শ্রীমঙ্গলে গণহত্যা
লুৎফুর রহমান
ডাক দিয়েছে দেশের মাটি এবং মেজর রব
যুদ্ধে যেতে বেরিয়ে এলো ঘর থেকে ভাই সব
যুদ্ধে গেলো অনেক মানুষ মুকিত এবং আনিছ
শহীদ হলেন ছয়জনা যে নতুনরা সব জানিস?
একাত্তরের তিরিশ এপ্রিল শ্রীমঙ্গলের মাঝে-
রশিদ নামের রাজাকারের মুখে বাঁশি বাজে
সেই বাাঁশিতে শহীদ হলেন এক নিরীহ পোদ্দার
মোস্তফা ও শহীদ জামাতা লিস্টে তো নয় যোদ্ধার!
জঙ্গিবিমান হামলায় শহীদ দশম শ্রেণীর ছাত্র
কাজের মেয়ে লাইলি শহীদ বয়স বারো মাত্র
এরপরেতে সেনের বাড়ি দরজা লাগায় খিলে
তিনজনাকে মারলো তখন রাজাকার-পাক মিলে।
বসরের ভাই যুদ্ধে কেন প্রাণটা তাঁরি নিলো
সেদিনও ভাই ওই রাজাকার সঙ্গে পাকির ছিলো
হরমুজ উল্লাহ শহীদ হলেন ভৈরবগঞ্জ বাজার
একাত্তরের দিনগুলো যে কষ্টে ভরা হাজার।
_____________________________________
শ্রীমঙ্গলে পাকিস্তানি ১৪৪ ধারা জারি করলে এখানে মুক্তিবাহিনী গঠনে আসেন মেজর আ.স.ম আবদুর রব। এম এ মুকিতের নেতৃত্বে একটি বাহিনী গড়ে ওঠে। তাঁরা সিলেটে যুদ্ধ করতে গেলে এম এ মুকিত লস্কর, আনিছ মিয়া এবং একজন রিকসাচালক সহ মোট ছয়জন শহীদ হন। ৩০ এপ্রিলে পাকিস্তানি শান্তি কমিটি গঠন করলে আহবায়ক হয় কুখ্যাত রাজাকার দেওয়ান আব্দুর রশিদ। প্রথমদিনেই তার নির্দেশে হত্যা করা হয় অর্জন পোদ্দরকে। একইভাবে হত্যা করা হয় মোস্তফা আলম ও তার মেয়ের জামাইকে। পরে পাকিস্তানি জঙ্গিবিমান হামলা করলে এতে শহীদ হন দশম শ্রেণীর ছাত্র গৌরাঙ্গ মালাকার ও কাজের মেয়ে লাইলি। এরপর নিকুঞ্জ বিহারী সেনের বাড়িতে হামলা করে ঘরের ভিতরে রেখে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয় বিহারী সেন, কেতকী সেন ও কৃষ্ণ পোদ্দারকে। মুসলিম লীগ নেতা আবুল বসরকে হত্যা করে তাঁর ভাই যদ্ধে যাবার অপরাধে। ২৯ মার্চ ভৈরবগঞ্জ বাজারে হত্যা করে হরমুজ ইল্লাহকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪