারাই আমাদের খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে!! তারা আমাদের না খাইয়ে রাখলে আমরা যেন মরেই যেতাম!!
আসল কথা তাদের অধীনতা আমরা মানতে চাই না বলে তাদের কাছে কাছে আমরা বেঈমান, বিশ্বাসঘাতক। ভারতীয়রা চায় সবসময় যেন আমরা তাদের পায়ের কাছে নতজানু হয়ে পড়ে থাকি কেননা তারা আমাদের “স্বাধীনতা দান করেছে”, আমাদের “জন্ম” দিয়েছে!!
এখন আপনারাই বলুন, সবসময় যাদের এইরকম মনোভাব তাদের সাথে কি ভালো সম্পর্ক রাখা সম্ভব?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:৫১