তার বাপ ছিল রাজাকার শিরোমণি গোলাম আযম। আর তার ছেলে যদি একথা না বলে তো আর বলবে কে? মুখে যতোই ধর্মের কথা বলুক আর ভালো ভালো বুলি আওড়াক, চিরকালই এরা হলো – “দিল সে পাকিস্তান’!! এদেশটাকে এরা কখনো মেনে নিতে পারেনি। পারেনি এদেশের চিন্তা-চেতনা-কৃষ্টি-সংস্কৃতি মেনে নিতে। স্বাধীনতার দীর্ঘ ৫০ বছর পরও এরা এদের চরিত্র বদলাতে পারেনি। পারেনি এদেশের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে। বাংলার ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম কুলাঙ্গার কুসন্তান হল এই আমান আজমীর বাপ গোলাম আযম। একে মীর জাফরের চেয়েও নিকৃষ্ট বলতে কোনও দ্বিধা নেই, কারণ মীর জাফর কখনো নিজের জাতভাইয়ের সাথে বেইমানী করেনি। ইতিহাস পড়লে জানা যায় ঐ মীর জাফর, মীর কাশিম, জগত শেঠরা কখনোই বাঙ্গালি ছিল না। মীর জাফর ছিল আরব বংশোদ্ভূত এক ভারতীয় যার জন্ম পর্যন্ত বাংলা মুল্লুকের বাইরে, দিল্লীতে। যাই হোক সেসব ইতিহাস নিয়ে আরেক দিন না হয় লিখা যাবে। কিন্তু যে কথা না বললেই নয়, যে যেই বেইমানী মীর জাফর পর্যন্ত করেনি সেই বেইমানীই করেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বজাতির বিরুদ্ধে গিয়ে এই কুলাঙ্গার গোলাম আযম। আর আজ তারই ছেলে, এক কুলাঙ্গারের পুত্র আরেক কুলাঙ্গার কুপুত্র আমান আজমী বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের দাবী জানাচ্ছে। “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” গানকে এরা কখনো কেন মেনে নিতে পারবে না সেটা আমি মনে করিনা খুব বিশদ ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। রাজাকার যে চিরকালই রাজাকার থাকে সেটাও এই কুলাঙ্গার আমান আজমী আবারো প্রমাণ করলো। জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ মানেই “হৃদয়ে পাকিস্তান”। রোজ কেয়ামত পর্যন্ত এর কোনও হেরফের হবেনা। এক অপোগণ্ডের দল আওয়ামী লীগ, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কথা বললেও যাদের অবস্থা ছিল “হৃদয়ে ভারত” লেজ গুঁটিয়ে পালাতে না পালাতেই পুরান অপোগণ্ড জামাতে ইসলাম এসেই সব যেন গিলে খেতে চাচ্ছে।
আর তার চেয়েও খারাপ ব্যাপার হচ্ছে দেশে প্রচুর মানুষ এই কুলাঙ্গার আমান আজমীর কথায় সমর্থন দিচ্ছে।
আর পাকিস্তানের প্রতি ভালোবাসা আর পাকিস্তানের জনপ্রিয়তা যে বাংলাদেশে কিরকম সেটাও নতুন করে বলার কিছু নেই।
এতকিছুর পরও বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রতি এতো ভালোবাসা দেখে মাঝে মাঝে একটা কথা আমার প্রায়ই মনে হয় – “একাত্তরে বাংলাদেশ জিতেও জেতেনি, পাকিস্তান হেরেও হারেনি।“
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৩১