somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন: প্রতারকদের ভীড়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সহায়তা কার্যক্রম !

১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত হওয়ার ভুয়া দাবি করে সহায়তার টাকা নিতে গিয়ে ফাঁস হয়েছেন মামি-ভাগনে ফারহানা ইসলাম ও মহিউদ্দিন সরকার। তাঁদের জমা দেওয়া এক্স-রে রিপোর্ট যাচাই করে দেখা যায়, দুটো রিপোর্ট হুবহু এক! পরে তাঁরা স্বীকার করেন, আন্দোলনে আহত হননি। এসব ভুয়া নথি তৈরি করে দিয়েছিলেন ফারহানার স্বামী নাজিরুল বাশার, যিনি কেরানীগঞ্জের নিউ লাইফ জেনারেল হাসপাতালের একজন মালিক।

এই ধরণের ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। ফাউন্ডেশনে সহায়তার জন্য ভুয়া দাবি নিয়ে আসছেন অনেকে—কেউ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত, কেউ গাছ থেকে পড়ে ব্যথা পেয়েছেন, কেউবা ডাবের আঘাতে জখম হয়েছেন। কিন্তু সবাই নিজেদের আন্দোলনে আহত বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন ! এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি প্রতারণার ঘটনা ধরা পড়েছে, তিনটি মামলা হয়েছে, এবং তিন লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের পাঠানো ১৯৯টি আবেদনের মধ্যে ১৫৬টিই ভুয়া বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। যাচাইয়ের ফাঁক গলে অনেকেই টাকা নিয়ে গেছেন। এদিকে, টাকা তুলে প্রতারণা ধরা পড়ার ঘটনাও কম নয়। পাবনার চামেলী বেগম তাঁর ১৬ বছর বয়সী ভাইকে আহত সাজিয়ে এক লাখ টাকা তুলেছিলেন। পরে ধরা পড়লে টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দেন। অন্যদিকে, মাসুম হোসেন নামে এক ব্যক্তি আন্দোলনে আহত হননি এমনদের তালিকায় ঢুকিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেন—প্রতি লাখ টাকায় তাঁর কমিশন ছিল ৫০ হাজার!

প্রতারকদের দৌরাত্ম্যে প্রকৃত আহত ও শহীদ পরিবারের সহায়তা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। অনেক পরিবার অর্থকষ্টে দিন কাটাচ্ছে। এখনো নিহত ও আহতদের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ৮৩৪ জন শহীদ এবং ১২,০৪৯ জন আহত হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। ফাউন্ডেশন থেকে ৬৮৬ জন শহীদের পরিবার এবং ৩,৭১৯ জন আহত ব্যক্তিকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ফাউন্ডেশনের জনবল সংকটের কারণে যাচাই-বাছাইয়ে সময় লাগছে, যা প্রকৃত ভুক্তভোগীদের হতাশ করছে।

ফাউন্ডেশনের ভাবমূর্তি রক্ষায় দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। প্রতারণার এই প্রবণতা বন্ধ না হলে প্রকৃত ভুক্তভোগীরা সহায়তা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন, আর আন্দোলনের শহীদদের আত্মত্যাগ অপমানিত হবে!

বাংলার ডাক !
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৭
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগ কি শিখিয়েছে?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬






অপমান, অপদস্থ থেকে বাঁচার উপায় শিখাইনি? ওস্তাদ মগা শ্যামী পাহাড়ে বসেও এসবের সমাধান করতে পারে, আপনি সামান্য অসুস্থতার জন্যও ব্লগে মিলাদ দেননি, দোয়া করেছেন কার জন্য? খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোরআন হাদিসই যদি মানতে হবে তবে আল্লাহ ফিকাহ মানতে বললেন কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৬




সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। হে রাসূল! তোমার রবের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা’ প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি তাঁর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক রহমানের হঠাৎ ‘জামায়াত-বিরোধী’ উচ্চারণ: রাজনীতির মাঠে নতুন সংকেত, নাকি পুরোনো সমস্যার মুখোশ?

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯

তারেক রহমানের হঠাৎ ‘জামায়াত-বিরোধী’ উচ্চারণ: রাজনীতির মাঠে নতুন সংকেত, নাকি পুরোনো সমস্যার মুখোশ?

বিএনপি রাজনীতিতে এক অদ্ভুত মোড়—অনেক বছর পর হঠাৎ করেই তারেক রহমান সরাসরি জামায়াতকে ঘিরে কিছু সমালোচনামূলক কথা বললেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন থাপ্পড় খাবি!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩



ঘটনাঃ ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের পতনের সময়।
চৈত্র মাস। সারাদিন প্রচন্ড গরম। জামাই তার বউকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। সুন্দর গ্রামের রাস্তা। পড়ন্ত বিকেল। বউটা সুন্দর করে সেজেছে। গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×