

গতকাল ঢাকার কেরানীগঞ্জে রুপালি ব্যাংকে ডাকাত দল কে গ্রেফতার করা নিয়ে র্যাব ও পুলিশের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর! র্যাবের বয়ান হতে শোনা যায় যে তিনজন ব্যাংকে প্রবেশ করেছিল তাদের সাথে ছিলো দেশীয় অস্ত্র কিন্তু পুলিশের বয়ান থেকে শোনা যায় ডাকাতদের অস্ত্রগুলো নাকি সব খেলনা পিস্তল! পুলিশ বলছে ডাকাতেরা নাকি ফ্যান্টাসি থেকে এমন কাজ করেছে আবার বলছে কিডনী রোগীকে সাহায্য করার জন্য এমন কাজ করেছে। কোন কথাই ঠিক ঠাক ভাবে মিলছে না। মিডিয়াতে দেখাচ্ছে আইফোন কেনার জন্য ডাকাতি করতে গিয়েছিল।
র্যাব এবং পুলিশেত দুইরকম বয়ান জুলাই অভ্যুত্থানের পর এইবারই প্রথম নয়। বগুড়ায় ছেলে কতৃক মাকে হত্যার অভিযোগের সময় র্যাব ও পুলিশের কথার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য দেখা যায়। র্যাব দাবী করেছে ছেলে মাকে মেরেছে এবং তারা এই বক্তব্যে অনড় ছিলো। অন্যদিকে পুলিশ বলছে ছেলে মারেনি বরং ভাড়াটিয়াই হত্যা করেছে।
এই ধরণের ব্যাংক ডাকাতির সময় জিম্মি করার ঘটনা নিসন্দেহে বড়ো ধরণের ক্রাইম। এসবের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো সতর্ক অবস্থান নিতে হবে। দ্রুত স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণ করে নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। দেশের আইনপরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখনও লুটের দেড় হাজার অস্ত্র এবং ২ লাখ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয় নি। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলছেন, দেশ নাকি আল্লায় চালাচ্ছেন।
বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বিভিন্ন বিদেশি মুভি ও সিরিজের কু প্রভাব দেখা যাচ্ছে। সাউথ ইন্ডিয়ার মারকাটারি ছবিতে যে সব ভায়োলেন্স দেখানো হয় তা তরুণ প্রাণে দাগ কাটে। মানি হাইস্টের মতো সিরিজ দেখে কিশোর ও তরুণেরা ব্যাংক ডাকাতির মতো অপরাধ সংঘটিত করার প্রেরণা পায়। বর্তমান মুভি ও সিরিজ গুলোতে নেগেটিভ ক্যারেক্টার গুলোকে হিরো হিসাবে প্রমোট করা হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে কিশোর ও তরুণেরা এমন কাজে জড়িয়ে পড়ছে। পাবজি এবং ফ্রি ফায়ার দেখে ছেলে পুলেরা যুদ্ধ, ভায়োলেন্স ও মারামারি শিখছে। এদের এখনই থামানো সম্ভব না হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


